শাহ মোঃ আব্দুল মোমেন,রৌমারী (কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন এমপি বলেছেন, স্কুলগুলো আগের মতো আর ভাঙা টিনের ঘর নেই। তিনি বলেন, আমি যখন গাড়িতে বিভিন্ন জায়গায় যাই একটু উকি দিলেই দেখি আমার স্কুল আমার দিকে চেয়ে আছে। আপনাদের গ্রামের বাড়ির চেয়ে এখন স্কুল সুন্দর। বাউন্ডারি গেটসহ ওয়াল করা হয়েছে। লাল,নীল রং করা আছে। সুন্দর স্কুলগুলো শিক্ষার্থীদের দিয়ে পরিপূর্ণ করতে হবে। তবেই সুন্দর ভবন করা সার্থক হবে।
রবিবার (৯ অক্টোবর) কুড়িগ্রামের রৌমারীর উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের আমবাড়ী তেলিমোড় নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে যান গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। সেখানে ডিগ্রিরচর হলহলিয়া নদী মুখে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই দেশ বঙ্গবন্ধুর, বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতির পিতা। তিনি দেশ দিয়েছেন, পতাকা দিয়েছেন, এই দেশ বানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। নদী ভাঙলেও আমরা কষ্ট পাই, রাস্তা-ঘাট না থাকলে আমরাও কষ্ট পাই, এটার নাম আওয়ামী লীগ। নদীয় ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন– আমার কোনো চাওয়া-পাওয়া নাই। আমি বাংলার মানুষ, আমার পিতা দেশ দিয়েছে। তারা (মানুষ) সুখী থেকে ভাত পেট ভরে খায়, কাপড়টা ভালো পরে, চিকিৎসা সেবা ভালো পায়, বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারে লেখাপড়া করতে পারে। এর চেয়ে কি মানুষের কোনো চাওয়া-পাওয়া আছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, অন্য আমল দেখেন আর আজকের অবস্থা দেখেন, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের কাপড়ের অভাব নেই। আজকে কমিউনিটি ক্লিনিক আপনাদের দরজায়। আপনারা এখানে যতটুকু হোক স্বাস্থ্যসেবা পান। তারপরও হাসপাতালে যান সেখানেও ব্যবস্থা আছে। বাচ্চাদের মায়েদের হাতে এখন মোবাইলে উপবৃত্তির টাকা পোঁচাচ্ছি। এবার পোশাকের জন্য এক হাজার টাকা করে দিয়েছি। স্কুলে বিস্কুট দেয়া হচ্ছে।
মানববন্ধন ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মিনু, রৌমারী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ ছামিউল ইসলাম জীবন, সাবেক মেম্বার নুর ইসলাম, সাবেক সেনা সদস্য রফিকুল ইসলাম নানজু, আক্তার
আহসান বাবুসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার জনসাধারণ।
Leave a Reply