ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বাকী আছে আরও কয়েক মাস। এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়নি নির্বাচন কার্যক্রম। তবে সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন। চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য প্রার্থীরা এখন মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তবে তৎপরতা বেশি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের। ভোটাররা এখনই আলোচনা শুরু করেছেন।
ঠাকুরগাঁও বালিয়াডঙ্গী উপজেলার ৫নং দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে এলাকার ভোটারদের কাছে এবার নতুন একটি মুখ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তিনি লাহিড়ী ডিগ্রী কলেজের বাংলা প্রভাষক সোহেল রানা।
তিনি ছাত্র জীবন থেকে প্রগতিশীল রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, হত-দরিদ্র জনগণকে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে সকলের প্রাণ ছুঁয়েছেন।
রাজনৈতিক ভাবে তিনি সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (২০১৩-২০১৮), বালিয়াডাঙ্গী আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বাংলাদেশ কৃষক লীগ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সম্মেলন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক (২০২১) দায়িত্ব পেয়েছেন।
তিনি সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক (২০০১-২০০৬), বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,
আ.ফ.ম কামালউদ্দিন হল শাখা,
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনি উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক (২০১২- বর্তমান) পদে দায়িত্ব পালন করছেন ।
তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ও এমফিল করেছেন এবং পিএইচডি অধ্যয়নরত।
তিনি বর্তমানে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পাদক (২০২১- বর্তমান) পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
এরই মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ৫নং দুওসুও ইউনিয়নে প্রত্যন্ত অঞ্চলে চা দোকান থেকে শুরু করে প্রতিটি অলি-গলিতে চলছে নানা আলোচনা-পর্যালোচনা। শুরু হয়েছে প্রভাষক সোহেল রানার চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ, এলাকায় এলাকায় দৌড়ঝাঁপ। চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছবিসহ ‘দোয়া প্রার্থী’ লেখা পোস্টার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চলছে জোরেশোরে।
এলাকাবাসীরা বলেন, তরুণ প্রভাষক সোহেল রানা একজন সাহসী, প্রতিবাদী এবং পরোপকারী। তার মতো মিষ্টভাষী, সৎ ও ন্যায়পরায়ণ একজন ব্যক্তিকে ৫নং দুওসুও ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হিসেবে খুবই প্রয়োজন।
আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমরা নতুন চেয়ারম্যান প্রদপ্রার্থী হিসেবে প্রভাষক সোহেল রানাকে দেখতে চায় এবং ভোট দিয়ে জয়ের মালা পরাবে বলে জানান।
প্রভাষক সোহেল রানা বলেন, ৫নং দুওসুও ইউনিয়নকে সন্ত্রাসমুক্ত, বাল্যবিবাহমুক্ত, চাঁদাবাজিমুক্ত, জুয়ামুক্ত, মাদকমুক্ত, ধর্ষণমুক্ত, নারী ও শিশু নির্যাতনমুক্ত একটি আধুনিক ও ডিজিটাল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত করার ব্যাপারে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।তিনি আরো বলেন, আমি “ক্রীড়ামুখী তরুণ চাই”, "মাদক মুক্ত সমাজ চাই”।আমি যুবকদের উন্নয়নে কাজ করতে চাই এবং তিনি এলাকায় আগামীতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, এলাকার মানুষের পাশে থাকা এবং এলাকার উন্নায়নে নিজেকে উৎসর্গ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ইতিমধ্যে তিনি করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় ইউনিয়নে ৬০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। তিনি ৪০০ পরিবারের মাঝে সেমাই চিনি বিতরণ করেন। মসজিদ, মাদ্রাসা ও মন্দিরে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। প্রতি পাড়ায় পাড়ায় যুবকদের মাদক থেকে দূরে রাখার জন্য ক্রিকেট ব্যাট, ভলিবল, ফুটবল, রেকেট, নেট ইত্যাদি খেলার উপকরণ বিতরণ করেন।
গরীব ও অসহায় শিক্ষার্থীর মাঝে কাপড়, বই, খাতা ও কলম বিতরণ করেন। করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রতি পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করাসহ অসংখ্য জনকল্যাণমূলক কাজ করেছেন এবং করছেন বলে এলাকাবাসী জানান।