বছর চারেক আগে দরিদ্র পরিবারের উপার্জক বাবাকে অটো চালাতে সহযোগিতাকারী বাদুয়ার কাজী আবুল হাসেম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইমরানকে আগুনে পুরে হত্যা করে অটো ছিনতাই করেছিলো ছিনতাইকারী দল। আবার ঘটল এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি। সদর উপজেলার মীর ইমদাদ উচ্চ বিদ্যালয়োর ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী শাওন মিয়া৷ ময়মনসিংহের নান্দাইলের হাইওর মিয়া ছেলে শাওন। নরসিংদীর রাঙ্গামাটি এলাকার সজল মিয়ার বাড়িতে শাওন এর পরিবারের বসবাস৷ দরিদ্র পরিবারের উপার্জক শাওনের বাবা অটোচালক৷ শাওন মাঝে মাঝে পড়াশোনার ফাঁকে অটোচালিয়ে তার বাবাকে সহযোগিতা করত৷ বাবার শারীরিক অসুস্থতার দরূন শাওন লাগাতার ৩-৪ দিন অটো চালিয়ে সংসারের খরচ চালিয়ে আসছিলো৷
গতকাল ১৭ মার্চ দুপুরে অটো চালাতে বের হয়ে রাতে বাসায় ফেরেনি শাওন৷ পরিবারের লোাকজন অনেক খোঁজ করেও তাঁর সন্ধান পায়নি৷ শাওনের চাচাত ভাই আবুল হাসান জয়ের ভাষ্যমতে আজ ১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কামারগাঁও এলাকার নির্জন এক কবরস্থানের পাশে একটি মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা এলাকা বাসি। বিষয়টি ফেসবুকে প্রচার হলে জানতে পেরে শাওনের চাচাত ভাই আবুল হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন।
শাওনকে তারা গলা কাটা অবস্থায় তাকে দেখতে পাই। তার সঙ্গে থাকা অটোরিকশার কোনো খোঁজ মেলেনি।
পুলিশ এসে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।