শিরোনাম :
ভাঙনের থাবায় গলাচিপার পাকা সড়ক নদীগর্ভে, যোগাযোগ ব্যবস্থা হুমকিতে যশোর সদর-৩ আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা শোয়াইব হোসেনের নেতৃত্বে বিশাল মোটরসাইকেল র‍্যালি অপসংবাদিকতা ও সহিংসতার ছায়ায় গণমাধ্যমের সংকট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে জাতীয় মানবাধিকারের উদ্যোগে ঔষধি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্থদের জমির ন্যায্য মূল্যের দাবিতে সড়ক অবরোধ জলঢাকায় ভোক্তা অধিকারের অভিযান, দুইজনকে জরিমানা। রাঙ্গাবালীতে চাঁদার টাকা না দেয়ায় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জমি ও মাছের ঘের দখলের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর নির্দেশনা পটুয়াখালী জেলা বিএনপির নীলফামারীতে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত এক বাংলাদেশ ন্যাশনাল নিউজ ক্লাবের খুলনা মহানগর সভাপতির মুক্তি কামনা

মোমেনা সেকান্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯ জন শিক্ষকের বিপরীতে মাত্র ৩ জন শিক্ষক দিয়ে চলছে।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০২২
  • ৩৫৮ বার পঠিত
সন্দ্বীপ পৌরসভা ৩ নং ওয়ার্ডস্থ ১০ শর্যা হাসপাতাল সংলগ্ন মোমেনা সেকান্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯ জন শিক্ষকের বিপরীতে মাত্র ৩ জন শিক্ষক দিয়ে চলছে।প্রায় ৮ শ ছাত্র ছাত্রীর বিপরীতে একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ২ জন সহকারী শিক্ষক ক্লাস নিতে হিমশিম খেতে হয় প্রতিনিয়ত। অন্যদিকে বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজের চাপে থাকতে হয় শিক্ষকদের।সে সময় ক্লাস চালানো একেবারে অসম্ভব হয়ে পড়ে।প্রায় ২ বছরের অধীককাল ধরে চলছে এই শিক্ষক সংকট।
বিগত ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন এর কাছে ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে বার বার মৌখিক ও লিখিত আবেদন করার পর তিনি করোনা কালীন সমস্ত শিক্ষক বদলী কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন।তবে করোনার বিধি নিষেধ উঠে যাওয়ার সাথে সাথে তিনি অন্তত পক্ষে একজন প্রধান শিক্ষক দেবেন বলে আশ্বাস প্রদান করলেও তিনি বদলী হয়ে গেলেও এই বিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি কোন শিক্ষক।
এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান শিক্ষকের জন্য শুধু আবেদন করলে হয়না ডিপিও অফিসে গিয়ে ৫/৭ হাজার টাকা ঘুষ প্রদান ব্যতীত শিক্ষক ট্রান্সফারের অনুমোদন পাওয়া যায়না।আপনারা কি সে চেষ্টা করেছেন?কিন্তু ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বাদল চন্দ্র রায় বলেন এ ভাবে অবৈধ উপায়ে শিক্ষকের জন্য লবিং আমাদের প্রয়োজন নেই।
কিন্তু শিক্ষক স্বল্পতায় অভিবাবকদের প্রশ্নের সন্মুখীন হয়ে গত কাল ২০ জুলাই বর্তমান প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খোরশেদ আলমকে অভিবাবকদের সামনে রেখে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বাদল চন্দ্র রায় লাউড স্পীকারে মুঠোফোনে ফোন দিয়ে কেন শিক্ষক দেওয়া হচ্ছেনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আপাতত শিক্ষক বদলীর নির্দেশনা স্থগিত তাই নতুন শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হলে সেখান থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক দেওয়ার চেষ্টা করবো।তাও কয়েকমাস লেগে যেতে পারে।
অন্যদিকে এ ব্যাপারে কয়েকজন সাবেক শিক্ষকের মতামত জানতে চাইলে তারা বলেন শিক্ষক বদলী স্থগিত থাকলেও যেখানে পর্যাপ্ত শিক্ষক রয়েছে সেখান থেকে ডেপুটেশনে শিক্ষক দেওয়া যায়।অতএব সংকট দুর করার ইচ্ছে থাকলে এটা কোন ব্যাপারই নয়।বরং শিক্ষা অফিসের উদাসীনতা এটি বা অজুহাত মাত্র।অপরদিকে অভিবাবক সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন অন্য অনেক বিদ্যালয়ে যেমন থানা উন্নয়ন প্রাথমিক বিদ্যালয়,সেনের হাট সংলগ্ন আব্দুল বাতেন সওদাগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত শিক্ষক রয়েছেন। তারা অনেকে বিভিন্ন কর্মকর্তা বা শিক্ষক নেতাদের স্ত্রী।
তাই অবৈধ উপায়ে সুবিধাজনক জায়গা রয়েছেন তারা এবং শিক্ষা অফিস সে ব্যাপারে স্বজন প্রীতি দেখাচ্ছেন।
অন্যদিকে এ স্বনামধন্য বিদ্যালয়ের দুর্দশা তাদের চোখে পড়লেও নিচ্ছেননা কোন পদক্ষেপ। তাই এ বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে উপজেলা শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন উক্ত বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি, অভিবাবক ও এলাকার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com