বিশেষ প্রতিনিধি এস এম জসিম
কক্সবাজারের টেকনাফের গহীন পাহাড়ে মানবপাচারকারীদের একাধিক আস্তানায় টানা ১২ ঘন্টাব্যাপী যৌথ অভিযান চালিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এতে পাচারের জন্য আটকে রাখা ৮৪ জন নারী-পুরুষকে উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় পাচার চক্রের সক্রিয় তিন সদস্যকে।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয়ে সোমবার ভোর পর্যন্ত এ অভিযান চলে। পরে সোমবার দুপুরে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান ও র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কামরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অভিযানে আটক তিনজন হলেন, টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া এলাকার আব্দুল্লাহ (২১), রাজরছড়া এলাকার সাইফুল ইসলাম (২০), এবং একই এলাকার মো. ইব্রাহিম (২০)।
এরা আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের সদস্য। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই চক্রের আরও ৯ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। পলাতকদের মধ্যে রয়েছেন, রেজাউল করিম (৩৭), আয়াতুল তনজিদ (৩০), রোহিঙ্গা তুফান, আব্দুল আলীম, জাকির, রশিদ মেম্বার, মজিব (৩০), জয়নাল (২৫) ও আব্দুল মজিদ (২০)
অভিযানে একটি বিদেশী পিস্তল ও গুলি, একটি একনালা বন্দুক ও গুলি, একটি ওয়ানগান শুটার ও গুলি, দুইটি দেশীয় রামদা এবং একটি চাকু উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কামরুল হাসান বলেন, পাহাড়ে আটকে রাখা ভুক্তভোগীদের বর্ণ অনুযায়ী তিনটি আস্তানায় হানা দিয়ে ৮৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এরা সবাই মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ডে নেয়ার প্রলোভনে জড়ো হয়েছিল।
বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান জানান, মানবপাচার চক্রের মূলহোতা তিনজন; হোসেন, সাইফুল ও নিজাম। তাদের অধীনে বিশাল নেটওয়ার্ক কাজ করছে। স্থানীয় দালাল, জনপ্রতিনিধি ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সদস্যরাও এ চক্রে জড়িত।
উল্লেখ্য, এর আগে একই পাহাড় থেকে কোস্টগার্ড ১৮ সেপ্টেম্বর ৬৬ জনকে এবং বিজিবি ১৬ সেপ্টেম্বর ১১ জনকে উদ্ধার করেছিল।
Leave a Reply