শিরোনাম :
“পুলিশের ওপর হামলা মামলার আসামি ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ- চট্টগ্রাম শাখার এক নেতা। তাকে উক্ত মামলায় গ্রেফতার করা হলে, এর প্রতিবাদে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানা ঘিরে দিনভর বিক্ষোভ করে ‘ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশের’ নেতাকর্মীরা আশুগঞ্জে ১৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারী গ্রেফতার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে বিদায়ী সংবর্ধনা জানালেন, হরিণাকুণ্ডুর মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার চোর সন্দেহে যুবককে হত্যা চেষ্টা হারুয়ালছড়িতে বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ ঝিনাইদহে জামায়াতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার- সার,বীজ উদ্ধারের নাটক সাজানোর অভিযোগে তোলপাড়- মির্জাপুর গোলাপী হত্যা মামলায় স্বামী আব্দুল কাদের শশুর বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী রফিকের পিতার জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবের নির্বাচনে সভাপতি ইমদাদুল, সম্পাদক হিরো জামায়াতকে আমরা ১৯৭১ সালেই দেখেছি, নতুন করে দেখার কিছু নেই – আমিনুল হক

জয়পুরহাটে কোমর ভেঙে দশ বছর ধরে বিছানা বন্দি সুমন

স্টাফ রিপোর্টারঃ মোঃ রুবেল ইসলাম সিডর
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৩ মার্চ, ২০২১
  • ৭৩৭ বার পঠিত

সংসারে অভাব ঘোচাতে ঢাকায় কাজ করতে গিয়ে কোমর ভেঙ্গে ১০ বছর ধরে মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটপট করছে সুমন নামে এক দরিদ্র যুবক। জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল পৌর শহরের বটতলী হাটখোলার পতিত জমিতে বছরের পর বছর অসহ্য যন্ত্রনা নিয়ে বিছানাবন্দি হয়ে পড়ে থাকলেও এখনো তার কপালে জোটেনি সরকারী কোন ভাতা। সুমন বটতলী হাটখোলার বাসিন্দা মজর উদ্দীন ও ফরিদা বেগমের ছেলে। জানা গেছে, মা-বাবার ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর সংসারের হাল ধরতে ট্রাকের হেলপার হিসেবে ২০১১ সালে কাজ করতে যায় ঢাকার কাচপুরে। আর সেখানেই মালামাল লোড দেওয়ার সময় ৭-৮টি সিমেন্টের বস্তা তার উপর পড়লে কোমর ভেঙ্গে যায়।
পরবর্তীতে মিল চাতালে কাজ করা স্বামী পরিত্যাক্তা মা ফরিদা বিবি কিছুদিন সন্তানের চিকিৎসা করলেও অর্থাভাবে বেশী দূর এগুতে পারেন নি। আর সেই থেকেই দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বিছানাবন্দি হয়ে পড়ে আছে অভাগা সুমন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, একটি ছোট ঝুপড়ী ঘরে কাঠের চৌকিতে এক পাশ হয়ে হাতে তশপি ধরে শুয়ে আছে সুমন। কোমরের পাশে একটি স্পিডি ফ্যান ঘুরছে। দু পায়ে পচন ধরেছে। সুমন জানায়, একদিন অভাব দূর করতে ট্রাকের হেলপার হিসেবে ঢাকায় গিয়েছিলাম। নিয়তির নির্মম পরিহাসে অভাব দূরতো করতেই পারলাম না, উপরন্তু মায়ের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়ালাম।
সুমনের মা ফরিদা বিবি জানালেন, সন্তানের একটি প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য স্থানীয় ম্যাম্বার চেয়ারম্যান ও নেতাকর্মীর কাছে হাত পেতেছি। কিন্তু প্রতিশ্রুতি ছাড়া কেউ কিছুই দিতে পারেনি।এ বিষয়ে ক্ষেতলাল সমাজ সেবা অফিসার মো: মিজানুর রহমান জানান, ‘বিছানাবন্দি যুবক সুমনের বিষয়ে আপনার কাছ থেকেই প্রথম শুনলাম। আমার অফিসে আসলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন সমাজকর্মী তার জরিপ ফরম পূরন করবে এবং আমার ফরওয়ার্ডিং এ ডাক্তার এর কাছে প্রেরণ করার পর ডাক্তার যদি তাকে প্রতিবন্ধী হিসাবে আইডেন্টিফাই করে তবে তাকে সুবর্ণ নাগরিক কার্ড প্রদান করব। তারপরে ইউনিয়ন কমিটি তার নামের তালিকা আমার কাছে প্রেরণ করলে আমি তাকে ভাতা প্রদান করতে পারব।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com