রানা ইস্কান্দার রহমান গাইবান্ধা জেলা ব্যুরোঃ পুলিশ সুপার, গাইবান্ধা মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় ও অফিসার ইনচার্জ, সুন্দরগঞ্জ থানার তত্ত্বাবধানে শিশু সাদিয়া আক্তার(০৫) হত্যা মামলার মুল রহস্য উদঘাটন করে হত্যার সাথে জড়িত মুল আসামীকে গ্রেফতার করা হয় এবং গ্রেফতারকৃত আসামী বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
সংবাদদাতা মোঃ আব্দুল হামিদ(৫৯), পিতা-মোঃ ফজলুল হক দেওয়ান, সাং-মনিরাম কাজী, থানা-সুন্দরগঞ্জ, জেলা-গাইবান্ধা থানায় হাজির হইয়া জানান যে, তাহার দ্বি-মাতা (সৎ) ভাই আমজাদ হোসেন(৪৫), পিতা-মোঃ ফজলুল হক দেওয়ান, সাং-মনিরাম কাজী, থানা-সুন্দরগঞ্জ, জেলা-গাইবান্ধা দীর্ঘদিন হইতে শারীরিক ও মানসিক রোগে ভুগিতেছে। উক্ত আমজাদ হোসেনকে তাহার পরিবারের লোকজন চিকিৎসা করান। কিন্তু তেমন একটা উন্নতি হয় নাই। যতদিন যায় তত আমজাদ হোসেন এর মানসিক সমস্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এমতাবস্থায় গত ইং ১৯/০৬/২৩ খ্রি: রাত্রি আনুমান ১০:০০ ঘটিকা হইতে ২০/০৬/২৩ খ্রি: সকাল ০৬:০০ ঘটিকার মধ্যে যে কোন সময় মানসিক সমস্যার কারনে তাহার বসত বাড়ির দক্ষিণ পূর্ব দুয়ারী একচালা টিনের কাঠ খড়ি রাখার ঘরের বাঁশের ধন্না/বাঁশের উয়া সহিত নাইলনের রশি দিয়ে গলায় ফাস টানিয়ে আত্মহত্যা করেন মর্মে জানায়। লাশটি নাইলনের রশিতে দীর্ঘ সময় ধরে ঝুলে থাকার কারনে অর্ধা চন্দ্রাকৃতির কালোশিরা দাগ যাহা গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদদাতা থানায় হাজির হইয়া অপমৃত্যু সংবাদ প্রদান করিলে সুন্দরগঞ্জ থানার অপমৃত্যু মামলা নং-১৯, তারিখ-২০/০৬/২০২৩ ইং রুজু হয়।
গত ইং ১৯/০৬/২০২৩ তারিখ ১৫.৩০ ঘটিকার সময় সুন্দরগঞ্জ থানাধীন ১৫নং কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাটি বৈরাল কাদেরের চরে মোঃ সাইফুল ইসলাম এর বসতবাড়ীর পশ্চিম পার্শ্বে ডোবার মধ্যে তার মেয়ে সাদিয়া আক্তার (৫) কে অজ্ঞাত ব্যক্তি গন হত্যা করিয়া ডোবার মধ্যে জঙ্গলের মধ্যে মৃত দেহ রাখিয়া পালিয়া যায়। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে কঞ্চিবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস.আই (নিঃ)/মোঃ মিজানুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইয়া মৃত সাদিয়া আক্তার (৫), পিতা-মোঃ সাইফুল ইসলাম, সাং-ভাটি বৈরাল কাদেরের চর, থানা-সুন্দরগঞ্জ, জেলা-গাইবান্ধার সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন। মৃত দেহ ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা করেন।
অফিসা ইনচাজ সুন্দরগঞ্জ থানা ও অফিসারবৃন্দ সারারাত অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে ভিকটিমের ভাবি রাজিয়া বেগম (২১) কে গ্রেপ্তার করত হত্যা মামলার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেন।পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বিবাদী রাজিয়া বেগম হত্যা কান্ডের ঘটনা বর্ণনা করেন। রাজিয়া বেগম বিজ্ঞ আদালত শিশু সাদিয়া হত্যার ঘটনা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
বিবাদী রাজিয়া বেগমকে তার শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম খারাপ কাজের জন্য কুপ্রস্তাব দেয়। তাতে রাজি না হওয়ায় বাড়ীর সবাই বিভিন্ন অজুহাতে নিযাতন করে। শশুরের কুপ্রস্তাব ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতন অত্যাচারের কারণে ননদ সাদিয়াকে গলা টিপে হত্যা করে তার মৃতদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে বাড়ির পাশে পুকুরে ডুবিয়ে ঘাস দিয়ে ঢেকে রাখে।