মোঃ রিপন মিয়া:কেরানিগজ্ঞের বিপুলের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পানি ভবনের টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে এই টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান জানায়,পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ছল চাতুরির মাধ্যমে অনেক পরিমান টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক বিপুল । বিপুল নিজেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড এর ডিজি মহোদয়ের ও পানি ভবনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ঘনিষ্ঠ বলে নিজেকে পরিচয় দেয়। বিপুল আমাকে বলেন, আপনার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আমি টেন্ডার দ্রুত পাইয়ে দিব। তার কথা মত আমি প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা তাকে সরল বিশ্বাসে প্রদান করি। কিন্ত আজ অবধি বিপুল আমাকে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া তো দুরের কথা আমার মোবাইল ফোন টা রিসিব করনে না। খোঁজ নিয়ে জানাযায়,তিনি সাবেক কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্রিড়া সম্পাদক ছিলেন । ভূক্তভোগী জানাই , সারাদেশের বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিজেকে যুবদলের নেতা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে, নানা কৌষলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।অভিযোগকারী মিজানুর রহমান আরো বলেন তিনি এক জন পেশাদার প্রতারক । মানুষ কে টেন্ডারের কাজ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে বিশাল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। বিপুরের কাছে টাকা ফেরত চাইলে আমাকে হুমকি দেয়, ওনার বিরুদ্ধে যুবদলের কেন্দ্রীয় লিডারদের কাছে অভিযোগ করলে তারা বলে তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আছে , সে যুবদলের সাথে সম্পৃক্ততা নাই তাকে ধরে পুলিশে দিয়ে দেন,সে যুবদলের নাম ভাঙ্গিয়ে এসব করছে, যে পানি ভবনের দোহাই দিয়েছে, সেখানে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে যে , পানি ভবনে কারো সাথে তার কোন যোগাযোগ নাই । এভাবে অনেক লোক থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় পরিচয় দানকারী এই বিপুল। তার বিরুদ্ধে একাধিক পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও এখনো তিনি বহাল তবিয়েতে রহেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর দাবী বিএনপির নেতাদের উচিত এধরনের প্রতারক দের দল থেকে বহিষ্কার করেতাদের বিরুদ্ধে শায়েস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এ বিষয়ে বিপুলের সাথে মুঠো ফেনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার সাথে মিজানুরের কোন লেনদেন হয়নি। আমি রাসেলের মাধ্যমে ৮ লক্ষ টাকা নিয়েছি পরে ৫ লক্ষ টা তাকে ফেরত দিয়েছি। এটা আমাদের ব্যাবসায়ী লেন দেন। তিনি আরো বলেন আমি বিএনপির কেন্দ্রয়ী সাবেক যুবদলের সহ-ক্রিড়া সম্পাদক।
Leave a Reply