আজ কক্সবাজারের চকরিয়া ও মহেশখালী পৌরসভা এবং চার উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিস।
তিনটি ভিন্ন টিমের নিরাপত্তার মধ্যে দুই দিয়ে পৌরসভার ২৮ টি এবং ইউপি’র ১৪০ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, চকরিয়া ও মহেশখালি পৌরসভা’র সকল কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহন করা হবে। এছাড়া মহেশখালি, কুতুবদিয়া, চকরিয়া ও টেকনাফ উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের ১৪০ টি কেন্দ্রে ব্যালেট পেপার সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম স্ব-স্ব কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে।
ভোটগ্রহণে নিয়োজিত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় চলে গেছেন। নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে প্রশাসনের সর্বোচ্চ প্রস্ততি রয়েছে।
জেলা নির্বাচন অফিসারের দেওয়া তথ্য মতে, মহেশখালী পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ১৯,৪৮৪ এবং চকরিয়া পৌরসভায় ৪৮,৭২৪ জন। মহেশখালীতে ১০টি ভোটকেন্দ্রে বুথ সংখ্যা ৫৯টি এবং চকরিয়া পৌরসভায় ১৮টি ভোটকেন্দ্রে ১৩৯টি বুথ রয়েছে। প্রতিটি বুথে একটি করে ইভিএম মেশিন থাকবে। দুই ধাপে ভোটারদের সনাক্ত করা হবে।
ভোট দানের সময় স্ব-স্ব ভোটার তার নিজের ছবি ইভিএম মেশিনে দেখতে পাবে। পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও টেকনাফ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লক্ষ ১১ হাজার ২৩৪জন। সেখানে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯৯৫ এবং মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৫১ হাজার ১২ জন। চার উপজেলার ১৪০টি ভোটকেন্দ্রে ৭৮০টি স্থায়ী এবং ১১৩টি অস্থায়ী ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিসার এস.এম শাহাদাত হোসেন বলেন,সোমবার জেলার ১৪ ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইভিএমে ভোট দেওয়ার কৌশল মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ভোটারদের মাঝে প্রচারণা চালানো হয়েছে।
এছাড়া ভোট কাজে জড়িত থাকবে এমন প্রায়ই দুই হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন নিয়ে যেকোন ধরণের সহিংসতা রোধে পুলিশের সর্বাত্বক প্রস্তুতি রয়েছে। অতীতে এই জেলার নির্বাচন পর্যবেক্ষন করে দেখা যায় এখানে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা হয় সেটি মাথায় রেখেও পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। দুই পৌরসভা ও ১৪ টি ইউনিয়নে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। পাশপাশি নির্বাচনের প্রত্যেক কেন্দ্রে পোষাকধারী পুলিশের পাশপাশি সাদা পোষাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করবে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে পুলিশ প্রত্যেক প্রার্থীর সাথে কথা বলছে, আলোচনা করেছে, সতর্ক করেছে। সহিংসতা এডিয়ে চলতে সকলকে সাবধান করা হয়েছে। এএসপি আরো বলেন, নির্বাচনে যারা সহিংসা চালাতে তাদেরকে কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। মানুষের জীবনের অনেক মূল্য। কোন প্রানহানি যাতে না ঘটে সে বিষয়ে আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি।
রফিকুল বলেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম মহানগর থেকে আগত বিপুল সংখ্যক পুলিশকে মোতায়েন করা হয়েছে নির্বাচনী এলাকায়। নির্বাচণে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, আনসার সদস্যরাও কাজ করবে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনূর রশী বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহনের জন্য সকল ধরনের প্র্তুতি রয়েছে।
পুলিশ, আনসার, বিজিবি, কোস্টগার্ড, যার্ব
নিরাপত্তার জন্য কাজ করবে। পাশপাশি জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দ্বারা নির্বাচনের দিন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে। তিনি আরো বলেন,সকল ধরণের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পেশাদারিত্বের সাথে আমরা কাজ করে যাবো। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচণের জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। জেলা প্রশাসক, ভোটারগন যাতে ইচ্ছেমত পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই পরিবেশ শতভাগ নিশ্চিত করা হয়েছে। ভোটের জন্য তিন স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। চকরিয়া পৌরসভার জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতি ভোটকেন্দ্রে পৃথক তিনটি টিম কাজ করবে। কোন ধরণের প্রভাব বিস্তার করতে দেওয়া হবে না। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণে সকল প্রস্তুতি রয়েছে আমাদের।
Leave a Reply