খন্দকার জলিল, স্টাফ রিপোর্টার
পটুয়াখালীর গলাচিপায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আমখোলা ইউনিয়নের বাঁশ বুনিয়া গ্রামে লাউগাছের চারা খাওয়া নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
ভুক্তভোগী মো. আলমগীর মাদবর (৪৫) পিতা আফছের মাদবর, অভিযোগে তিনি জানান, সম্প্রতি অন্য একজনের জমিতে লাউ গাছের চারা রোপণ করেন। একই গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে সাইদুলের গরু সেই চারাগুলো খেয়ে ফেলায় দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আলমগীর মুদিরহাট থেকে ফেরার পথে হারুন মাঝির বাড়ির সামনে পৌঁছালে সাইদুল ও তার ভাই সলেমান তার পথরোধ করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে হামলা চালায়। হামলা থেকে বাঁচতে আলমগীর হারুন মাঝির ঘরে আশ্রয় নিলেও সন্ত্রাসীরা সেখানেও ঢুকে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে আলমগীরের মাথা, পিঠ, ছিঁনা ও পায়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয় এবং তার ডান পাশের একটি পাঁজরের হাড় ভেঙে যায়।
হামলার সময় হারুন মাঝির স্ত্রী ভুক্তভোগীকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে তাকেও মারধরের শিকার হতে হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। আলমগীরের দাবি, তার সঙ্গে থাকা নগদ ১৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় সাইদুল। বর্তমানে তিনি গুরুতর অবস্থায় গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে গলাচিপা থানার এসআই আব্দুল হাকিম বলেন, “আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই এবং প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাই। অতি দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
স্থানীয়রা জানান, একটি লাউগাছের চারা নিয়ে শুরু হওয়া এ বিরোধ এতটা ভয়ঙ্কর রূপ নেবে তা কেউ কল্পনাও করেনি। এলাকায় বর্তমানে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
Leave a Reply