
মুহাম্মদআলমগীরহোসেন
অফিসার ইনচার্জ
নাইক্ষ্যংছড়ি থানা, বান্দরবান।
নিজ ডানায় ভর করে সেই কবে নীড় ছাড়লাম
আর ফেরা হলো না !
দূর্বাঘাসের মেঠোপথে একজোড়া ঘুঘু দম্পত্তি
উড়ে যাওয়ার শব্দ
কালো মেঘের নিচে দিগন্তে ছুটে যাওয়া সাদা বক
গরুর পাল আর পিঠে বসে থাকা পাখি
লাঙ্গল কাঁধে কৃষকের ঘরে ফেরা
সন্ধ্যায় ঝিঝি পোকা, রাতে ব্যাঙ্গের ডাক
সকালে পানিভর্তি শুকনো খাল
দল বেঁধে বুড়ো আর তরুনীর বড়শিতে মাছ ধরা
ক্ষেতের আইলে দুরন্ত বালকের পেতে রাখা ফাঁদে
একটি শালিকের আটকে পড়া
আর দেখা হলো না !
পুকুর পাড়ে ঝোপের মাঝে টুনটুনির ডিম গুনে
মেঠোপথ ধরে বই খাতা হাতে
স্কুল শেষে কৃষকের ক্ষেতে দর্শকহীন মাঠে
ফুটবল, ডাঙ্গুলি-আর খেলা হলো না!
উইপোঁকায় খাওয়া নাটকের বইটা
হয়তো আজো আছে কারো ঘরের মাছায়
রাতের নীরবতা ভেঙ্গে সংলাপ শেখানো
মানুষগুলো বেঁচে নেই-
কুয়াঁশার চাঁদনী রাতে গান গেয়ে বাড়ী ফেরা
রাস্তার পাশে খেজুর গাছটি আজো দাড়িয়ে
শুধু হাঁড়ি নেই-
নাটকটি আর শেষ করা হলো না!
ফকির বাড়ীর ওরশ, হিন্দু বাড়ীর পূঁজো দেখে
পাখি ডাকা ভোরে সন্তোর্পনে ঘরে এসে
উৎকন্ঠিত অপেক্ষমান মায়ের মুখখানি
আর দেখা হলো না!
কত নবজাতক হয়েছে বুড়ো কতরূপে দিয়েছ ধরা
আজ তাঁরা নেই, চোখ গুলোও নেই
আমার চোখ জোড়া ঝাপসা হয়েছে
আগের রূপে আর দেখা হলো না!
এসেছে যারা গত হয়েছে, অপেক্ষমান আমি
অনন্তকাল অনাগতদের আসা যাওয়া
বুকে শুইয়ে দেখবো তোমার রূপ বদলে যাওয়া
থেকে যাবে শুধু একটি নাম-হিয়াজোড়া।।
Alamgir Hossain, Oc NaikhongChari
Leave a Reply