ময়মনসিংহ জেলা ব্যুরো প্রধান মোঃ শাহ সৈয়দ খাঁন ১৯৯৫ সাল থেকে ২০২৫,এই সুদীর্ঘ সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলে সম্পৃক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে অভিষেক ঘটে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ধীতপুর ইউনিয়নের ধলিয়া গ্রামের এক উদ্যমী কিশোরের।পুরো নাম আরিফ হাসান খান,ছাত্র ও যুবনেতা রনি নামে সমধিক পরিচিত।তিল তিল করে তার সংগ্রামী পথচলায় তৈরি হয়েছে সহস্রাধিক জাতীয়তাবাদী কর্মী,যারা ছাত্রদল-যুবদল সহ অন্যান্য সংগঠনেও নেতৃত্ব দিয়ে আসছে।রনির চেয়ে কম সময়ের রাজনৈতিক অধ্যায় নিয়েও অনেকে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠা পেলেও রনি রয়ে গেলেন অন্তরালে-নেপথ্যে।দীর্ঘ ৩০ বছরের রাজনৈতিক বর্ণার্ঢ্য ক্যারিয়ার থাকা সত্ত্বেও রনির রাজনৈতিক সাফল্য প্রস্ফুটিত হয়নি।তার প্রতি দলের রয়েছে চরম বঞ্চনা ও নিগ্রহ।তবুও রনি চলছেন আপন মহিমায় আপন আলোয় প্রস্ফুটিত কর্মীবল নিয়ে সগৌরবে।দীর্ঘ রাজনৈতিক অধ্যায়ে ধীতপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক (২০০৩/২০০৪),ভালুকা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য (২০০৩/২০০৪),বাংলাদেশ কারিগরী ছাত্র পরিষদ বাকাছাপ ময়মনসিংহ পলিটেকনিকের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরা থানা খালেদা জিয়া-তারেক জিয়া মুক্তি পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে অত্যন্ত সাবলীল দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।ধীতপুর ইউনিয়ন ছাত্রদল,ভালুকা উপজেলা ছাত্রদল,ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রদল,ভালুকা উপজেলা যুবদল ও ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদলে তার রয়েছে অগাধ ভুমিকা,সংগ্রাম ও ত্যাগ।রাজনৈতিক জীবনে ৯টি মামলার আসামী হয়েছেন ও ৫বার কারাবরণ করেছেন সংগ্রামী এ নেতা।১৯৯৬ সালে অষ্টম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় জননিরাপত্তা আইনে (কালো আইন) প্রথম রাজনৈতিক মামলার আসামী হয়েছিলেন রনি।আরিফ হাসান খান রনির রাজনৈতিক সতীর্থ,সহযোদ্ধা ও কর্মীদের সাথে কথা বলে তাদের আস্তাভাজন নেতার উল্লেখযোগ্য ও যোগ্যতামাফিক পদায়ন না হওয়ার ক্ষোভ ও হতাশা লক্ষ্য করা যায়।তারা রনির উপযুক্ত পদায়ন দাবি করেন।রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বিষয়ে রনি আলাপচারিতায় জানান,দেশ ও দলের স্বার্থে প্রকৃত ত্যাগী-সাহসী-সংগ্রামী ও যোগ্যদেরকে খোঁজে এনে উপযুক্ত মূল্যায়ন করা উচিত।দলের স্বার্থে তিনি যেকোন ধরনের ত্যাগ ও সংগ্রাম করতে প্রস্তুত বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
Leave a Reply