
প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট-এ মামলা ও তাকে শারীরিক নির্যাতনের প্রতিবাদে আজ বুধবার অপরাহ্নে মুন্সীগঞ্জ সাংবাদিক ক্লাবের উদ্যোগে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
এতে সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে দেওয়া মামলা প্রত্যাহার ও তাকে শারীরিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সদস্য ও নেতৃবৃন্দ। তারা অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন। যারা এ জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয় মানববন্ধন থেকে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি এম এ হালিম, সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল, ইউএনবি’র বিশেষ সংবাদদাতা জি এ এফ সুলতানা (কাজী শিল্পী), সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মো. মিনহাজুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফরহাদ হোসেন, কার্যকরী সদস্য সুজন বেপারী, জহির মাহমুদ, সুজন ঢালী, লিটন মাহমুদ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, যেভাবে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়েছে, তা মুক্ত গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার জন্য হুমকি। স্বাস্থ্য বিভাগের ভঙ্গুর অবস্থা,দুর্নীতি নিয়ে করোনা কালীন সময়ে বহু অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ করায় তার উপর বর্বর হামলা চালিয়েছে সরকারী আমলারা। তাকে সেদিন নির্যাতন করা হলো সেটা সমগ্র বাংলাদেশকে নির্যাতন করার সামীল। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি মিথ্যা,বানোয়াট।
সাংবাদিক নেতারা আরও বলেন, একের পর এক দুর্নীতির ঘটনা তুলে ধরার কারণে রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রোষানলে পড়েন। পরিকল্পিতভাবে তাঁকে ফাঁসানোর জন্য হেনস্তা করে এই মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। দেশের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে শেষ করে দিতে রোজিনা ইসলামের উপর এমন নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে নেওয়া হয়েছে। এ মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে তাঁকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান সাংবাদিকরা।
প্রসঙ্গত, সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরির চেষ্টা ও মোবাইল ফোনে ছবি তোলার অভিযোগে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য সচিবের পিএস-এর কক্ষে পাঁচ ঘণ্টার মতো সময় আটকে রাখা হয়।
এরপর তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং রাতেই তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে মামলা করে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
Leave a Reply