খন্দকার জলিল, স্টাফ রিপোর্টার
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের চত্রা গ্রামে ১৯৮৮ সালে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় দেবেন্দ্র শিকারী দেবুকে। হত্যার পর নিহতের মেয়ে কল্পনা শিকারী বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালত একই গ্রামের মৃত ছত্তার হাওলাদারের ছেলে মো. হারুন হাওলাদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন। তবে রায় ঘোষণার পর থেকেই আসামী পলাতক ছিলেন।
এদিকে দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে লুকিয়ে থাকার পর অবশেষে আইনের জালে ধরা পড়লেন আসামী হারুন হাওলাদার। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গলাচিপা থানা পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর লালবাগ এলাকার রোকেয়া কুঞ্জ কমিউনিটি সেন্টার থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে শুক্রবার দুপুরে আসামীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আশাদুর রহমান জানান, পুলিশের কাছে এই মামলাটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসামী দীর্ঘদিন ধরেই পরিচয় গোপন করে বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে ছিল। তিনি বলেন, “আমরা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করি এবং অবশেষে ঢাকা থেকে আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। এ গ্রেপ্তারের মাধ্যমে বহু বছরের পুরনো হত্যা মামলার রায় কার্যকর করা সম্ভব হবে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এটি একটি বড় সাফল্য।”
স্থানীয়রা মনে করছেন, দীর্ঘ প্রায় চার দশক পর আসামী গ্রেপ্তারের মাধ্যমে ভুক্তভোগী পরিবার কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে। একইসঙ্গে এ ঘটনা এটাই প্রমাণ করে যে, অপরাধ করে কেউ শেষ পর্যন্ত আইনের হাত থেকে রক্ষা পায় না।
Leave a Reply