
সাখাওয়াত ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) :
চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর এলাকাবাসীর ভালোবাসায় ভাসছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য লায়ন মো. হারুনুর রশিদ। বুধবার (৫ নভেম্বর ২০২৫) বিকেলে তিনি ঢাকা থেকে চাঁদপুর হয়ে ফরিদগঞ্জে পৌঁছালে হাজারো নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। ঢাকা থেকে ফরিদগঞ্জে আসার পথে বিভিন্ন স্থানে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও মিছিলের মাধ্যমে তাকে বরণ করে নেয় নেতাকর্মীরা। উপজেলা সদর হয়ে পৌর শহরে প্রবেশের সময় ‘ধানের শীষের জয় হোক’, ‘হারুন ভাই এগিয়ে চল, জনগণ তোমার সঙ্গে’ — এমন স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। পরে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে তাৎক্ষণিক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতাকালে লায়ন মো. হারুনুর রশিদ বলেন— “ফরিদগঞ্জের জনগণের প্রতি আমার অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। আমি আপনাদের ভালোবাসায় সিক্ত। আজকের এই অভ্যর্থনা আমাকে নতুন করে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি কৃতজ্ঞ বিএনপির চেয়ারপারসন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানসহ দলের স্থায়ী কমিটির সকল নেতৃবৃন্দের প্রতি। তারা জনরায়ের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে ধানের শীষের পতাকা আমার হাতে তুলে দিয়েছেন।” তিনি আরও বলেন— “ফরিদগঞ্জের মানুষ গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও অধিকার রক্ষার আন্দোলনে বারবার নিজেদের ভূমিকা রেখেছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত হবে। কারণ, এই এলাকার মানুষ বিএনপির প্রতি অনুরাগী এবং নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন, মামলা, গুম ও খুনের শিকার হয়েও দলের প্রতি যে আস্থা রেখেছেন—আজ তারই প্রতিদান পাচ্ছেন।” মনোনয়ন বঞ্চিতদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন— “দলের প্রতি শ্রদ্ধা ও আনুগত্যই আমাদের মূল শক্তি। দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে, দলের বৃহত্তর স্বার্থে তা মেনে নেওয়াই একজন সত্যিকারের কর্মীর পরিচয়। আমি আশা করি, সবাই এই বিষয়টি উপলব্ধি করবেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করবেন।” তিনি আরও বলেন— “আমি ফরিদগঞ্জে রোহিঙ্গা হয়ে আসিনি। এই উপজেলার মাটিতেই আমার জন্ম, এখানে বড় হয়েছি। তাই ফরিদগঞ্জের প্রতিটি মানুষ, প্রতিটি গ্রাম, প্রতিটি সমস্যাকে আমি চিনি ও জানি। কে কী বললো তাতে কিছু যায় আসে না—দলের সিদ্ধান্তই আমাদের কাছে চূড়ান্ত ও অবিচল।” সমাবেশস্থলে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। কেউ ফুল দিয়ে, কেউ মিষ্টি বিতরণ করে প্রিয় নেতাকে বরণ করেন। চারদিকে ‘হারুন ভাই ফিরে এসেছেন’—এমন স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। উপস্থিত নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন— উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক নাছির পাটওয়ারী, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টিপু, জেলা যুবদলের সদস্য ফজলুর রহমান ও সোহেল খান, পৌর বিএনপি নেতা বিল্লাল কোম্পানি, মোখলেছুর রহমান ভুট্টেুা, এম এম টুটুল পাটোয়ারী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের মানিক পাটওয়ারী, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সেলিম মাহমুদ রাঢ়ি, হারুন পাঠান, উপজেলা বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির কাজি, পৌর যুবদল নেতা মোহাম্মদ আলী, পেয়ার আহমেদ তালুকদার, কামরুল ইসলাম পাটোয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক শাওন পাঠান, মনির মাষ্টার, হোসেন পাটোয়ারী, ছাত্রদল নেতা শফিকুল ইসলাম স্বপন, মনির হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মহিন আহমেদ ভুইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ আলম, ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম সুমন, ইয়াসিন আখন সুজন প্রমুখ। সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা ধানের শীষের বিজয়ের শপথ নিয়ে ফরিদগঞ্জ জুড়ে ব্যাপক গণসংযোগ কর্মসূচি শুরু করার ঘোষণা দেন।
Leave a Reply