ছেলে হত্যার মামলা করতে জয়দেবপুর সদর থানায় দৌড়াচ্ছেন রিকশাচালক কালু মিয়া। ৫ মাসেও মামলা রুজু হয়নি। থানায় গেলে ওসি বলেন মামলা নিব। দারোগা বলেন আজ নয় কাল আসেন। এভাবে দৌড়াতে দৌড়াতে ক্লান্ত কালু মিয়া। ভুক্তভোগী কালু মিয়ার বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগর হাওলা গ্রামে। জানা যায়, ২ নভেম্বর বিকালে জৈনা বাজার আদর্শ মডেল একাডেমির ৫ম শ্রেণির ছাত্র নাজমুল হোসেন নিখোজ হয়। ৫ নভেম্বর সদর থানা পুলিশ রাজেন্দ্রপুরের গজারী বন থেকে নাজমুলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। টিভির সংবাদে ছেলের ছবি দেখে ৬ নভেম্বর সদর থানায় গিয়ে মরদেহ সনাক্ত করেন কালু মিয়া। এ ঘটনায় ওই থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়। নিহতের বাবা কালু মিয়া জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ আছে নাজমুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ছেলে হত্যার মামলা করতে, allama Madam শিতান ও ওসির সাথে বহুবার যোগাযোগ করেছি। ধানায় গেলে ওসি বলেন মামলা নিব, দারোগার কাছে গেলে দারগা বলেন আজ নয় কাল আসেন। এভাবে ৫ মাস ধরে থানায় দৌড়াচ্ছি। এখানো আমার ছেলে হত্যার মামলা রুজু হয়নি। চাচাত ভাইদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। একটি মামলায় আমি জেল খেটেছি। ঘটনার দিন একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে এসেছি। অজ্ঞাতভাবে ওই দিন আমার ছেলে নিখোঁজ হয়। কালু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা আমার ছেলেকে অপহরণ করে হত্যা করেছে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি। অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক মনিরুজ্জামান জানান, এ ঘটনার মামলা হয়েছে। মামলার নম্বর জানতে চাইলে তার উত্তর দেননি তিনি। গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার পরিদর্শক জিয়াউল হক (জিয়া) জানান, এ ঘটনায় মামলা প্রকৃয়াধিন আছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শক্রমে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে
Leave a Reply