খন্দকার জলিল- স্টাফ রিপোর্টার
পটুয়াখালীর গলাচিপায় ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় পাশের হার আগের বছরের তুলনায় কিছুটা কমেছে। এতে কিছুটা হতাশা দেখা গেলেও বিভিন্ন জায়গায় অনেক অভিভাবক এই ফলাফলকে ইতিবাচক ভাবে দেখছেন।
তাদের মতে, সঠিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রকৃত শিক্ষার্থীদের মেধার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। একজন অভিভাবক বলেন, “যারা লেখাপড়া করবে না, তারা তো ফেল করবেই। এতে অন্তত বোঝা যাবে কে লেখাপড়ায় মনোযোগ দিয়েছে আর কে দেয়নি। লেখাপড়া না করে পাশ করলে সবাই সমান হয়ে যায় এতে প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থী খুব কঠিন হয়ে যায়।”
আরেকজন বলেন, “ফেল করার ভয় না থাকলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পড়াশোনার আগ্রহ কমে যায়। তাই এই ফলাফল ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের আরো মনোযোগী হতে উৎসাহিত করবে বলে আমরা আশা করছি।”
উত্তর চরখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রবিউল ইসলাম এ বছরের পাশের হার নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, যারা মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করেছেন তারা পাশ করেছেন আর যারা লেখাপড়ার দিকে মনোযোগ না দিয়ে পাশের আশা করেছেন তারাই ফেল করেছেন। এতে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের মাঝে লেখাপড়ার আগ্রহ ফিরে আসবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কঠোর মূল্যায়ন জরুরি। নকল, প্রশ্নফাঁস ও অতিরিক্ত নম্বর প্রদানের প্রবনতা রোধ করে প্রকৃত মেধার মূল্যায়নই শিক্ষার মান উন্নয়নে সহায়ক হবে।
তবে শিক্ষাবিদদের কেউ কেউ মত দিয়েছেন, পাশের হার কমে যাওয়ার পেছনে বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারনও থাকতে পারে। তাই এসব দিক বিবেচনা করে ভবিষ্যতে আরো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
এ বছর কম পাশের হার হয়তো প্রথমে হতাশার কারণ হতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদে এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা হতে পারে। শুধু পাশ নয়, প্রয়োজন সঠিক ভাবে শেখা।
Leave a Reply