শিরোনাম :
ভোলায় জলসিড়ি সাহিত্য আসরের চতুর্থ আড্ডা অনুষ্ঠিত । মনপুরায় জেলেকে মারধর, বিচার না পেয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিবি কর্তৃক ৯০ বোতল স্কফ সিরাপ ও ০১টি মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ ০২ জন মাদক কারবারী গ্রেফতার। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিবি কর্তৃক ৭৯০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ০১ জন মাদক কারবারী গ্রেফতার। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪০ বোতল দেশী চোলাই মদ সহ ২ জন গ্রেফতার। সাউথ এশিয়ান এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন বিএনপি নেতা আলহাজ্ব ইউসুফ মেম্বার গলাচিপায় ৩৮ বছর পর হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার নবীনগরে নিরাপদ খাদ্য সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ কর্মশালা  ডিমলায় বন্যায় উদ্ধারের নৌকা রেসকিউ বোট, অযত্নে অবহেলায় অচল হয়ে পড়েছে চাটমোহরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘাম জড়ানো শ্রমিকের টাকা আত্মসাৎ” ব্যবস্থা নিচ্ছে না উপজেলা প্রশাসন?

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ২৮৮ বার পঠিত

মীর জুবায়ের আলমঃ ১নং গাজীপুর ইউনিয়নে ঢুলনা মৌজায় সরকারি খাস জমিতে ১৪৪৮ দাগে প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়কেন্দ্র ৮০ ঘর নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহন করে চুনারুঘাট উপজেলা প্রশাসন। এ কাজটি বাস্তবায়ন করছে চুনারুঘাট প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পাল। চুনারুঘাট প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রতিদিন এসে কাজ টি তদারকি করছেন। এদিকে স্হানীয় প্রভাবশালী মৃত আবদুল খালেক সাহেবের ছেলে ৫০ আব্দুল আওয়াল প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কে চোখে ফাঁকি দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে শ্রমিকদের ঘাম জড়ানোর হাজার হাজার টাকা।ঘরের মাটি ভরানো কথা বলে প্রতি ট্রাক্টর প্রতি নিচ্ছে ৬০০ টাকা , এবং বিট ভরানো শ্রমিক প্রতি নিচ্ছে ৪০০টাকা ।আজ সংবাদ সংগ্রহে সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকের নিকট থেকে জানতে পারলাম শ্রমিক পাচ্ছে নিজে খেয়ে ২৮০ টাকা রোজ। আর ট্রাক্টর শ্রমিক পাচ্ছে ৪৫০ টাক প্রতি গাড়িতে । শ্রমিক প্রতি হাতিয়ে নিচ্ছে ১২০ টাকা, আর ট্রাক্টর প্রতি হাতিয়ে নিচ্ছে ১৫০ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেন ৮০ ঘরের মাটি ভরাট করতে প্রায় ৫থেকে ৬ শত গাড়ি মাটি লাগতে পারে এবং শ্রমিক লাগতে পারে প্রায় ২৫০ জন। তাহলে যেখানে হিসাবে আসে প্রায় সরকারের টাকা কোয়া যাচ্ছে ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা। প্রভাবশালী আব্দুল আওয়াল লোকটি শ্রমিকের টাকা মেরে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।এবং তার বিরুদ্ধে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে ঘুষ-দুর্নীতির অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। গত কিছুদিন পূর্বে আব্দুল খালেকের সাহেবের ছেলে হেলাল মিয়া ভুক্তভোগী তার বড় ভাই আব্দুল আউয়াল এর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নামে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আত্মসাৎ করেছেন। এবং সেগুলি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দিতে হবে বলে তারই আপন ছোট ভাইয়ের নিকট থেকে নিয়ে যান। এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই। যার ফলে আব্দুল আওয়াল প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ন প্রকল্পের আরেকটি দুর্নীতি করার সুযোগ পেয়েছেন। তাই নয় কাজে রয়েছে অনেক অনিয়ম বালু গুলি পরিষ্কার না করে সিমেন্ট মিশিয়ে কাজ করছে। এবং ইট গুলি পানিতে না ভিজিয়ে দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। যার ফলে দেয়ালের টিক সই কমে যাচ্ছে যে কোন সময় ধসে পড়ে যেতে পারে। স্থানীয় লোকজন জানান প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সরকারি কাজটি বাস্তবায়নের দাবি করছেন ।এলাকার সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। যাতে করে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের কোন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করার আহ্বান জানান ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com