শিরোনাম :
আমতলীতে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিলেন ফরিদ উদ্দিন মাতুব্বর ও গাজী মোঃ সালাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিবি কর্তৃক ১০ কেজি গাঁজা ও ০১টি অটোরিক্সা সহ ০৩ জন মাদক কারবারী গ্রেফতার। দাউদকান্দিতে বেগম রহিমারোশন মাদরাসায় অভিভাবক কাউন্সেলিং। সাবেক এমপি মোস্তফা কামাল পাশার উদ্যেগে সন্দ্বীপে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ ও পথসভা অনুষ্ঠিত। বরগুনার আমতলীতে অভিযান চালিয়ে ৬২ বস্তা অবৈধভাবে মজুদ করা সরকারি সার জব্দ করেছে পুলিশ ও কৃষি বিভাগ গলাচিপা নির্বাহী আদালতের পেশকার আবু জাফর এর বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে আদালত বর্জন ঘোষনা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে বিএনপির অঙ্গীকার: আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার সংবাদ প্রকাশের পর দূর্গাপুরে ভুয়া আল আকশা ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ গণতন্ত্র বনাম রাজনীতি: সংকটে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া রাজশাহীতে বহিষ্কৃত ডিবি হাসানের সহযোগীদের চার্জশিটে অন্তর্ভুক্তির দাবি

রাজপাড়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মকবুলের বিরুদ্ধে পাহাড় সমান অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৮ জুন, ২০২১
  • ৭৭৫ বার পঠিত

নিজের শারীরিক পঙ্গুত্ব ও রাষ্ট্রীয় পদককে ঢাল বানিয়ে রমরমা করছেন গ্রেফতার বাণিজ্য, নিরীহ দের ফাঁসাচ্ছে মিথ্যা মামলায় আরএমপি,রাজপাড়া থানার সেকেন্ড অফিসার এস,আই মকবুল

সাড়া পৃথিবীর মত গোটা দেশ যখন কোভিড ১৯ মহামারিতে স্তব্ধ ঠিক তখনই আরএমপি,রাজশাহীর রাজপাড়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই/মকবুলের বিরুদ্ধে উঠেছে নানা দূর্ণীতি ও ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ।ভুক্তভোগী অভিযোগকারী জনৈক মোঃ লিটন শেখ (৩২), পিতাঃ মোঃ ইয়াসিন শেখ, সাং- মহিষবাথান, থানাঃ রাজপাড়া, বর্তমান সাং- হড়গ্রাম শেখপাড়া, থানাঃ কাশিয়াডাঙ্গা, মহানগর রাজশাহী পেশায় একজন দরিদ্র ব্যবসায়ী আজকের রাজশাহী কে লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, “গত ইং ০৮/১২/২০১৯ তারিখে আমার ১টি পিকআপ গাড়ী ছিনতাই হওয়ার অভিযোগ অন্তে ওসি সাহেবের নিদের্শ মতে তৎকালীন কাশিয়াডাঙ্গা থানার সেকেন্ড অফিসার হিসাবে কর্মরত নিয়োজিত থাকাবস্থায় এস.আই মকবুল হোসেন (বর্তমানে রাজপাড়া থানার সেকেন্ড অফিসার হিসাবে কর্মরত আছে) গত ইং ১১/১২/২০২১ তারিখে গাড়ীটি উদ্ধার এবং আসামীদেরকে থানায় এনে মামলা না নিয়ে আসামীদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আমাকে আপোষ মিংমাসার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। আমি পরবর্তীতে কোর্টে মামলা দায়ের করি। এস.আই মকবুল হোসেন তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং স্থানীয় প্রভাবে নিজস্ব লোকজন দ্বারা প্রায় ২ মাস পরে একটি মিথ্যা জব্দ তালিকা তৈরি করে। এসআই মকবুল ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে ১নং আসামীকে বাদী করে কোর্টে মিথ্যা মামলা দায়ের করান। পরবর্তীতে সিআইডি দ্বারা তদন্ত শেষে আমাকে উক্ত মামলা থেকে অব্যহতি প্রদান করা হয়েছে। আমার কোর্ট মামলা এসআই মকবুল অর্থ লোভী আসামী দ্বারা প্রলোভিত হয়ে নিজেই তদন্ত শেষে ধারা বাদ দিয়ে কোর্টে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে আমি নারাজি প্রদান করি। আমি বাদী হয়ে পূর্বে এসআই মকবুলের বিরুদ্ধে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স বরাবর দরখাস্ত দিলে উক্ত তদন্তে জব্দ তালিকায় বর্ণিত সাক্ষীদ্বয়কে দিয়ে অর্থ ও ভয়-ভীতির মাধ্যমে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করায়। আমি কিছুদিন পরে জানিতে পারি যে, আমার জব্দ তালিকায় বর্ণিত সাক্ষীদ্বয় এসআই মকবুল হোসেন র একান্ত সোর্স এবং তার বিভিন্ন সময়ে অসংখ্য সাজানো মাদক মামলার ও জব্দ তালিকায় অর্থের বিনিময়ে সাক্ষী হয়ে থাকেন। যাহা প্রমাণ স্বরূপ আমার নিকট জব্দ তালিকার সাক্ষীদ্বয়ের কথোপনের রেকর্ড সংরক্ষণ আছে। আমি আরএমপি কমিশনার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করলে অভিযোগটি তদন্ত শেষে মাননীয় পুলিশ কমিশনার বরাবর তদন্ত রিপোর্ট প্রেরণ হলেও বর্তমানে রাজপাড়া থানায় সেকেন্ড অফিসারের দায়িত্বপ্রাপ্ত /এস.আই মকবুল হোসেন শরীরিক পঙ্গুতাকে হাতিয়ার বানিয়ে, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাজনৈতিক প্রভাবে ধামাচাপা দেওয়ায়।
আমি গত ইং ২২/০২/২০২১ সময় অনুমান বিকাল ০৩.০০ ঘটিকায় রাজশাহী সিএমএম কোর্টে গেলে এসআই /মকবুল আমাকে কোর্টে দেখে আমার কাছে এসে কোর্টে উপস্থিত লোকজনের সামনে আমাকে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার জন্য প্রকাশ্যে ভয়ভীতি এবং ভবিষ্যতে বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করিবে বলে হুমকি প্রদান করে। আমাকে আরও বলে যে, “তুই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিস, তুই মনে করিস আমি তোকে ছেড়ে দিব, তোর বারটা বাজিয়ে ছাড়ব” বলে হুমকি প্রদান করে। উক্ত বিষয়টিও ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এস.আই মকবুল হোসেন শরীরিক পঙ্গুতাকে হাতিয়ার বানিয়ে এবং পূর্বে কোর্টে চাকুরী করার সুবাদে উপস্থিত সাক্ষীদেরকে সাক্ষ্য না দেওয়ার জন্য পেশকারের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ করেন। যাহার প্রমাণ আমার মোবাইলে রেকর্ডিং করা আছে। আমি গত ই ১৬/০৩/২০২১ তারিখে হ্যালো আরএমপির অ্যাপ এর মাধ্যমে পুলিশ কমিশনার, আরএমপি বরাবরে অভিযোগ প্রেরণ করিলে,অভিযোগ গ্রহণ পূর্বক আমাকে ফিরতি এসএমএস এর মাধ্যমে গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত হলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এসআই মকবুল হোসেন কাশিয়াডাঙ্গা থানার সেকেন্ড অফিসার হিসাবে কর্মরতবস্থায় শরীরিক পঙ্গুতাকে হাতিয়ার বানিয়ে, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাজনৈতিক প্রভাবে বিভিন্ন অপকর্মের সহিত জড়িত ছিল এবং তার বিভাগীয় মামলায় পুলিশ সদস্যকে ফাঁসানোর জন্য সাক্ষীদেরকে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদানসহ আরএমপিতে একাধিক অভিযোগ তদন্তাধীন থাকা সত্বেও সব সময় পার পেয়ে যাচ্ছে। আমি আবারও বিচারের দাবীতে গত ইং ২৭/০৬/২০২১ তারিখ মাননীয় পুলিশ কমিশনার, আরএমপি, রাজশাহী এবং অদ্য ইং ২৮/০৬/২০২১ তারিখে ১। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়, ঢাকা, ২। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকা, ৩। মাননীয় ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকা, ৪। মাননীয় এআইজি, আইজিপি কমপ্লেইন্ট সেল, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকা, বরাবরে দাখিল করেছি।”অভিযোগ প্রাপ্তি র পর এসআই/ মকবুলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে আরো জানা যায় সে রাজশাহী মহানগরের কাশিয়াডাংগা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। কাশিয়াডাংগা থানায় কর্মরত থাকাকালীন তাঁর সহ কর্মী এসআই/ মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে একত্রে গোটা এলাকায় করেছিলেন নানা অপরাধ।

সম্প্রতি এসআই/ আলীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ তদন্ত করছে আরএমপি,সিটিএসবি র এডিসি।তদন্তে বেরিয়ে এসেছে এই এসআই/মকবুলের নানা কুকীর্তি র অডিও রেকর্ড।উক্ত তদন্তেও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই/মকবুলকে শাস্তির আওয়াতায় আনতে মাননীয় পুলিশ কমিশনার বরাবর সুপারিশ করলেও কোনো এক অজানা কারণে স্থবির হয়ে আছে এসআই/মকবুলের শাস্তি প্রক্রিয়া।জনমনে তৈরী হচ্ছে নানা প্রশ্ন ও আতংক।
মুঠোফোনে এসআই/মকবুলকে একাধিক বার ফোন করে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন ধরেন নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com