শিরোনাম :
ভাঙনের থাবায় গলাচিপার পাকা সড়ক নদীগর্ভে, যোগাযোগ ব্যবস্থা হুমকিতে যশোর সদর-৩ আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা শোয়াইব হোসেনের নেতৃত্বে বিশাল মোটরসাইকেল র‍্যালি অপসংবাদিকতা ও সহিংসতার ছায়ায় গণমাধ্যমের সংকট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে জাতীয় মানবাধিকারের উদ্যোগে ঔষধি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্থদের জমির ন্যায্য মূল্যের দাবিতে সড়ক অবরোধ জলঢাকায় ভোক্তা অধিকারের অভিযান, দুইজনকে জরিমানা। রাঙ্গাবালীতে চাঁদার টাকা না দেয়ায় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জমি ও মাছের ঘের দখলের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর নির্দেশনা পটুয়াখালী জেলা বিএনপির নীলফামারীতে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত এক বাংলাদেশ ন্যাশনাল নিউজ ক্লাবের খুলনা মহানগর সভাপতির মুক্তি কামনা

ভাঙনের থাবায় গলাচিপার পাকা সড়ক নদীগর্ভে, যোগাযোগ ব্যবস্থা হুমকিতে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৩৮ বার পঠিত

খন্দকার জলিল, স্টাফ রিপোর্টার

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের মুসুরি কাঠি গ্রামের ভেরী বাঁধের পাকা রাস্তা ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে। প্রায় দুই বছর আগে এ ভাঙন শুরু হয় এবং জাতীয় পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে তখন এ বিষয়ে অবহিত করা হলে তারা জানায়, আরও ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙন রয়েছে—সেগুলো আগে সামলাতে হবে। কিন্তু এ ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় আজ ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

বর্তমানে আমখোলা বাজারের দক্ষিণ পাশ দিয়ে প্রায় এক চতুর্থাংশ কিলোমিটার রাস্তার অর্ধেক অংশ নদীতে ভেঙে পড়েছে। এতে বাস, ট্রাকসহ সকল যানবাহন চলাচলে চরম ভোগান্তি তৈরি হয়েছে। এ সড়কটি গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী উপজেলা থেকে পটুয়াখালী জেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র পথ হওয়ায় যেকোনো সময় পুরো যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে।

নদী পাড়ে বসবাসরত মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম আতঙ্ক। শুধু তাই নয়, বর্ষা মৌসুমে বৈরী আবহাওয়া বা ঘুর্নিঝড় দেখা দিলে পুরো রাস্তাটি ভেঙে গেলে ফসলি জমি, মানুষের বসতি ও গবাদি পশুর জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে। এ নিয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলছে, ভাঙন রোধে গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হলেও তা কোনো কাজে আসছে না। নদীর তলদেশের মাটি সরে গেলে কেবল উপরের গাইড ওয়াল দিয়ে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব নয়। এভাবে ভুল পরিকল্পনা গ্রহণের কারণে সরকারের কোটি কোটি টাকা পানিতে ভেসে যাচ্ছে। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে—বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ পরিকল্পনা না করে কেন গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হলো?

সাধারণ মানুষের দাবি, বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিৎ। অন্যথায় পুরো সড়ক বিলীন হয়ে গেলে গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী উপজেলার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়বে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিক্ষা, চিকিৎসা ও অর্থনীতির সব খাত।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com