নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলায় অবাধে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব।সরকারি খাস জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে প্রতিনিয়তই।
অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে সন্দ্বীপ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরকারি খাস জমি ও খাল থেকে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে।যা সন্দ্বীপ উপজেলায় অতীতে কখনো দেখা যায়নি।প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এবং প্রশাসনের চোখের সামনে দিয়েই দিনরাত মাটি ভর্তি ট্রাক ও হাইড্রোলিক চলছে সরকারি খাস জমিতে।
গ্রামের বিভিন্ন কাচাপাকা রাস্তাঘাট ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।মাটি ভর্তি অতিভারী লাইসেন্স বিহীন হাইড্রোলিক ও ট্রাক দিনরাত চলাচলের ফলে নতুন ও সংস্কার করা পাঁকা রাস্তা গুলো ভেঙে চৌচির হয়ে যাচ্ছে।রাস্তার ধুলোমাটিতে আশপাশের বাসাবাড়ি, দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।মাঝে মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলেও তা ঘন্টা খানেকের মধ্যে আবারও বীরদর্পে শুরু করে মাটি কাটা।এই সকল ভূমি দস্যুদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি না হওয়ার কারণেই মাটি কাটা বন্ধ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
গতরাত নয়টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,গুপ্তছড়া ঘাটের পাশে বি,বি,এস ব্রিকফিলের পিছনে সরকারি খাস জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে।এমন সময় সন্দ্বীপ থানায় ফোন করলে ফোনে কাউকে পাওয়া যায়নি।এরপর সহকারী ভূমি অফিসার কে ফোন দিলে তিনি ইউনো কে ফোন করে জানাতে বলেন।আবার ইউনো কে ফোন দিলে মোবাইল রিসিভ করেন নাই।এতে হাতেনাতে ধরার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়।তবে সঠিকভাবে জানা যায়নি কার নির্দেষে এইভাবে খাস জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে।
সন্দ্বীপ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় প্রায় কয়েকটি জায়গায় এক্সক্যাভেটর(ভ্যেকু)দিয়ে ফসলি জমির টপ সয়েল কেটে জমির উর্বরতা নষ্ট করা হচ্ছে যা আইন বহির্ভূত।এই মাটি বেশির ভাগই চলে যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়।মাটি ব্যবসায়ীগন এক শ্রেণীর দালালের মাধ্যমে জমির মালিককে লোভ দেখিয়ে কখনও বা বেকায়দায় ফেলে ৬ থেকে ৮ ফুট গর্ত করে মাটি বিক্রি করতে বাধ্য করছে।যেখানে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন এক টুকরো জমিও ফাকা রাখা যাবেনা,সেখানে মাটি কাটার কারনে আবাদি জমি প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ নতুন পাকা রাস্তা গুলো ভেঙে চৌচির হয়ে গেছে এবং দিনরাত মাটি ভর্তি হাইড্রোলিক গাড়ি চলাচলের কারনে ধুলোমাটিতে বাড়ি ঘর ভরে যাচ্ছে ও খাবার বিনষ্ট হচ্ছে।সন্দ্বীপে একটা ইটের ভাটা ছাড়া বাকী সবগুলো ইটের ভাটা অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে চালিয়ে যাচ্ছে।এলাকাবাসীর দাবি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে অবাদে মাটি কাটা বন্ধ করা না হলে একদিকে যেমন ফসলের জমি নষ্ট হয়ে যাবে।এমতাবস্থায় স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন সচেতন মহল।
অন্যদিকে কয়েকজন মাটি ব্যবসায়ীর সাথে কথা বললে তারা জানান আমাদের সাথে থানার সাথে কন্ট্রাক আছে।মাটি ব্যবসায়ীর মধ্যে অনেকের নাম উঠে এসেছে আমাদের অনুসন্ধানে।
এই বিষয়ে আজ সন্দ্বীপ থানার অফিসার্স ইনচার্জ বসির আহমেদ এর সাথে কথা বললে তিনি জানান আমি এইসব বিষয়ে কিছু জানিনা।আপনাদের কাছে খবর থাকলে আমাদের জানাবেন।আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
Leave a Reply