শিরোনাম :
আমতলীতে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিলেন ফরিদ উদ্দিন মাতুব্বর ও গাজী মোঃ সালাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিবি কর্তৃক ১০ কেজি গাঁজা ও ০১টি অটোরিক্সা সহ ০৩ জন মাদক কারবারী গ্রেফতার। দাউদকান্দিতে বেগম রহিমারোশন মাদরাসায় অভিভাবক কাউন্সেলিং। সাবেক এমপি মোস্তফা কামাল পাশার উদ্যেগে সন্দ্বীপে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ ও পথসভা অনুষ্ঠিত। বরগুনার আমতলীতে অভিযান চালিয়ে ৬২ বস্তা অবৈধভাবে মজুদ করা সরকারি সার জব্দ করেছে পুলিশ ও কৃষি বিভাগ গলাচিপা নির্বাহী আদালতের পেশকার আবু জাফর এর বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে আদালত বর্জন ঘোষনা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে বিএনপির অঙ্গীকার: আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার সংবাদ প্রকাশের পর দূর্গাপুরে ভুয়া আল আকশা ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ গণতন্ত্র বনাম রাজনীতি: সংকটে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া রাজশাহীতে বহিষ্কৃত ডিবি হাসানের সহযোগীদের চার্জশিটে অন্তর্ভুক্তির দাবি

মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ১২৫ কারাবন্দি

মোঃ মনোয়ার হোসেন,রাজশাহী
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৬ মার্চ, ২০২১
  • ৩২৩ বার পঠিত

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মুক্তি পাচ্ছেন রাজশাহীর ১২৫ কারাবন্দি। এর মধ্যে সুবর্ণজয়ন্তীর এই মাসে ‘সাজা মওকুফ’র মাধ্যমে ১২৩ জন ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাজা মওকুফের সুপারিশে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন আরও দুইজন।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা কারাবন্দিদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মূলত দুইভাবে কারাবন্দিদের সাজা মওকুফের ভিত্তিতে মুক্তি মেলে। যেসব কারাবন্দি ২০ বছরেরও বেশী সময় ধরে কারাভোগ করছেন ও স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ও দুই ঈদ উপলক্ষে কারাবন্দীদের মুক্তি দেয়া হয়।

‘কারা বিধির ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী কোনো যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দি তার সাজার মেয়াদের ২০ বছর কারাভোগ করলে তিনি মুক্তির আবেদন করতে পারবেন।

এসব বন্দির বয়স, আচার- আচরণ, মামলার ধরণসহ তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকলে সরকার তাদের বিশেষ শর্তে মুক্তি দিয়ে থাকেন।

আরও জানায়, ২০ বছর সাজা খেটেছেন এমন কারাবন্দিদের মধ্যে যারা খুব অসুস্থ, অক্ষম বা বৃদ্ধ তারাই কেবল মুক্তি পায়। এছাড়া কেউ কারাভোগের সময় ভালো আচরণ করলে তারাও বিশেষ সুপারিশে মুক্তি পেতে পারেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে মহানগর কমিটিতে জেলা প্রশাসকের সমন্বয়ে সাত কমিটির সদস্যের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত হয়। অপরদিকে, নিজ জেলার ক্ষেত্রে ছয় সদস্যবিশিষ্ট কমিটি হয়ে থাকে।

জানা যায়, ২০২০ সালে সারাদেশের জেলগুলো থেকে মোট ৩২৯ জন কারাবন্দি মুক্তি পেয়েছিল। গত বছর মোট সুপারিশ করা হয়েছিল দিবস উপলক্ষে ৩ জন ও বিশ বছরের অধিক ১৮ জনের। এরমধ্যে বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে ছাড়া পেয়েছেন ৩ জন।

এরআগে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিল ২৭ জন।তবে এবার রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সাজাভোগ করছেন ১২৩ জনের বেশি বন্দি। এদের সকলের বয়সই প্রায় ৫০-৮০ বছরের বেশি। এ বছর স্বাধীনতার মাস পর্যন্ত কারা মুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে ১২৩ জনের। সেই সাথে লঘু অপরাধে মুক্তি পেতে পাচ্ছেন দুইজন।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। যে সব কয়েদির সাজার মেয়াদ ২০ বছর পূর্ণ হয়ে যায়, তাদের তথ্য তিনমাস আগে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দেশের প্রতিটি জেলে একই নিয়ম অনুসরণ করা হয়। মন্ত্রণালয়ে ওই তথ্য যাচাই- বাছাইয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত হয় তালিকা। মন্ত্রণালয় থেকে যে তালিকা আসে সেসব কয়েদিকে মুক্তি দেয়া হয়।

সুবর্ণজয়ন্তীর মাসে কয়জন কারাবন্দি মুক্তি পাচ্ছে জানতে চাইলে সিনিয়র জেল সুপার বলেন, ‘লঘু দণ্ডে দণ্ডিত দুই আসামির মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। একজন মে মাসে ও অপরজন জুলাই অথবা সেপ্টেম্বর মাসে মুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ২০ বছরের অধিক সাজাভোগকারী ১২৩ জনের সুপারিশ করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সেটি এখনো সময় সাপেক্ষ বিষয়। মন্ত্রণালয় থেকে যাচাই- বাছাইয়ের পরই জানা সম্ভব কতজন মুক্তি পাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com