ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার ভেলানগর গ্রামের মৃত বাবর আলী’র ছেলে হোসেন মিয়া (৫০) ও উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের মৃত কামাল মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া (৪০) নামের দুই ব্যাক্তি মৃতদেহ বৃহস্পতিবার সকালে নবীনগর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে জেলা মর্গে প্রেরণ করেন।
জানা গেছে, দুর্বৃত্তের হাতে নৃশংসভাবে খুন হওয়া উপজেলার রতনপুর গ্রামের দিনমজুর সুজন মিয়া বুধবার রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। পরে বৃহস্পতিবার ভোরে রতনপুর পূর্ব পাড়া চকবাজারের পাশ্ববর্তী একটি পুকুরের দক্ষিণ পশ্চিম কোণাতে সুজনের রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। উদ্ধারকালে সুজনের শরীরে একাধিক আঘাতে চিহ্ন রয়েছে বলে জায়িছেন স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ফকরুল ইসলাম।
অপরদিকে করোনাকালীন সময়ে বিদেশ ফেরত নবীনগর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড ভেলানগর গ্রামের হোসেন মিয়া গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় স্ত্রীর সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে ইমার্জেন্সি বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডাক্তার তানভীর সালাম জানান, হোসেন মিয়া আগে থেকেই হার্ট ফেইলর ও ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। হাসপাতালে আনার পর আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রেফার করার মুহুর্তে তিনি মারা যান।
রতনপুর গ্রামের সুজন মিয়ার খুনের ঘটনায় অত্র ইউপি চেয়ারম্যান জিএস রুহুল আমিন জানান, সুজনের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় মাদকের মামলা রয়েছে, যা বর্তমানে চলমান। তবে আমি চাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত খুনিরা বেরিয়ে আসুক।
একটি খুনসহ দুটি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন জানান, দুটি মৃতদেহ ইতিমধ্যে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। খুনের ঘটনায় পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
Leave a Reply