শিরোনাম :
অপসংবাদিকতা ও সহিংসতার ছায়ায় গণমাধ্যমের সংকট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে জাতীয় মানবাধিকারের উদ্যোগে ঔষধি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্থদের জমির ন্যায্য মূল্যের দাবিতে সড়ক অবরোধ জলঢাকায় ভোক্তা অধিকারের অভিযান, দুইজনকে জরিমানা। রাঙ্গাবালীতে চাঁদার টাকা না দেয়ায় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জমি ও মাছের ঘের দখলের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর নির্দেশনা পটুয়াখালী জেলা বিএনপির নীলফামারীতে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত এক বাংলাদেশ ন্যাশনাল নিউজ ক্লাবের খুলনা মহানগর সভাপতির মুক্তি কামনা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধাবিকাশে তারেক রহমানের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন যুবদল নেতা সাজ্জাদুল মিরাজ নীলফামারী প্রেসক্লাবের পক্ষ্য থেকে সেরা তিনটি মন্ডপকে দেয়া হবে সম্মাননা, পূজা হচ্ছে ৮৪৭টি মন্ডপে

মোবাইলে লুডো খেলা এখন জুয়ার আসর,পিছিয়ে নেই শিক্ষার্থীরাও

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১১২৬ বার পঠিত

সাইফুদ্দীন আল মোবারকঃ এমন একটা সময় ছিল,যখন কারো জুয়া খেলার ইচ্ছে জাগলে তখন জুয়াড়ীরা এক নির্জন এলাকায় গিয়ে জুয়ার আসর বসাতো।এখন আস্তে আস্তে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে জুয়ার কোনো নির্দিষ্ট জায়গা লাগেনা,দোকানে বা যেকোনো স্থানে ৬-৭জন মানুষ বসার সুযোগ থাকলেই শুরু হয়ে যায় জুয়া।যে জুয়ার থাবা থেকে বাদ পড়তেছে না  বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থীরাও। এই জুয়া খেলা ছাত্রদের কে অমনোযোগী করে তুলছে। প্রতিনিয়ত হ্রাস পাচ্ছে মেধা বিকাশ,ধ্বংস করে দিচ্ছে জাতির ভবিষ্যৎ।মাদক যেমন মানুষকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে  দিচ্ছে,ঠিক জুয়াড়ীরাও ছাত্রসমাজ ও যুব সমাজের ভবিষ্যৎ আঁধার করে দিতে অতিরিক্ত ভূমিকা রাখছে।জুয়া খেলা সাধারণ ভাবে মানুষের চোখে অপরাধ বলে বিবেচিত না হওয়ায়,আমাদের সন্তানেরা সেটাতে সহজেই ঝুঁকিয়ে পড়তেছে।যেটা এক সময় “সম্রাট” পাপিয়া”কান্ডের  মতো বড় বড় জুয়ার আড্ডায় মেটে উঠতে বেশিদিন সময় নিবেনা বলে মন্তব্য  করছেন শিক্ষিত সমাজ।যে অপরাধটা স্বাভাবিকভাবে মানুষ অপরাধ মনে না করার কারণে দ্বিধাহীন ভাবে এমন কাজে জড়িত হচ্ছে  হাজারো মানুষ। বিশেষ করে যুব সমাজ।আর এমন জুয়াড়ীরাই সমাজে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটাতে বিন্দুমাত্র চিন্তা করছে না।জুয়ার আসরে একেঅপরের সাথে কোনধরণের মনোমালিন্য হলে হঠাৎ অস্ত্র হাতে নিতে বিন্দু মাত্রও চিন্তা করে না।এভাবেই দেশে সন্ত্রাসীদের সূত্রপাত হয় বলে মনে করছেন সমাজের গুনীজনরা।বর্তমান সময়ে সারাদেশে কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসী তৎপরতা উপলব্ধি করা যাচ্ছে,যেটা এক সময় তিলে তিলে দানা বেঁধে বিরাট বিস্ফারণে পরিণত হবে।দেখা যাচ্ছে যে, সেই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা বেশিরভাগই লুডো জুয়ায় আসক্ত!মাদক এক ধরণের নেশা,যে নেশা থেকে মানুষকে ফিরিয়ে আন্তে  অনেক কষ্ট হয়,জুয়া খেলার নেশাও মাদকের চেয়ে কম নয়!সেটা কিন্তু সমাজে মানুষ সহজেই বুঝতে পারছেন না।এই জুয়া যখন আস্তে আস্তে বিরাট বিস্ফোরণ পরিণত হয়,তখনি নাম পাল্টিয়ে “ক্যাসিনো” হয়।তখন প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে আইনের আওতায় আনতে তৎপরতা চালায়। কোনো বড় ঘটনা ঘটানোর আগে কিন্তু প্রশাসনের চোখে সেটা অপরাধ বলে সহজেই বিবেচিত হয় না।যার ফলে জুয়াড়ীরাই বোমায় পরিণত হওয়ার সুযোগ পায়।বিশেষ করে এই জুয়ার নেশা সৃষ্টির দুইটি ইন্ধন,এক লুডো, দ্বিতীয় ক্রিকেট ফুটবল খেলার দেখতে গিয়ে পক্ষ বিপক্ষ ভাগ হয়ে, যখনি বাজিতে মেতে ওঠে ঠিক সেই সময় থেকে  সমাজ এবং ছাত্র সমাজকে জুয়ার নেশায় অভ্যাস্ত  করে গড়ে তুলে।যেকোন অপরাধকে সূত্রপাত হওয়ার সময় ভেঙ্গে দেয়া না হলে, সেটা পরে গিয়ে সামাল দিতে অতি কষ্ট হয়ে যায়,তাও পরিপূর্ণভাবে সকল অপরাধীদের দমন করা সম্ভব হয়না বলে মন্তব্য করেন শিক্ষিত সমাজ ও সমাজের জ্ঞানীগুনী ব্যক্তিগণ।ছাত্র সমাজ ও যুব সমাজকে ভবিষ্যৎ অন্ধকার থেকে বাঁচাতে প্রত্যেক অবিভাবককে  সচেতন থাকতে হবে। বিশেষ করে জুয়ার আসরে প্রশাসনের জোরদার অভিযান পরিচালনা করে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হলে এমন অপরাধ থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করা যাবে।আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ ধ্বংসের হাত থেকে  রক্ষা করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সমাজের সচেতন মহল।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com