লোভে পাপ আর পাপে মৃত্যু এটি চিরন্তন সত্য বাক্য। এবার এমন লোভের ফাঁদে পা দিয়েই মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হলে জহুরুল ইসলাম (৩২)।
রবিবার (৯ মে) রাত ১০ টায় ১৬ কেজি মাদকদ্রব্য (গাঁজা) সহ জহুরুলকে আটক করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।
ধৃত আসামী জহুরুল ইসলাম ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর বাঁশেরবাদা গ্রামের মৃত মজিবর প্রাং।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার গভীর রাতে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়া -বাঁশেরবাদা ঈদগাহ সংলগ্ন স্থানে একটি ট্রাক থেকে ২ বস্তা গাঁজা আনলোড করে একটি ব্যাটারী চালিত ভ্যানে তোলা হয়। এরপর মাদকচক্রটি গাঁজা সহ বাঁশেরবাদা মোড় সংলগ্ন স্থানে পৌঁছালে অপর একটি পক্ষ গাঁজা গাঁজা বলে ছিনিয়ে নেওয়া চেষ্টা করে। সেসময় গাঁজা লুটের এমন সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি ধৃত আসামী জহরুলও। তাই তো সুযোগ বুঝে ৫ পুটলা গাজা সরিয়ে নেন।
এরপরই সোর্সেস মাধ্যমে ঘটনার খবর আসে পুলিশের কাছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। কিন্তু ততক্ষনে গাঁজা সহ মাদক ব্যবসায়ী, ভ্যানচালক ও লুটেরা নিখোঁজ।
এরপর সেই কথিত সোর্সের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জহুরুলের পরিবারে সকল সদস্যকে জিজ্ঞাসা বাদে হদিস মিলে জহুরুলের। একের পর এক চুল ছেড়া জিজ্ঞাসায় শিকার করে গাঁজা লুকানোর কথা। জহুরুলের দেওয়া তথ্য মতে পরে ১৬ কেজি লুকিয়ে রাখা গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ।
ঈশ্বরদী আটঘড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির জানান, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৬ কেজি গাঁজাসহ তাকে আটক করেছি।
এদিকে আসামীর বিরুদ্ধে রুজু করা মামলায় উল্লেখ করা হয় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং ধৃত আসামীকে তাড়া করে ধরতে সক্ষম হয়।
তবে প্রকাশ না শর্তে এক পুলিশ সদস্য জানান, আসলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোনো অভিযান হয় নি, গাঁজা লুটের পর সেখান থেকে আমাদের কাছে খবর আসে তারপর আমরা সেখানে উপস্থিত হয়।
ঘটনারসূত্র ধরে এরপর সোমবার (১০মে) দুপুরে আবারো অভিযান পরিচালনা করেন ঈশ্বরদী আটঘড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির। এসময় একই গ্রামের জরিনা বেগমের (পিতা তফিজ কারিগর) এর বতবাড়ি তল্লাশি করে ১৯ কেজি গাঁজা ও নগদ ৯৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সর্বমোট ৩৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে ঈশ্বরদী থানার পুলিশের দুই সদস্যের সামনে কথিত সেই সোর্স দাম্ভিকতার সাথে সাংবাদিকদের জানান, আমি নিজে গাঁজা উদ্ধার করে দিয়েছি। সংবাদ প্রকাশ করলে আমার ক্রেডিটে নামটা দিয়েন। পুলিশ সদস্যের উপস্থিতে সোর্সের এমন বক্তব্যে কিছুটা বিষ্মিত সাংবাদিকরা।
তবে কথিত সোর্সের এমন বক্তব্যের কারন পুলিশের কাছে জানতে চাইলে এ বিষয়ে কোনো উত্তর পাওয়া যায় নি।
স্থানীয়রা জানান, কথিত সেই সোর্সের নিকটাত্মীয় এক ফাঁড়ির ইনচার্জ হওয়ায় তার নাম ভাঙ্গিয়ে
দীর্ঘদিন ধরে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের সাথে সখ্যতা গড়ে এলাকায় এ ধরনের অপকর্ম করে আসছে।
এ ঘটনায় জহুরুলকে আসামী করে ঈশ্বরদী থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩৬(১) সারণির ১৯ (গ)/৩৮/৪১ ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
তবে মুল আসামীর সকলেই ধরা ছোয়ার বাহিরে রয়েছে
Leave a Reply