শিরোনাম :
আমতলীতে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিলেন ফরিদ উদ্দিন মাতুব্বর ও গাজী মোঃ সালাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিবি কর্তৃক ১০ কেজি গাঁজা ও ০১টি অটোরিক্সা সহ ০৩ জন মাদক কারবারী গ্রেফতার। দাউদকান্দিতে বেগম রহিমারোশন মাদরাসায় অভিভাবক কাউন্সেলিং। সাবেক এমপি মোস্তফা কামাল পাশার উদ্যেগে সন্দ্বীপে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ ও পথসভা অনুষ্ঠিত। বরগুনার আমতলীতে অভিযান চালিয়ে ৬২ বস্তা অবৈধভাবে মজুদ করা সরকারি সার জব্দ করেছে পুলিশ ও কৃষি বিভাগ গলাচিপা নির্বাহী আদালতের পেশকার আবু জাফর এর বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে আদালত বর্জন ঘোষনা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে বিএনপির অঙ্গীকার: আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার সংবাদ প্রকাশের পর দূর্গাপুরে ভুয়া আল আকশা ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ গণতন্ত্র বনাম রাজনীতি: সংকটে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া রাজশাহীতে বহিষ্কৃত ডিবি হাসানের সহযোগীদের চার্জশিটে অন্তর্ভুক্তির দাবি

ফরিদ মোস্তফার মামলার তদন্তের নামে সময়ক্ষেপন করা হচ্ছে: বিএমএসএফ

স্টাফ রিপোর্টারঃগোলাম রাব্বানী :
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০২১
  • ৩১৫ বার পঠিত

ঢাকা রোববার ১৪ মার্চ ২০২১: বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর বলেছেন, কক্সবাজারের সাংবাদিক ফরিদ মোস্তফার মামলার তদন্তের নামে প্রশাসন সময়ক্ষেপন করছে। মিথ্যা-মামলায় এভাবে আর কতকাল কোর্টে হাজিরা দিতে হবে? ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা অদৃশ্য গ্যাড়াকলে তদন্তের নামে চলছে সময়ক্ষেপণের ভেল্কিবাজী। সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার বিরুদ্ধে প্রদীপের দায়েরকৃত ৬মামলা এখনো বহাল। সরকারের পক্ষ থেকে অবিলম্বে মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠন।

কক্সবাজারের টেকনাফে অপরাধ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার হোতা বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ এবং তার ২৬ পুলিশ সদস্যসহ চার মাদক সাঙ্গাতের বিরুদ্ধে নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানের দায়েরকৃত মামলার প্রতিবেদন ১৪ মার্চ (রোববার) আদালতে জমা দেয়নি পিবিআই। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই প্রতিবেদন দাখিলে বারবার সময়ক্ষেপণের মাধ্যমে অদৃশ্য গ্যাড়াকল সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবেদন জমা দিতে তৃতীয়বারের মতো সময় প্রার্থনা করে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জেরিন সুলতানার আদালতে পিবিআইর পরিদর্শক কায়সার হামিদ আবেদন করেন। তবে বিচারকের ছুটিজনিত অনুপস্থিতির কারণে ওই আবেদনের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে বহুল আলোচিত সাংবাদিক নির্যাতনের মামলাটি এখনো রেকর্ডবিহীন অবস্থাতেই পড়ে রইলো।

অপরদিকে মাদকের বিরুদ্ধে লেখালেখির কারনে ফরিদুল মোস্তফা খানের বিরুদ্ধে পুলিশের সাজানো ৬টি মিথ্যা মামলা এখন পর্যন্ত বহালই রাখা হয়েছে। ফলে ওসি প্রদীপ পরিচালিত নীপিড়ন, নির্যাতন ও হয়রানির ধকল থেকে সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা রেহাই পেলেন না এখনো। এ ঘটনায় সাংবাদিক সংগঠনগুলো চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, হতাশা ব্যক্ত করেছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দও।

তারা বলেছেন, ফরিদুল মোস্তফার নির্যাতনের বিস্তারিত উল্লেখ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সেই আবেদনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় কক্সবাজারের প্রশাসন প্রদীপ স্টাইলেই সাংবাদিক হয়রানি চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা নিজের সকল মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার ও জড়িতদের বিরুদ্ধে তার দায়েরকৃত মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের আইনের আওতায় আনতে আবারও প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বিচার বিভাগসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের তড়িৎ হস্তক্ষেপের আকুতি জানিয়েছেন।

ফরিদ বলেন, মাদক ও ঘুষের বিরুদ্ধে লিখেছি বলে প্রদীপ ও তার লালিত মাদক ব্যবসায়ায়ীরা পাশবিক নির্যাতন করছে।
৬ টি মিথ্যা মামলা দিয়ে টানা ১১ মাস কারাগারে রেখেছে। আমি বর্তমানে শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক বিপর্যয়ে আছি। মামলাগুলো চালানোর মতো সাধ্যও নেই আমার।

সূত্রমতে, চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করেছিলেন সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান। যার নং সিআর ৬৬৬/২০২০ সদর। মূলত: সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান কর্তৃক প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল জনতার বাণীতে ২০১৯ সালের ২৪ জুন ‘টাকা না দিলে ক্রসফায়ার দেন টেকনাফের ওসি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর ওসি প্রদীপের রোষানলে পড়েন ফরিদুল মোস্তফা। একপর্যায়ে ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে টেকনাফ থানায় প্রদীপ কুমার দাশ ওসি থাকাকালে সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানকে ঢাকার মিরপুর থেকে তুলে নিয়ে অমানবিক বর্বরতা ও নির্মম নির্যাতন চালায়। ধারাবাহিক নির্যাতন শেষে অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজিসহ পৃথক ৬টি মামলা দিয়ে চালান দেয়া হয়। এসব মামলায় সাংবাদিক ফরিদ টানা ১১ মাস ৫ দিন কারাভোগের পর চলতি বছরের ২৭ আগস্ট জামিনে মুক্তি পান।

একপর্যায়ে তিনি শারীরিক, মানসিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগে চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর বরখাস্ত ওসি প্রদীপকে প্রধান আসামি করে ২৬ পুলিশ সদস্য এবং ৪ জন মাদক ব্যবসায়ীসহ মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন সদর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ।

পিবিআইর প্রতিবেদন দিতে দ্বিতীয় সময়ের দরখাস্তের পরবর্তী ধার্য তারিখ ১৪ মার্চ এ মামলার প্রতিবেদন দাখিলের কথা থাকলেও আদালতে আবারও ৩০ দিন সময় চাওয়ার কারণে মামলার বাদীসহ সংশ্লিষ্টরা ন্যায়বিচার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে করেছেন।

বাদীর প্রধান আইনজীবী মো. আবদুল মন্নান বলেন, দিবালোকের মত স্পষ্ট সাংবাদিক নির্যাতনের একটি ঘটনার যথা সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় দেশের বিচার ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে আদালতের মুল্যবান সময়। ফৌজদারি কার্যবিধিতে তদন্তের বিধি বিধানের সময়সীমা অতিক্রম করা স্বত্তেও প্রতিবেদন দাখিল না করায় অসন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি মামলাটি তদন্তের আন্তরিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন সিনিয়র এই আইনজীবী।

এদিকে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে হত্যার ঘটনায় তার বোনের দায়ের করা মামলায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ আয়েশে দিন কাটাচ্ছেন কারাগারে।

উল্লেখ্য, নির্যাতন ও মামলার শিকার কারা নির্যাতিত, নি:স্ব, অসহায় সাংবাদিক ফরিদ মোস্তফার পাশে সরকারকে পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম আহবান জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com