শিরোনাম :
মিরপুর থানা কৃষক দলের গণসংযোগ ও বিশাল মিছিল ঢাকা ১৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী সানজিদা ইসলাম তুলির পক্ষে ঐক্যবদ্ধ শক্তি প্রদর্শন ঝিনাইদহের কোটচাঁপুরে সরকারি রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের দিনব্যাপী কর্মশালা ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠান ২১ দফা দাবিতে নীলফামারী সাংবাদিক ইউনিয়নের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ কক্সবাজারের পেকুয়ার রাজাখালীতে পানিতে ডুবে জন্নাতুল নুর নামের দুই বছর বয়সী এক কন্যা শিশুর মৃত্যু হয়েছে রাজশাহী মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণা চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সঙ্গে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় গোমস্তাপুরে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস (২০২৫) পালিত কবি রিপন শানকে নিয়ে শব্দকুঠির ৭৭ তম জমজমাট আসর অনুষ্ঠিত নিয়াজ মুহাম্মদ খান সিএসপি যিনি ভালোবেসেছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে

চিলমারীতে রেলওয়ের উন্নয়ন কাজে অনিয়ম

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ২৮১ বার পঠিত

মিজানুর রহমান মিজান, স্টাফ রিপোর্টার: কুড়িগ্রামে রেলওয়ের প্রায় ২ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, দুর্নীতি বন্ধে দুদকের সুপারিশকেও তোয়াক্কা করছে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের নজরে আনতে চিঠি দেওয়ার কথা।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের নভেম্বরে কুড়িগ্রামের উলিপুর থেকে চিলামারী উপজেলার রমনা বাজার স্টেশন পর্যন্ত ১০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার রেলপথের উন্নয়নে ঠিকাদার নিয়োগ করে রেলওয়ে বিভাগ। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয় ঢাকার বিশ্বাস কনস্ট্রাকশন। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়, ৩৩ কোটি ৮৭ লাখ ৯ হাজার পাঁচশত সাইত্রিশ টাকা। এর মধ্যে মাটির কাজ ১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।

কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, উলিপুর থেকে রমনা বাজার পর্যন্ত কাজের চুক্তিতে আছে, ঠিকাদার মাটি কিনে এনে রেললাইনে ফেলবে। রেলের জায়গার মাটি কাটতে পারবে না। যখন রেলের জায়গা থেকে ১ ঘন মিটার মাটি কাটবে তখন সেটি উল্লেখ থাকবে এবং তার মূল্য ২৩৩ টাকা, আর বাইরে থেকে কিনলে তার মূল্য হবে ৬৬৬-৭৬০ টাকা। বিশ্বাস কনস্ট্রাকশন চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ৬৬৬ টাকায়। অর্থাৎ বাইরের মাটি এনে ফেলার কথা তাদের। কিন্তু নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি বাইরে থেকে মাটি না এনে রেললাইনের পাশ ঘেঁষে মাটি কাটছে। এতে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে ১০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথটি।

রেলওয়ের অনিয়মের ব্যাপারে রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান নলেজ বলেন, ‘রেল বিভাগের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে কাজ চালিয়ে যাওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকার। অপরদিকে সরকারের সঙ্গে করা চুক্তি ভঙ্গ করেছে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। রেল বিভাগের সঙ্গে এমন প্রতারণা ডাকাতির সামিল।

তিনি আরও বলেন, রেলওয়ের কর্তারা কানাডায় বাড়ি করেছেন, খোদ রাষ্ট্রপতি ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। টাকা নাই বলে রমনা রুটে ট্রেন চালায় না, অথচ এক টাকার জিনিসে ২০ টাকা দেখায়। খোদ দুদকই রেলওয়ের ১০টি খাতে দুর্নীতি হয় বলে জানিয়েছে। আমরা চাই, চুক্তিতে যেভাবে আছে সেভাবেই কাজ করা হোক।’

এ বিষয়ে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মোঃ আব্দুস সালামকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি। পরিচয় জানিয়ে তাকে এসএমএস করা হলেও তিনি জবাব দেননি।

তবে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (উন্নয়ন) মোঃ আরিফুজ্জামান বলেন, ‘কুড়িগ্রামে কোনো উন্নয়ন কাজ হচ্ছে কি না এটা আমার জানা নেই। যদি সেখানে কাজে অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে সেটি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। অনিয়ম কীভাবে হচ্ছে, কতটুকু হচ্ছে সেটা তদন্ত না করা পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করতে রাজি না।’

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘রেলওয়ের উন্নয়ন কাজে অনিয়মের কথা শুনেছি। তাদের অনিয়মে সরাসরি হস্তক্ষেপ করার এখতিয়ার আমার নেই। তবে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য লিখব।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com