খন্দকার জলিল-স্টাফ রিপোর্টার :
বঙ্গোপসাগর পাড় ঘেষা নদীবেষ্টিত জেলা পটুয়াখালী। এ জেলায় রয়েছে ৮টি উপজেলা। তার মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দুটি উপজেলা গলাচিপা এবং রাংগাবালী। এ দুটি উপজেলায় রয়েছে ১৮টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভা।
গলাচিপা-রাংগাবালী উপজেলা দুটি দুর্গম এলাকা হওয়ায় সাগর পাড় থেকে জেলা সদরে যেতে সাধারন মানুষের খুব বেহাল অবস্থা দেখা দেয়। সে বিবেচনায় বহু পূর্ব থেকে রাংগাবালী এবং গলাচিপা উপজেলা নিয়ে একটি ফৌজদারী চৌকি আদালত স্থাপন করা হয়েছে। যা গলাচিপা উপজেলা সদরে অবস্থিত। গলাচিপা আদালতে প্রায় ৮ মাস যাবৎ বিচারক না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বিচার প্রার্থী সাধারন মানুষ।
সূত্রে জানা যায় বিগত ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ গলাচিপা উপজেলা চৌকি আদালতের বিচারককে বদলী জনিত কারনে গলাচিপা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর প্রায় ৭ মাস অতিবাহিত হওয়া সত্বেও এখন পর্যন্ত কোন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। যাতে বিচার প্রার্থী সাধারন মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
রাংগাবালী উপজেলা থেকে বিশাল নদী পাড়ি দিয়ে অভিযোগ নিয়ে আসতে হয় গলাচিপা আদালতে। কিন্তু দীর্ঘদিন বিচারক না থাকায় ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হইতেছেন বিচারপ্রার্থী সাধারন মানুষ।
গলাচিপা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) গাজী মো. আল আমিন এবং উপজেলা আইনজীবী প্রতিনিধি মো. মোকলেছুর রহমান জানান বিচারক নিয়োগ দেয়ার জন্য উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে আমরা একাধিকবার জানিয়েছি। তারা বিচারক নিয়োগ দিবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করলেও এখন পর্যন্ত কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।
স্থানীয়রা জানান ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ অভিযোগ দিতে না পারায় এলাকায় মারামারি, লুটপাট, চাঁদাবাজি, জোর-জুলুম অত্যাচরসহ বিভিন্ন অপরাধ বেড়ে গেছে। বিচারপ্রার্থী সাধারন মানুষ গলাচিপা আদালতে অতি দ্রুত বিচারক নিয়োগ দেয়ার দাবি জানায়।
Leave a Reply