
ইমরান খাঁন-সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ
নীলফামারী জেলার ঐতিহ্যবাহী পর্যটন স্থান নীলসাগর।যা দেখার জন্য দূর দূরান্ত থেকে আসে পর্যটকরা।যা একবার দেখলে ভরে যায় যে কারো মন।কারণ এখানে দেখার মত আছে অভাবনীয় প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য আর মানুষের মন কাড়ানো সব রকমের তৈরীকৃত কৃত্রিম জিনিসপত্র।
অনেকেই দেশে থাকলেও চিনে না নীলফামারী কিন্তু তাদের যদি বলা হয় এ নীলসাগর এর কথা তাহলে তারা অতি সহজে চিনে যায় যে ও নীলসাগর তো আমি চিনি।এজন্য অনেকে নীলসাগরকে নীলফামারীর বাতিঘর বলেই জানে।যা নীলফামারী বাসীর জন্য গর্বের বিষয়।
নীলসাগরে আছে দেখার মত প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য আছে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ, ভেষজ গাছপালা, ফলের ও ফুলের বাগান সহ আরো অনেক ধরনের সুন্দর প্রাচীন বৃক্ষ। যা দেখলে সবার হৃদয় শান্তিতে মুগ্ধ হয়ে যায়। এখানে আছে প্রায় বিশাল একরের সাগর যার পানি গুলো নীল এজন্য অনেকে মনে করে এ কারণে নীলসাগর এর নাম করা হয়েছে নীলসাগর।। নীলসাগরে আসে বিভিন্ন দেশ থেকে নানান প্রজাতির পাখি।যা এ দীঘির মধ্যে থাকলে দেখে মনে হয় এ যেন এক বৃক্ষের বাগান।এটা দেখে এক পলক চোখ ফিরাতে পারে না দর্শনার্থীরা।
নীলফামারীর এ ঐতিহ্যবাহী পর্যটন স্থানে আরও আছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় তৈরীকৃত বাঘ সিংহ হাতি হরিণ জাদুঘর ও দোলনা।আছে জায়গায় জায়গায় বসার জন্য সুন্দর সুন্দর স্থান আছে বিশ্রাম করার জন্য রেস্ট হাউজ সহ এর ভিতরে খাওয়ার জন্য নানা ধরনের আছে দোকান। যেখানে সহজ মূল্যে পাওয়া যায় ছোট বাবুদের জন্য খেলনার দোকান এ যেন এক অদ্ভুত রকমের কারসাজি।
সাধারণত নীলসাগরে ঢুকার জন্য টিকিট মাত্র ২০ টাকা।এখানে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য আছে দক্ষ কর্মী তারা যেকোনো সময় যে কোনো প্রয়োজনে পর্যটকদের দেখভাল করে।সাথে আছে প্রতিদিন ৪ জন সরকারি পর্যটক স্থানে থাকা টুরিস্ট পুলিশ। এই মিলে নীলফামারীর এক মনোরম পরিবেশে এ নীলসাগর অবস্থিত।যার বর্ননা দিয়ে কখনো শেষ করার মত নয়।।
Leave a Reply