আওরঙ্গজেব কামান : উপকণ্ঠ সাভার ও আশুলিয়া—ধলেশ্বরী ও বংশী নদীর তীরে অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ভৌগোলিক বৈচিত্র্য এবং শিল্পোন্নয়নের এক অনন্য জনপদ। দেশের বৃহত্তম পোশাক শিল্প থেকে শুরু করে অগণিত কারখানা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ায় রাজনৈতিকভাবেও এ অঞ্চল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জনপদকেই কেন্দ্র করে গঠিত জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৯ আসন। এই আসনের মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন আন্দোলন-সংগ্রামে পরীক্ষিত ত্যাগী নেতা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর রাজপথের আন্দোলনে সবচেয়ে আলোচিত ও নির্ভরযোগ্য নেতৃত্বের তালিকায় শীর্ষে ডা. দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন বাবু। বিগত ১৭ বছর ধরে তিনি প্রায় অর্ধশত মিথ্যা মামলার আসামি ছিলেন এবং একাধিকবার কারান্তরিণ হয়েছেন, অথচ ত্যাগ ও সাহসিকতায় এক ইঞ্চি বিচ্যুত হননি। হামলা-মামলা-গ্রেফতার-নির্যাতন তাকে দমাতে পারেনি—বরং আরও দৃঢ় করেছে। তিনি একাধারে সাবেক সংসদ সদস্য এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে রাজপথ থেকে আদালত পর্যন্ত প্রতিটি পর্বে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন দলের নিবেদিতপ্রাণ নেতৃত্ব হিসেবে। আমরা একটু পিছনে গেলে দেখব, সাংসদ থাকাকালীন ভূমিকা ও অবদান ছিল এলাকায় আকাশচুম্বী। সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি স্থানীয় উন্নয়নকাজ, সাংগঠনিক তৎপরতা এবং জনকল্যাণমূলক উদ্যোগে সক্রিয় ছিলেন। এলাকা সফর, কর্মীসংগঠন, সহনেতা ও কর্মীদের পাশে থাকা এবং সাংগঠনিক কাঠামো দৃঢ় করার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা এখনও নেতাকর্মীদের কাছে স্মরণীয়। স্কুল কলেজ মাদ্রাসা রাস্তাঘাট সকল ক্ষেত্রে তার ব্যাপক অবদান রয়েছে। যে কারণে তিনি সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে ওঠেন।
সাভার-আশুলিয়া অঞ্চলের কৃষক, শ্রমিক, গার্মেন্টস কর্মী, প্রবাসী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ছাত্র, ধর্মীয়-সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে ডা. সালাউদ্দিন বাবু সমানভাবে গ্রহণযোগ্য। গরিব-দুঃখী খেটে খাওয়া মানুষের পাশে প্রতিনিয়ত থাকার কারণেই তাঁর প্রতি জনভালোবাসা স্বতঃস্ফূর্ত। তাঁর আয়োজন করা যেকোনো সভা-সমাবেশ অল্প সময়ের মধ্যেই জনসমুদ্রে পরিণত হয়—যা তাঁর জনপ্রিয়তার স্পষ্ট প্রমাণ। তিনি সবসময়
মানবিক ও উন্নয়নমূলক উদ্যোগ গরম করে চলেছেন। স্থানীয় মানুষের চিকিৎসা, আর্থিক সহায়তা, শ্রমজীবীদের অধিকার রক্ষা, গ্রামাঞ্চলে ত্রাণ কার্যক্রম, রাজনৈতিক বন্দিদের পরিবারের পাশে থাকা—এসব ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন সামনের সারিতে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার সাথে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে তিনি সংগ্রামী নেতার পাশাপাশি মানবিক নেতার স্বীকৃতিও পেয়েছেন। এ বিষয়ে ভোটারদের অনুভূতি ও মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা জানতে চাইলে তারা বলেন,ঢাকা-১৯ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন অন্তত চারজন। তবে মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মতে একটাই নাম সর্বাধিক আলোচিত ও গ্রহণযোগ্য—ডা. সালাউদ্দিন বাবু।
জনমত বলছে—“যিনি দুর্দিনে রাজপথে ছিলেন, মানুষের পাশে থেকেছেন এবং সংগঠন ধরে রেখেছেন—তাকে প্রার্থী করাই হবে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত ।মাঠপর্যায়ের জরিপ ও গণসংযোগে তাঁর জনপ্রিয়তা প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় তিনি অনেক এগিয়ে। স্থানীয় নেতা ও বিশিষ্টজনদের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, এই আসনে একমাত্র বিএনপি’র নির্ভরযোগ্য প্রার্থী ডাঃ সালাউদ্দিন বাবু। তিনি মনোনয়ন পেলে অবশ্যই জয়ী হবেন। এছাড়া বিএনপি, অঙ্গসংগঠন এবং জোটভুক্ত দলগুলোর নেতারা মনে করেন, দলের কঠিন সময়ে যে কজন নেতা বুক চিতিয়ে রাজপথে ছিলেন তাদের মধ্যে ডা. বাবু অন্যতম। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা, সাহসিকতা, জনসম্পৃক্ততা এবং ত্যাগের নজির স্থানীয়ভাবে শক্ত ভিত তৈরি করেছে। এ বিষয়ে পেশাজীবী সংগঠনের একাধিক প্রতিনিধির বলেন,“ডা. সালাউদ্দিন বাবুর মতো নিবেদিত ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী এই আসনে খুব কমই আছে। এ বিষয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও অঙ্গীকার করে
মনোনয়ন প্রসঙ্গে ডা. সালাউদ্দিন বাবু বলেন—“জনগণই আমার শক্তি। আন্দোলন-সংগ্রামে যে ভূমিকা রেখেছি, জনগণ তার মূল্য দিয়েছে। দলও দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি। মনোনয়ন পেলে মানুষের অধিকার, কর্মসংস্থান, সম্মান ও নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করব।তিনি আরও বলেন—“ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের নির্বাচন। বিএনপির জন্য এটি বড় পরীক্ষা, আর আমি সেই পরীক্ষায় মাঠের মানুষ নিয়েই প্রস্তুত।
এদিকে দলের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে তিনি এগিয়ে রয়েছেন এমন তথ্য পাওয়া গেছে। বিএনপির নীতিনির্ধারকদের অনেকেই মনে করেন, মাঠের জনপ্রিয়তা ও ত্যাগের মূল্যায়ন করেই মনোনয়ন নির্ধারণ করা উচিত। সাম্প্রতিক বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ আলোচনাতেও তাঁর নাম অগ্রাধিকার পেয়েছে। নেতাকর্মীদের প্রত্যাশাও তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। আমি মনে করি ঢাকা-১৯ আসনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এখন অনেকটাই নির্ভর করছে বিএনপির মনোনয়ন সিদ্ধান্তের ওপর। এখানে যিনি মনোনীত হবেন, তাঁকেই বহন করতে হবে আন্দোলন, ভোট এবং জনগণের প্রত্যাশা—আর সেখানেই এগিয়ে ডা. দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন বাবু। এখন শুধু প্রতীক্ষার পালা কেন্দ্র সিদ্ধান্তের।
আওরঙ্গজেব কামাল
সভাপতি
ঢাকা প্রেসক্লাব
Leave a Reply