 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    
সাতক্ষীরায় স্ত্রী হত্যার দায়ে ফাঁসির দন্ডাদেশ প্রাপ্ত পলাতক আসামিকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।
বুধবার (৫ এপ্রিল) সকাল নয়টার দিকে তাকে ঢাকার সাইদাবাদ এলাকা থেকে আটক করা হয়।
আটককৃত ফাঁসির দন্ডাদেশ প্রাপ্ত পলাতক আসামি হলেন, সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকার মৃত এন্তাজ সরদারের ছেলে আব্দুল আজিজ (৫৪)।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান জানান, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে থানার উপপরিদর্শক লোকমান হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক আনিচুর রহমান ও কনেস্টেবল লেলিনসহ সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় আব্দুল আজিজ নামের ফাঁসির দন্ডাদেশ প্রাপ্ত পলাতক আসামিকে ঢাকার সাইদাবাদ থেকে আটক করা হয়েছে।
আব্দুল আজিজ’কে ২২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর স্ত্রী হত্যার দায়ে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জি আযম ফাঁসির দন্ডাদেশ প্রদান করেন। এর পর থেকে সে দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। রায়ের পর প্রথমে সে সাতক্ষীরার শ্যামনগর পরে কিশোরগঞ্জ ও শেষে ঢাকার সাইদাবাদ এলাকায় আত্নগোপন করে ছিলেন।
আটকের পর তাকে আদলতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ – ১৯৯৪ সালে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুরে এলাকার এন্তাজ সরদারের ছেলে আব্দুল আজিজের সাথে সদর উপজেলার গোবরদাড়ি গ্রামের আব্দল মান্নানের মেয়ে রেহেনা পারভিনের বিয়ে হয়। বিয়ের ছয়মাস যেতে না যেতেই যৌতুকের দাবিতে রেহেনাকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করতেন স্বামী আব্দুল আজিজ ও তার পরিবারের সদস্যরা।
একপর্যায়ে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের ৮০ হাজার টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করেন রেহেনা। পরে ১৯৯৭ সালের ২০ এপ্রিল বিকেলে আব্দুল আজিজের নিজ বাড়িতে রেহেনাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এঘটনায় নিহত রেহেনার চাচা শতকত আলী সরদার পরদিন বাদী হয়ে আব্দুল আজিজ তাঁর ভাই রুহুল কুদ্দুসসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।
সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি জহুরুল হায়দার জানান, ১৯৯৮ সালে আসামি আজিজ ও তাঁর ভাই রুহুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযোগ গঠন করাহয়। পরে আসামি রুহুল কুদ্দুস মারা যান। আসামি আজিজ পালাতক ছিলেন।
তিনি আরও জানান, ২০২২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর
মামলার নথি ১২ জন সাক্ষীর জেরা ও জবানবন্দি পর্যালোচনা শেষে পলাতক আসামি আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করে আদালত।
 
 
                                                
Leave a Reply