শিরোনাম :
কসবা–আখাউড়া আসনে বিএনপির হাল ধরলেন মশিউর রহমান কুমিল্লায় ১০-বিজিবির অভিযানে বিদেশী পিস্তল, গুলি ১২ কেজি গাজা উদ্ধার আশুগঞ্জে বিপুল পরিমাণ বিদেশি সিগারেটসহ একজন গ্রেফতার খুশি চরফ্যাশন ও মনপুরা সাধারণ জনগণ গলাচিপায় নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, আত্মহত্যা না রহস্য? ভোলা জেলা ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত। বগুড়া-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ রাজশাহীর ছয়টি আসনের দুটিতে নতুন মুখ, চারটিতে প্রবীন রাজনীতিবিদ কথা-কবিতা-গান-সম্মাননায় সাউন্ডবাংলার অনবদ্য আয়োজন অনুষ্ঠিত আটঘরিয়ায় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় পারখিদিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রথম

কুড়িগ্রাম হোমিও কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩ মার্চ, ২০২৪
  • ৪৩৮ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নে খালিশা কালোয়া দাসের হাট এলাকায় অবস্থিত কুড়িগ্রাম হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ ইয়াকুব আলী সরদার এর বিরূদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ওঠেছে।

প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার দাশেরহাটে ১৯৯৫ সালে কলেজটি মোঃ ইয়াকুব আলী ৩১ শতাংশ জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত করেন। কলেজটি হোমিওপ্যাথি বোর্ড ২০১১ সালে নিজস্ব নামে পরিক্ষার অনুমোদন পায়। বর্তমানে ওই কলেজে ৪০০ জন শিক্ষার্থী এবং ৪১ জন শিক্ষক কর্মচারী রয়েছে। প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই মোঃ ইয়াকুব আলী সরদার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।

শিক্ষার্থী ও কলেজের শিক্ষকদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,অধ্যক্ষ নিজের ক্ষমতা অপব্যবহার করে, নিজের খেয়াল খুশি মত কলেজ কে ব্যবহার করছে, প্রতিষ্ঠানিক কোন হিসাব -নিকাশ ঠিক মত কাউকে না দেখায়ে টাকা আত্মসাৎ করতেছে। আর্থিক লেনদেন ভর্তি সংক্রান্ত ফরম পূরণ মাসিক বেতন যাবতীয় কার্যক্রম নিজেই এবং ওনার নিজস্ব নাম্বারে নিয়ে থাকেন।
অনেক শিক্ষক-কর্মচারীর ৩৫ থেকে ৪৫ মাস পর্যন্ত বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুড়িগ্রাম হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক প্রভাষক অভিযোগ করেন, কলেজের প্রতিষ্ঠার সময় থেকে তিনি ওই কলেজে প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ৪৫ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে তার। বার বার বকেয়া বেতন চেয়ে আবেদন করেও তা পাননি। ঐ শিক্ষক বলেন, বকেয়া বেতন-ভাতা পাওনা রয়েছে সেটাও দেওয়া হচ্ছে না। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আমি মানবেতর জীবন-যাপন করছি

বেতন ভাতা ঠিক মত না পাওয়ায় অনেক শিক্ষকগণ, কলেজ এ আসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দুজন শিক্ষক আছে, তাদের পড়ানোর রুটিন আছে, কিন্তু শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ তারা আজ পর্যন্ত তাদের চোখেই দেখেনি।

শিক্ষার্থীরা আরো অভিযোগ করে বলেন, তারা ভালো মানের শিক্ষক না থাকায় তারা কাঙ্খিত পড়াশুনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তাদের কোন ল্যাব নেই,পাঠদানের পর্যাপ্ত উপকরণ নাই,নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকে না। তাদের অ্যাপ্রন আইডি কার্ড এর টাকা নিয়ে এখনো প্রদান করে নাই। এক বর্ষের থাকা কালীন আরেক বর্ষের সেমিস্টার ফি প্রদান করার জন্য তাগিদ।
কোন প্রকার জাতীয় দিবস পালন করা হয় না।বাৎসরিক বরাদ্দের টাকা আসলেও কিছুই ক্রয় করা হয় না।

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মোঃ ইয়াকুব আলী সরদার এর কাছে জানতে চাই , তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে কিছু শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা এমন ষড়যন্ত্র করছে । আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। আমি সৎ ও নিষ্ঠার সাথে আমার দ্বায়িত কর্তব্য পালন করে যাচ্ছি। আমার চাকুরি র মেয়াদ আছে ১ বছর।
০৫ মার্চ (মঙ্গলবার) কলেজের সভাপতি কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ এর অফিস নম্বরে মুঠোফোনে কল দিয়ে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তার প্রতিনিধি ফোন রিসিভ করে বলেন স্যার বাহিরে আছেন। আমি এ বিষয় জানি না । আপনারা পরর্বতী সময়ে যোগাযোগ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com