শিরোনাম :
গাজীপুর মহানগরে নবগঠিত বাসন মেট্রো থানা মহিলা দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ নওগাঁর মান্দায় কৃষি কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে সার সিন্ডিগেট মুক্তাগাছায় ৫দফা দাবিতে আদায়ে একই দিনে কর্মসূচি পালন করবে জামায়াত, খেলাফত ও ইসলামী আন্দোলন। মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত সেনা সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন বাংলাদেশ সেনাপ্রধান টেকনাফে পাহাড়ে যৌথ অভিযানে ৮৪জন ভিকটিম উদ্ধার ; অস্ত্রসহ আটক-৩,পলাতক-২। কালীগঞ্জে বিএনপি’র উদ্যোগে হাট সভা লিফলেট বিতরণ তারেক রহমানের ৩১ দফার মধ্যে ভবিষ্যৎ রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের রোডম্যাপ: আমিনুল হক পাইকগাছা (খুলনা) — মটরসাইকেল গ্যারাজের মালিক ৩ বোতল বিষপান করে মৃত্যু; তদন্তের দাবি। গোপালপুরে ৫২তম গ্রীষ্মকালিন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন গলাচিপায় আইনজীবীদের টানা ১৪ দিন আদালত বর্জনেও মিলেনি সমাধান

সাতক্ষীরায় মরিচ্চাপ নদীর ওপর নির্মিত ৭ টি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫
  • ১৩৭ বার পঠিত

আজহারুল ইসলাম সাদী, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার:

সাতক্ষীরার মরিচ্চাপ নদীর ওপর নির্মিত সাতটি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে নদীতে, ঝুঁকিতে রয়েছে আরও কয়েকটি ব্রিজ।
নির্মাণের কয়েক বছর না যেতেই এসব ব্রিজ ঝুকির মধ্যে পড়েছে।

মাত্র এক থেকে দেড় মাসের ব্যবধানে ব্রিজ সাতটি ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরা সদর, দেবহাটা ও আশাশুনি উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রামের মানুষের ।

সাতক্ষীরা জেলা সদরে যেতে মাত্র ৪-১০ কিলোমিটার রাস্তার পরিবর্তে তাদের পাড়ি দিতে হচ্ছে ২০ কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা। এতে দুর্ভোগের পাশাপাশি সময় ও খরচও বেড়েছে স্থানীয়দের। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই এলাকার মানুষ।

ভেঙে পড়া ব্রিজগুলো হলো, বাকড়া ব্রিজ, টিকেট ব্রিজ, হিজলডাঙ্গা ব্রিজ, চরগোবিন্দপুর ব্রিজ, শিমুলবাড়িয়া ব্রিজ, ডাড়ার খাল ব্রিজ ও এল্লারচর ব্রিজ।

২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে নির্মিত ব্রিজগুলোর দৈর্ঘ্য ১০ মিটার থেকে ১৫ মিটারের মধ্যে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কোনটি ভেঙে নদীর মাঝখানে পড়ে আছে। কোনটির এক পাশ পাড়ে ঝুলছে, তো অপর পাশ ভেঙে নদীতে পড়েছে। কোনটির একপাশে বাঁশ বেধে পার হওয়ার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ, কোনটির উপর চলাচলের জন্য তৈরি করা হয়েছে বাঁশের সাকো।

ব্রিজগুলো ভেঙে পড়ার কারণ অনুসন্ধান করে জানা গেছে, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় যখন এসব ব্রিজ নির্মাণ করে, তখন ভরাট হয়ে সরু খালে পরিণত হয়েছিল মরিচ্চাপ নদী। এরপর ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড মরিচ্চাপ নদী পুনঃখননের উদ্যোগ নেয়। এতে নদী ফিরে পায় পুরনো রূপ, বেড়ে যায় প্রস্থ। চাপ বাড়ে জোয়ারের পানিরও। এতে দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে ব্রিজগুলো ভেঙে পড়ে।

এ প্রসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান বলেন, স্থান ভেদে মরিচ্চাপ নদীর প্রস্থ ৫০-৭০ মিটার। কিন্তু এ নদীর উপর নির্মিত ব্রিজগুলো সর্বোচ্চ ২০ মিটার হতে পারে। এতো বড় নদীর উপর এমন ছোট ছোট ব্রিজ টিকবে কিভাবে?

তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন নদী বা খালে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করলে হলে এনওসি নিতে হয়, যা এসব ব্রিজ নির্মাণের ক্ষেত্রে নেওয়া হয়নি। ব্রিজগুলো যখন নির্মাণ হয়েছে, তখন মরিচ্চাপ নদী ছিল সরু খালের মতো। আমরা নদীর সীমানা অনুযায়ী খনন করেছি। কিন্তু ব্রিজগুলো নদীর সীমানা অনুযায়ী নির্মাণ করা হয়নি।

পাউবোর এই কর্মকর্তার বক্তব্য মিলে যায় একই নদীর উপর এলজিইডি নির্মিত ব্যাংদহা ব্রিজের সাথে। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ২০২২ সালে নির্মিত এই ব্রিজের দৈর্ঘ্য ৬০ মিটার। নদী খননের পর অন্যান্য ব্রিজ ভেঙে পড়লেও ব্যাংদহা ব্রিজ ঠাই দাড়িয়ে আছে।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম বলেন, ব্রিজগুলো ভেঙে পড়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমাদ বলেন, ধসে পড়া সাতটি ব্রিজের মধ্যে চারটি এলজিইডির মাধ্যমে নির্মাণের জন্য এরই মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com