মানজারুল ইসলাম মিলন – জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর।

শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার, জাজিরা থানার সকল অপরাধীরা হয়েছেন গ্রেফতার ও এলাকা ছাড়া! বড় বড় মাদক ব্যবসায়ীরা ধরা পরেছেন কেউ কেউ বেড়াচ্ছেন পালিয়ে পালিয়ে, এ দৃশ্য বিগত ১৬ বছরে কল্পনা ও করা যেত না। অথচ আজ বাস্তব!

এর পিছনে যিনি সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন, তিনি হচ্ছেন শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম ও জাজিরা থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইনুল ইসলাম।

পুলিশ সুপার নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে (ওসি) মাইনুল ইসলাম জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় তিনি একের পর এক সফল অভিযান পরিচালনা করছেন, ধরছেন মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের অপকর্মের সাথে জড়িতদেরও! আলোচনাসভা করে জনগণ কে করছেন প্রতিনিয়ত সতর্ক

এবং সন্ত্রাস ও মাদক ও কিশোর গ্যাং নির্মূলে ব্যাপক প্রশংসা কুরিয়েছেন তিনি।
এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে এসেছে দৃশ্যমান পরিবর্তন।

শুধু অপরাধ নয় ওসি মাইনুল ইসলাম জোর দিয়েছেন জনবান্ধব পুলিশিং এর উপর। থানায় এসে এখন সাধারণ মানুষ কোন ভয় বা সংকোচ ছাড়াই অভিযোগ জানাতে পারছেন।
ওসি নিজেই প্রতিদিন বহু মানুষের কথা শুনেন এবং সমাধান দেন তার সাধ্যমত প্রয়োজনে মামলা ও গ্রহণ করেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা সাংবাদিকদের জানান দীর্ঘদিন ভূমিদস্যুরা অনেক সাধারণ মানুষের আবাসিক বাড়ি ও জমি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছিল স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

এই ওসি আসার পরে আমাদের বাড়ি জমি উদ্ধার করে দিয়েছেন আমরা তাঁর জন্য দুহাত তুলে দোয়া করি সে যেন ভালো থাকেন তার মতো মানুষ থাকলে সাধারণ মানুষ নিরাপদে বসবাস করতে পারবে।

বর্তমান ওসি মাইনুল ইসলাম রাজনৈতিক প্রভাব উপেক্ষা করে অপরাধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন, একাধিক সূত্রে জানা গেছে চাঁদাবাজি ও দখল দারিতে জড়িত এমন অনেকেই আছেন যারা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী দলের আশ্রয় প্রশ্রয় বড় হয়েছেন।

কিন্তু এসব পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে (ওসি) মাইনুল ইসলাম আইন প্রয়োগ করেছেন সমানভাবে। বিএনপি’র একজন নেতার ঘনিষ্ঠ আওয়ামী নেতাকে চাঁদাবাজির মামলায় আটক করে আদালতে পাঠানো ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন!
এবং সাধারণ মানুষের কাছে ভালোবাসার পাত্র বনে যান।

বিশ্বাস ও আস্তার প্রতীক ওসি মাইনুল ইসলাম কর্মদক্ষতা এবং সততার জন্য তার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা দিন দিন বেড়েছে। নিরাপত্তার পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত হওয়ার জাজিরা জনগণ এখন অনেক বেশি নিশ্চিন্ত!
(ওসি) মাইনুল ইসলাম অপরাধীদের কাছে এক আতঙ্কের নাম এবং সাধারণ জনগণ এবং নির্যাতিত অসহায় মানুষের কাছে ভরসার প্রতীক!

(ওসি) মাইনুল ইসলামের নেতৃত্বে গত দুই মাসে জাজিরায় চালানো হয়েছে ছোট বড় ৭০/৮০ টি সাঁড়াশি অভিযান। গ্রেফতার করা হয়েছে চিহ্নিত অপরাধীদের এরমধ্যে মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী ভূমিদস্যু চাঁদাবাজ এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নাশকতাকারীরাও রয়েছে।

সম্প্রতি জাজিরা পৌরসভা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, একাধিক অপরাধের সাথে জাড়িত একাধিক মামলার আসামি এবং আওয়ামী লীগের জনসংখ্যা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচন পরিচলনা কমিটির মেম্বার অবৈধ এমপির দোসর মোশারফ বেপারীকে গ্রেফতার করেছেন।

এক ভুমি দস্যু কে গ্রেফতারের ফলে এলাকায় ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন এবং স্থানীয় জনগণ (ওসি) মাইনুল ইসলামকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানিয়েছেন এবং তাঁর এই সাহসী কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

এছাড়া এক সময় জাজিরা থানার আওতাধীন বিভিন্ন পয়েন্টে অবৈধ জুয়ার বোর্ড পরিচালনা কারী ও বালু খনন কারীরা বালু খনন বন্ধ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

স্থানীয় সমাজকর্মী ও ব্যবসায়ীরা বলেছেন এই এলাকায় আগে ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজদের ভিন্ন কৌশলে মানুষ অতিষ্ঠ ছিল এখন ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজরা অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। এলাকা ছাড়া, এটা সম্ভব হয়েছে (ওসি) মাইনুল ইসলামের কারণে।

চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসায়ী এই তিন অপরাধের উপর যেভাবে অবস্থান নিয়েছেন ওসি মাইনুল ইসলাম তাতে জাজিরা থানা এখন অন্যতম শান্তিপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে!

(ওসি) মাইনুল ইসলামের নেতৃত্বে জাজিরা থানার কার্যক্রম সাধারণ মানুষকে যেমন স্বস্তি দিয়েছে তেমনি অপরাধীদের জন্য হয়েছে এক ভয়ঙ্কর বার্তা।

সত্যিকার অর্থেই (ওসি) মাইনুল ইসলাম এখন বিগত আওয়ামী ক্ষমতা অপব্যবহার কারি ও দুর্বল অসহায় মানুষের জমি কেড়ে নেওয়া অপরাধীদের যমদূত হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন।