কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ঢাকায় যাওয়ার জন্য রংপুরে শত শত মানুষ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। এসব মানুষ বিভিন্ন পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। চাকরির কারণে তাঁদের ঢাকায় যেতে হবে। তাই তাঁরা রংপুর শহরের মডার্ন মোড় এলাকায় সমবেত হয়েছেন। তাঁরা পণ্যবাহী ও খালি ট্রাকে চড়ে রওনা দেন, তবে পুলিশ তাঁদের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার (৩১জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শত শত মানুষ জড়ো হয়ে কোনো না কোনো যানবাহনে চড়ছেন। এর মধ্যে কিছু ট্রাক রয়েছে। রয়েছে থ্রি–হুইলার, ভটভটি, পিকআপ ভ্যান। সকালের দিকে কিছু গাড়ি রংপুর শহরের মডার্ন মোড় থেকে ছেড়েও গেছে। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ বাড়তে থাকে। শেষে পুলিশ এসে এসব যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে উপায় না পেয়ে ঢাকা যাওয়ার জন্য বের হওয়া শত শত নারী–পুরুষ ওই এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছেন।
বেলা দুইটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলছিল। ফলে মহাসড়কের দুই পাশে যানবাহনও আটকা পড়েছে। এ অবস্থা চলে আসছে দুপুর ১২টা থেকে।
শহরের মডার্ন মোড় এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, শত শত মানুষ গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন। প্রচণ্ড রোদের কারণে কেউ গাছের নিচে, কেউ দোকানের শেডে বসে আছেন। তাঁদের অধিকাংশই পোশাকশ্রমিক। ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় চাকরি করেন। সকাল থেকে ইতিমধ্যে কিছু মানুষ চলেও গেছেন। বেলা ১১টার পর মানুষ যখন বাড়তে থাকে, তখন পুলিশ যান চলাচলে বাধা দেয়। এমন অবস্থায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের একটাই দাবি, চাকরির কারণে তাঁদের ঢাকায় যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
পুলিশের মধ্যস্থতায় ৬ ঘণ্টা পর বিআরটিসির দোতলা বাসে ঢাকায় যাওয়ার ব্যবস্থা করার মাধ্যমে রংপুরের মর্ডান মোড় থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছেন পোশাক শ্রমিকরা।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানিয়েছেন, গার্মেন্টস খুলে দেয়ার কারণে পোশাক শ্রমিকদের ঢাকায় ফিরে যাওয়ার ব্যাপারটি সরকারের নজরে আসে। শ্রমিকরা সকাল থেকে অবরোধ গড়ে তোলেন। তিনি বলেন, আমরা সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ঈদের আগে ঢাকা থেকে রংপুরে আসা দ্বিতল বিআরটিসি বাসগুলোতে তাদেরকে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেই। এরপর তারা অবরোধ তুলে নেন। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
Leave a Reply