ছাতক উপজেলাধীন নোয়ারাই ইউনিয়নের বেতুরা গ্রামের মা মেয়ের অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করায় পুর্ব আক্রুশে পিতা পুত্রের নামে ধর্ষন চেষ্টা মামলা করেছেন।উপজেলার বেতুরাআসাদ নগর গ্রামের মনোয়ারা বেগম।
গত সোমবার ০২/০৮/২০২১ তারিখে বেতুরা গ্রাম বাসির উদ্যোগে,বেতুরা গ্রামে অনুষ্টিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন এলাকাবাসি। সেমা বেগম ও তার মা দীর্ঘদীন যাবত অনৈতিক কর্মকান্ডে জরিত রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন। বেতুরা গ্রামের একাধিক মুরব্বী। এসব ঘটনায় গ্রামবাসি মিলে সম্প্রতি একটি শালিস বৈঠকে বসে অসামাজিক অনৈতিক ঘটনা দিন দিন গ্রামে বৃদ্ধির কারণে যুবকরা নানা অপরাধ জড়িয়ে পড়ছে বিদায় বৈঠকে তার গ্রামে আশপাশে যেন অনৈতিক আর কোনও কর্মকান্ড না ঘটে এ বিষয়টি গ্রামবাসি মা মেয়েকে শর্ত বেঁধে দিয়েছে। এ ঘটনার পর মা মেয়ে ক্ষোদ্ধ হয়ে
আ`লীগ নেতা আব্দুর রহিম ও তার ৪`পুত্র নামে ছাতক থানায় ধর্ষণ চেষ্টায় মামলা নং ২৭/২৪/০৫/২০২১ ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ২০০৩ এর ৯/(৪)খ,৪৪৭/৩২৩/৩২৪/৩০৭/৫০৬ দায়ের করেন।এ ঘটনায় আ`লীগ নেতা আকবর আলী(৭০)কে পুলিশ আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
এ মামলাটি সঠিক তদন্তের দাবিতে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার,ছাতক দোয়ারা বাজারের সার্কেল ও থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবরে গত ১৫ জুলাই গ্রামের ২৪ জন মুরব্বী স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকাবাসি।
উপজেলার নোয়ারাই ইউপির বেতুরা গ্রামের আমিন মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও তার কন্যা সেমা বেগমের বিরুদ্ধে গ্রামবাসি লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে দীর্ঘদিন ধরে মা মেয়ে গ্রামে নিজ বসত ঘরে অসামাজিক অনৈতিক কর্মকান্ড করে আসছে। একাধিক যু্বকদের আনাগুনা অবাধে চলছিল বলে গ্রামবাসি অভিযোগ করেন। এ ছাড়াও ইমো ওয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে অশ্লীল কর্মকান্ড করে গ্রামসহ আশপাশে যু্ব সমাজ কে ধবংস করছে তারা। তাদের এ অপকর্ম গ্রামে ছড়িয়ে পরায় এলাকার মানহানি হচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে জনৈক নামে এক যুবকের সাথে অনৈতিক কাজ করে আসছে। গত ৮ মে রাত ৭ টায় পানির মেসিন মেরামতের মুজুরীর টাকা আনতে সেমা আক্তারের বাড়ীতে যায় আসামী রুবেল আহমদ,সেখানে টাকা লেনদেন নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সেমার ভাই ও বাবার সাথে হাতাহাতি হয়।
পরে রুবেলকে আটকিয়ে রাখার চেষ্টা করে সেমার পরিবার,বিষয়টি জানাজানি হলে রুবেলের পরিবার ও এলাকাবাসি তাকে নিয়ে আসে।পর্বতীতে শালিশ বৈঠক হবার কথা থাকলেও জৈনৈক এক ডাক্তারের ফরামর্মে,তাহার অসাধু উদ্ধেশ্য হাছিলের লক্ষে থানায় ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়।
যাহা সম্পুর্ন্য মিথ্যা,এবিষয়ে আইন প্রশাসন কে সঠিক তদন্ত করার অনুরোধ জানান এলাকাবাসি এবং
অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় উল্টো ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে সেমা বেগমের মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদকারী পিতা পুত্র সহ ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। গ্রামবাসি জানান, মা মনোয়ারা বেগম ও মেয়ে সেমা বেগমের খোজ নিলেই বুঝতে পারবেন তারা কতটা ভাল মানুষ।
পর ইন্ধনে মা মেয়ে মিলে এলাকা ও এলাকার সম্মানী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে নিজেদের কুকর্ম ডেকে রাখতে চায়।প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করে এসব কাজে লিপ্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে গ্রেফতারকৃত মুরব্বীর মুক্তি দাবি জানান তাঁরা।
এবিষয়ে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নাজিম উদ্দিন বলেন তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে অবিশ্বই কারও পক্ষ পাতিত্বের সুযোগ নেই।
Leave a Reply