শিরোনাম :
ঢাকায় অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ চার ফায়ার সার্ভিস কর্মী: দুইজনের অবস্থা সংকটাপন্ন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিগেড কমান্ডারের সাথে সরকারি কর্মকর্তাদের সভা অনুষ্ঠিত সৈয়দপুরে মহিলা জামায়াতের সমাবেশ অনুষ্ঠিত ডিমলায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত গাজীপুর মহানগরে নবগঠিত বাসন মেট্রো থানা মহিলা দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ নওগাঁর মান্দায় কৃষি কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে সার সিন্ডিগেট মুক্তাগাছায় ৫দফা দাবিতে আদায়ে একই দিনে কর্মসূচি পালন করবে জামায়াত, খেলাফত ও ইসলামী আন্দোলন। মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত সেনা সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন বাংলাদেশ সেনাপ্রধান টেকনাফে পাহাড়ে যৌথ অভিযানে ৮৪জন ভিকটিম উদ্ধার ; অস্ত্রসহ আটক-৩,পলাতক-২। কালীগঞ্জে বিএনপি’র উদ্যোগে হাট সভা লিফলেট বিতরণ

চাকুরিতে পুনঃবহালের জন্য ৮০ টি পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির উপদেষ্টা বিভাগের প্রকৌশলীদের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর খোলা চিঠি।।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫
  • ৮৫ বার পঠিত

প্রকৌশলী মোঃ কাওছার আলী। স্টাফ রিপোর্টার,

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,
আসসালামু আলাইকুম।
আপনার প্রতি রইল আমাদের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি প্রকৌশলী হককে পরিষদ এর পক্ষ হতে সালাম ও শ্রদ্ধা। মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং দেশবাসীর দোয়ায় আপনি আজ বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্বে রয়েছেন, আমরা বিশ্বাস করি দেশের সর্বস্তরের মানুষের কল্যানে আপনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ করলে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে এখন প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠছে। আর এসব দাবির পেছনে রয়েছে দীর্ঘ প্রাতিষ্ঠানিক জড়তা বা “লক ইন”, যার জন্য প্রয়োজন সংস্কারের। রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের ম্যান্ডেট নিয়ে অন্তবর্তী কালীন সরকার ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিয়ে সরকার যথেষ্ট আন্তরিক কিনা এখন প্রশ্ন উঠেছে। অথচ পল্লী বিদ্যুতের সংস্কার করতে কোন সাংবিধানিক বা আইনি জটিলতা নেই। আমরা পল্লীবিদ্যুতের নিয়োজিত উপদেষ্টা প্রকৌশলীগন, আশা করছি আপনার নেতৃত্বে বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। ১৯৭৭ সালের সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিতে উপদেষ্টা প্রতিষ্টান নিযুক্ত থাকার কথা বলা আছে। সেই অনুসায়ী সমিতির শুরু হতে ২০১৮ইং পর্যন্ত তাহা পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন মেয়াদে রিটেইনার কন্ট্রাক এর মাধ্যমে উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিতে কাজ করে আসছিল। আমাদের এই উপদেষ্টার প্রতিষ্ঠান বিগত ৪৭ বছর ধরে সেবা দিয়েছিল। আমাদের মাধ্যমেই দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে লাইন পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে আর ই বি অর্থাৎ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ আইন বোর্ড অধীনে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকার ১৪ কোটি গ্রাহকে সেবা প্রদান করে আসছে। বাংলাদেশে মোট সরবরাহ করা বিদ্যুতের ৫৭ শতাংশ সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুৎ। পল্লী বিদ্যুৎ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশেষ করে শিল্প, কৃষি সহ আঘাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিষ বছর ধরে সংস্কার নিয়ে আলোচনা চলছে, অথচ এখনো আলোর মুখ দেখেনি। এভাবে প্রাতিষ্ঠানিক জড়তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পল্লী বিদ্যুতের সংস্কারের প্রশ্নটি। আমরা বারং বার বলেছি লাইন নির্মাণ ভালো হচ্ছে না তথা বজায় থাকছে না লাইনের স্ট্যান্ডার্ড। কিন্তু তৎকালীন ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী এবং এ্যাসিস্ট চেয়ারম্যান আমাদের কথা না শুনেই নন স্ট্যান্ডার্ড লাইন নির্মাণ করে গিয়েছিল। এরই প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে তৎকালীন আওয়ামী দোসর চেয়ারম্যান ও কতিপয় জেনারেল ম্যানেজারের যোগ সাজেসে উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন এবং চুক্তি বাতিল করে। উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান বাতিল করে যে বৈষাম্যর সৃষ্টি করেছেন তাহা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।
২০২৪ সালে জানুয়ারি মাসে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের মাধ্যমে বিষয়গুলো প্রথমবারের মতো দেশবাসীর নজরে আসে। বিতরণ ব্যবস্থা ব্যবহৃত মালামাল যে নিম্নমানের হয় সেটি প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন খোদ পবিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারই ধারাবাহিকতায় অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১৭ই অক্টোবর কর্মীরা প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে দেশে বিভিন্ন প্রান্তে দুই/তিন ঘন্টা বিদ্যুৎ সেবা বন্ধ রাখায় বিষয়টি আবারও আলোচনায় আসে। ঠিক তখনই পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিদ্যমান প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো পর্যালোচনার জন্য ২০২৪ সালের ২৩ অক্টোবর আপনার অন্তবর্তীকালীন সরকার এগিয়ে জাতীয় সংস্কার কমিটি গঠন করে। সেই সংস্কার কমিটি যথাযথ পদক্ষেপ নিতে দেরি করায় আবারও একটি আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ তৈরি ২০ মে। অতঃপর ২৭ মে থেকে আবারো দেশ জুড়ে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন, যা এখনো চলমান। আপনার অন্তবর্তী সরকারের সংস্কারের উদ্যোগের অংশ হিসেবে পল্লী বিদ্যুতের কাঠামো মূল্যায়ন করতে যে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে এ বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদনের উপর একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করে। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পিবিএস থেকে মতামত সম্পন্ন হইলেও আরইবি থেকে কোন মতামত পাওয়া যায় নি। যার কারণে প্রতিবেদনটি এখনো প্রকাশ করা হয়নি। এই কমিটি গঠনের সাত মাস এবং প্রতিবেদন প্রস্তুতে তিন মাস সময় অতিবাহিত হলেও সে প্রতিবেদন এখনো জমা হয়নি। এদিকে গত ২৭ মার্চ জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৫ এ গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আরইবি ও পিবিএস একীভূত করণ ও অভিন্ন সার্ভিস কোড প্রণয়ন বাস্তবায়নে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগকে চিঠি দিয়েছে। কিন্তু পুনরায় বিবেচনার জন্য এই চিঠি বিদ্যুৎ বিভাগ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ ফেরত দিয়েছে। ফলে তাদের দাবি একবার মেনে নেওয়া হলেও বাস্তবায়নে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। এত আন্দোলনের এই ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে ধোঁয়াশা হওয়া হতাশাজনক।

এতকিছুর পরেও আরেকটি অন্যায় করা হয়েছে আমাদের সাথে অর্থাৎ উপদেষ্টা প্রকৌশলীদের সাথে। উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১২০০জন (প্রকৌশলী) কর্মকর্তা-কে বেকার জীবন যাপনের দিকে ঠেলে দিয়েছেন তৎকালীন আরইবি’র চেয়ারম্যান ও হাসিনা সরকার । অথচ সেই উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান কর্মরত ছিলেন ১) রিটেইনার প্রকৌশলী ২) সুপারভিশন ইঞ্জিনিয়ার ৩) ষ্টেকিং ইঞ্জিনিয়ার ৩) ইন্সপেক্টর ৪) অটো-ক্যাড অপ্যারটর এর মত গুরুত্বপূর্ণ পদের লোকবল । উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান বাতিল করে নতুন পদ (টেকনিক্যাল) বিভাগ সৃষ্টি করে দিয়ে, যেমন নিয়োগ ব্যানিজ্য করেছেন, অপরদিকে অর্থের অপচয় করেছেন। যেমন টেকনিক্যাল বিভাগে ১) ডিজিএম টেকনিক্যাল ২) এজিএম ইএন্ডসি ৩) জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ায় ৪) এজিএম আইটি ৫) সহকারি আইটি ৬) লাইনম্যান ৭) ড্রাইভার নিয়োগ প্রদান করেছেন এবং আরও অনেক পোষ্ট তৈরির অপেক্ষায় আছে অর্থাৎ প্যানেলে আছে । উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাকে বেতন দিতে হতো ২ বছরে ১ কোটি টাকা। সেখানে টেকনিক্যাল বিভাগে বেতন দিতে হয় ১ বছরে ১ কোটি টাকা। উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারি যেখানে আন্তরিকতার সহিত পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com