 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    
মোঃ আতাউর রহমান মুকুল, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার:
তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত নতুন সেতুটি ইতোমধ্যে উত্তরাঞ্চলের মানুষের যাতায়াত ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নতুন দ্বার খুলে দিয়েছে। তবে এই সেতুকে ঘিরে নামকরণ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক ও অসন্তোষ। স্থানীয়দের দাবি—সেতুটির প্রকৃত নাম হওয়া উচিত “হরিপুর তিস্তা সেতু”, কারণ এটি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের ভূখণ্ডেই অবস্থিত।
সম্প্রতি বিভিন্ন মহল ও গণমাধ্যমে সেতুটিকে “চিলমারী-তিস্তা সেতু” নামে অভিহিত করা হচ্ছে, যা বাস্তবতা ও ভৌগোলিক অবস্থানের পরিপন্থী বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। তাদের ভাষায়, যেখানে সেতুটি নির্মিত, সেই হরিপুর ইউনিয়নের মানুষদের ভূমি দান, জমি অধিগ্রহণ, প্রতীক্ষা ও নানা কষ্টের ইতিহাস রয়েছে। অথচ, তাদের সেই অবদানকে অগ্রাহ্য করে অন্য এলাকার নামে নামকরণ করাটা চরম অবিচার।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, “এটি শুধু একটি নাম নয়—এটি আমাদের পরিচয়, আমাদের গর্ব, আমাদের ইতিহাসের অংশ। হরিপুরবাসীর অধিকারকে উপেক্ষা করে সেতুটির নাম অন্য ইউনিয়নের নামে হলে, সেটি হবে একটি প্রজন্মের প্রতি অবিচার।”
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জোর দাবি জানানো হয়েছে, এই সেতুর নাম যেন সরকারি দলিলপত্র ও সামাজিক পর্যায়ে “হরিপুর তিস্তা সেতু” হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হয়। এতে শুধু ন্যায়বিচারই নিশ্চিত হবে না, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মও জানতে পারবে ইতিহাসের সঠিক দিক।
এটি হরিপুর ইউনিয়নের ন্যায্য দাবির প্রতিফলন—এবং একই সঙ্গে সত্য ও সম্মানের প্রশ্ন।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও সরকারের প্রতি এলাকাবাসীর আহ্বান—দয়া করে সেতুর নামকরণে প্রকৃত অবস্থান, ইতিহাস ও জনচেতনার প্রতিফলন ঘটান।
হরিপুর তিস্তা সেতু—এই নামেই হোক নতুন সম্ভাবনার সূচনা।
Leave a Reply