শিরোনাম :
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা মেহেরপুরের জামাল জাতীয় মানবাধিকার অ্যাসোসিয়েশন বগুড়া জেলা কমিটির মাসিক মিটিং অনুষ্ঠিত জাগপা কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি লুৎফর রহমানের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বগুড়ায় মানববন্ধন মনপুরায় জেলেকে নৌকার দাদন টাকা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৩ মনপুরায় জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে গরু ঘরে অগ্নিসংযোগ, আতঙ্কে স্থানীয়রা বর্তমান সংকটের সমাধান নবীজির শিক্ষা সম্পাদকীয় আজ ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। দিনটি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য পবিত্র, অনন্য ও শিক্ষণীয়। এ দিনে জন্ম নেন বিশ্বমানবতার আলোকবর্তিকা হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং একই দিনে তিনি পৃথিবী ত্যাগ করেন। নবীজির আগমন ছিল মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরিবর্তনের সূচনা। তাঁর জীবন ও শিক্ষা আজও যুগে যুগে প্রাসঙ্গিক বিশেষ করে আমাদের বর্তমান সময়ে।বাংলাদেশ আজ গভীর অন্ধকারে নিঃশ্বাস ফেলছে। চারপাশে ছড়িয়ে আছে বিভাজন, হানাহানি, দুর্নীতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, আর নৈতিক অবক্ষয়। সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত জীবনের মৌলিক নিরাপত্তা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত। দোকানের তাক থেকে চাল, ডাল, তেল—প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেন নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। কৃষক ফসল বিক্রি করতে পারছেন না, শ্রমিক ঘাম ঝরিয়েও ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন না। তরুণ প্রজন্ম কাজের অভাবে হতাশ, শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসাত্মক সংকটের মুখোমুখি। এর সঙ্গে জুড়ে গেছে মাদক, অপরাধ ও সহিংসতার প্রলয়।এই সংকটে আমরা ভুলে যাই সেই আলোর পথে, যিনি মানবজাতিকে অন্ধকার থেকে মুক্ত করেছিলেন—রাসূলুল্লাহ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি এসেছিলেন এমন এক সমাজে, যেখানে গোত্রবিভাজন, মিথ্যা, নারীর অবমাননা, দারিদ্র্য, নিপীড়ন ও সহিংসতা ছিল নিত্যদিনের বাস্তবতা। তিনি আমাদের দেখিয়েছিলেন সত্য, ন্যায়, দয়া ও মানবতার পথ। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “মানুষের মধ্যে উত্তম সেই ব্যক্তি, যে অন্যের জন্য সবচেয়ে বেশি কল্যাণ বয়ে আনে।” আজকের বাংলাদেশে যদি আমরা তাঁর এই শিক্ষার অনুসরণ করি, তবে সমাজে স্বার্থপরতা, দুর্নীতি ও বৈষম্য দূর করা সম্ভব।সাংবাদিকরা যখন সত্য প্রকাশের জন্য নির্যাতনের মুখোমুখি হন, তখন নবীজির শিক্ষা আমাদের শেখায়—সত্যের পথে থাকা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সাহসী হওয়া। তিনি বলেছেন, “সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ হলো অন্যায় শাসকের সামনে সত্য কথা বলা।” সাংবাদিকরা দেশের ন্যায়বিচার রক্ষায় যে ভূমিকা রাখেন, তা নবীজির দৃষ্টিকোণ থেকে সত্যিই মহৎ।রাজনীতিতেও আমাদের শিক্ষা প্রয়োজন। ক্ষমতার জন্য লড়াই, প্রতিশোধ, হিংসা—এগুলো জাতিকে ক্ষয় করছে। অথচ নবীজি মক্কা বিজয়ের দিন শত্রুকেও ক্ষমা করেছিলেন। আজকের নেতারা যদি তাঁর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতেন, সংলাপ ও ক্ষমাশীলতার মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যেত।অর্থনীতি এবং শ্রমিক অধিকারেও নবীজির শিক্ষা অসাধারণ। তিনি বলেছেন, “শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগে তার মজুরি প্রদান করো।” শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা, কৃষকের ফসলের সঠিক দাম, প্রবাসীর রেমিট্যান্সের মর্যাদা—এসবই নবীজির শিক্ষার বাস্তবায়ন।নবীজির জীবন থেকে আমরা আরও শিখি মানবিক সহমর্মিতা। তিনি শত্রুকেও ক্ষমা করেছিলেন, দুর্বলকে রক্ষা করেছিলেন। অথচ আমাদের সমাজে হিংসা, ঘৃণা, বৈষম্য বেড়েছে। দরিদ্র ও অসহায়দের প্রতি সহানুভূতি বাড়ানো, ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা—এসবই নবীজির শিক্ষা অনুযায়ী। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়া মানেই শুধু ধর্মীয় আচার পালন নয়; বরং তা সামাজিক ন্যায়বিচার, রাষ্ট্র পরিচালনা, অর্থনৈতিক ভারসাম্য ও মানবতার প্রতি দায়বদ্ধতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান। বর্তমান বৈশ্বিক অস্থিরতার যুগে এ শিক্ষা গ্রহণই পারে আমাদেরকে শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতার পথে এগিয়ে নিতে। আজ, ঈদে মিলাদুন্নবী আমাদের মনে করিয়ে দেয়—এই দিনটি কেবল ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং আত্মসমালোচনার দিন। যদি আমরা তাঁর জীবন ও শিক্ষাকে না বুঝি, তবে দুর্নীতি, সহিংসতা ও বৈষম্যের অন্ধকার থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু যদি আমরা সত্যিই তাঁর শিক্ষা অনুসরণ করি—রাজনৈতিক নেতৃত্ব, অর্থনীতি, সাংবাদিকতা, সাধারণ মানুষের জীবন সবক্ষেত্রে—তাহলে বাংলাদেশ হতে পারে শান্তি, ন্যায় ও সমৃদ্ধির দেশ। ঈদে মিলাদুন্নবী আমাদের কেবল ঐতিহাসিক স্মরণ নয়, বরং আত্মসমালোচনা ও কর্মপ্রেরণার দিন। নবীজির (সা.) শিক্ষা বাস্তবায়ন করলেই— রাজনৈতিক সংকট কাটবে ন্যায়ভিত্তিক নেতৃত্বের মাধ্যমে, সামাজিক অবক্ষয় রোধ হবে নৈতিকতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে, অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস পাবে সুষম বণ্টন ও জাকাত ব্যবস্থার মাধ্যমে, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা পাবে সহনশীলতা ও মানবপ্রেমের মাধ্যমে। আজকের আহ্বান: রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন যে—সংকটমুক্ত জাতি গড়ার একমাত্র পথ তাঁর জীবন ও শিক্ষার অনুসরণ। আমাদের প্রত্যেকের উচিত— রাজনৈতিক নেতা হোক ক্ষমাশীল ও ন্যায়পরায়ণ, অর্থনীতির নিয়ম হোক ন্যায্য ও বৈষম্যমুক্ত, সাংবাদিক হোক সাহসী ও সত্যনিষ্ঠ, সাধারণ মানুষ হোক সততা, সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর শিক্ষা—এটাই হতে পারে আমাদের দেশের অন্ধকার থেকে মুক্তির একমাত্র আলো। আমরা বিশ্বাস করি, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর শিক্ষা আজকের পৃথিবীতে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন। যুদ্ধবিদ্ধস্ত বিশ্ব, বিভক্ত মুসলিম উম্মাহ, দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজ ও অস্থির তরুণ প্রজন্ম—সব সমস্যার সমাধান রয়েছে নবীজির দেখানো পথে। তাই আমাদের প্রতিজ্ঞা হওয়া উচিত, ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্র ও বিশ্ব রাজনীতি পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা বাস্তবায়ন করা। কেবল তখনই মানবতা সত্যিকারের মুক্তি পাবে।আজকের পৃথিবী যেন নানা সংকটে ঘেরা—যুদ্ধ, দুর্নীতি, বৈষম্য, রাজনৈতিক অস্থিরতা, পরিবেশ বিপর্যয়, নৈতিক অবক্ষয়—এসব আমাদের সমাজকে প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত করছে। মুসলিম বিশ্বও এ সংকট থেকে মুক্ত নয়। অথচ আমাদের সামনে রয়েছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত—রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন ও শিক্ষা। রাসূলুল্লাহ (সা.) এমন এক যুগে আগমন করেছিলেন, যখন আরব সমাজ ছিল অন্ধকারে নিমজ্জিত। গোত্রবাদ, অবিচার, নারী নিপীড়ন, মিথ্যা প্রতিযোগিতা আর সহিংসতায় জর্জরিত ছিল গোটা সমাজ। ঠিক সেখানেই তিনি ন্যায়, সাম্য, দয়া, ভ্রাতৃত্ব আর মানবতার আলো জ্বালিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে তার আচার-আচরণে উত্তম।” আজকের সমাজে এই বাণীই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। বর্তমান সংকটে আমরা দেখি—ক্ষমত জাতীয়করণের দাবিতে রাজশাহীতে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের সমাবেশ খুলনায় সাংবাদিক বুলুর রহস্যজনক মৃত্যুর অধিকতর তদন্তের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন সংবাদদাতা মোঃ রুবেল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাংলাদেশ ন্যাশনাল নিউজ ক্লাব ও বাংলাদেশ ভূমিহীন গৃহহীন হাউজিং লিঃ উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

রাজশাহীতে দেড় লাখ মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ৩০টি ওয়ার্ডের ৮৪ টি কেন্দ্রে

০৬ আগষ্ট ২০২১ইং মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বাবু জেলা ব্যুরো রাজশাহীঃ
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৬ আগস্ট, ২০২১
  • ৮০৮ বার পঠিত

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) ব্যবস্থাপনায় মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে মোট ৮৪টি কেন্দ্রে আগামী শনিবার (৭ আগস্ট) থেকে একযোগে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। কর্মসূচি চলবে আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত। ৬দিনের এই ক্যাম্পেইনে এক লাখ ৫০ হাজার মানুষকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে রাসিক। প্রতিদিন ২৫ হাজার জনকে মর্ডানার প্রথম ডোজ টিকা প্রদান করা হবে। তবে সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৮ বছর বয়সীদের পরিবর্ততে ২৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের টিকা প্রদান করা হবে। এ লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। টিকাদান কার্যক্রম সফল করতে মহানগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম জানান, টিকাদানে বয়সসীমার সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এসেছে। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী ১৮ বছর বয়সীদের করোনা টিকা প্রদানের কথা ছিল। কিন্তু সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের টিকা প্রদান করা হবে। নগরীর প্রতিটি কেন্দ্রে দুইজন টিকাদানকারী (স্বাস্থ্যকর্মী) ও তিনজন স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করবেন। সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত মর্ডানার প্রথম ডোজ টিকা প্রদান করা হবে। টিকাদান কেন্দ্রে বয়োজ্যষ্ঠ, নারী ও প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে আনলেই দেওয়া হবে টিকা। তবে রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই যারা টিকা নিবেন, তাদের টিকা নেওয়ার পর রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

ক্যাম্পেইন চলাকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্র (স্থানঃ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ), পুলিশ হাসপাতাল কেন্দ্র, আইডি হাসপাতাল কেন্দ্র, সিএমএইচ রাজশাহী কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

৩০টি ওয়ার্ডের করোনা টিকাদান কেন্দ্রগুলো হলো: ১নং ওয়ার্ডে গোলজারবাগ উচ্চ বিদ্যালয়, রায়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওয়ার্ড নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র। ২নং ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কার্যালয়, নগরপাড়া সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়, ওয়ার্ড নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র। ৩নং ওয়ার্ডে ডি.বি আনোয়ারা স্কুল বহরমপুর, শিক্ষা স্কুল এন্ড কলেজ দাসপুকুর। ৪নং ওয়ার্ডে কেশবপুর ভেড়ীপাড়া সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়, ৪নং ওয়ার্ড কার্যালয়, ওয়ার্ড নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র। ৫নং ওয়ার্ডে মহিষবাথান আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, হেলেনাবাদ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়। ৬নং ওয়ার্ডে প্যারামেডিকেল ইন্সস্টিটিউট, লক্ষীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ৭নং ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কার্যালয় (ঝাউতলা), ডায়াবেটিস হাসপাতালের নার্সিং ইনস্টিটিউট, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র। ৮নং ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কার্যালয়, গভঃ ল্যাবরেটরী হাই স্কুল। ৯নং ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কার্যালয়, শাহ মুখদুম দরগা মাদ্রাসা। ১০নং ওয়ার্ডে হাতেম খাঁ কলাবাগান আজিজার রহমান সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়, হাতেম খাঁ মুসলিম হাই স্কুল।

১১নং ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কার্যালয়, গার্লস স্কুল, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র। ১২নং ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কার্যালয়, মসজিদ মিশন একাডেমী স্কুল, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র। ১৩নং ওয়ার্ডে দক্ষিণ দড়িখরবোনা প্রাথমিক বিদ্যালয়, শহীদ নজমুল হক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র। ১৪নং ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কার্যালয়, তেরখাদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৫নং ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কার্যালয় (দড়িখরবোনা), শহীদ এ. এইচ. এম. কামারুজ্জামান সরকারি ডিগ্রি কলেজ, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র। ১৬নং ওয়ার্ডে বখতিয়ারাবাদ শিশু বিকাশ প্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয়, মথুরডাঙ্গা মহিলা কাউন্সিলরের কার্যালয়, আটকোষী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৭নং ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কার্যালয়, নওদাপাড়া আওয়ামী লীগ অফিস, তিলোত্তমা স্বাস্থ্য কেন্দ্র। ১৮নং ওয়ার্ডে মেট্রোপলিটন ডিগ্রী কলেজ, অন্নদা সুন্দরী প্রাথমিক বিদ্যালয় (ম্যাচ ফ্যাক্টরী), গোল্ডেন স্টার প্রি-ক্যাডেট স্কুল, আসাম কলোনী, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র। ১৯নং ওয়ার্ডে শিরোইল কলোনী ওয়ার্ড কার্যালয়, ছোটবনগ্রাম ওয়ার্ড কার্যালয়, শিরোইল কলোনী উচ্চ বিদ্যালয়, শিরোইল কলোনী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছোটবনগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ২০নং ওয়ার্ডে কৃষ্ণকান্ত সঃ প্রাঃ বিদ্যালয় সুলতানাবাদ, রানীবাজার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়।

২১নং ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কার্যালয়, সূর্যকণা স্কুল। ২২নং ওয়ার্ডে রাজশাহী বি.বি হিন্দু একাডেমী (২টি কেন্দ্র), ২৩নং ওয়ার্ডে শাহমুখদুম কলেজ, আহমদপুর সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র। ২৪নং ওয়ার্ডে জাতীয় তরুন সংঘ একাডেমী, রামচন্দ্রপুর ও জনকল্যান সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়, বাজেকাজলা। ২৫নং ওয়ার্ডে খাদেমুল ইসলাম বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, ২৫নং ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কার্যালয় (তালাইমারী) ও সিটি হাসপাতাল। ২৬নং ওয়ার্ডে নামোভদ্রা সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ (পদ্মা আবাসিক), ২৬নং ওয়ার্ডে নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র, শমসের মোন্ডলের মোড়। ২৭নং ওয়ার্ডে বালিয়াপুকুর বিদ্যানিকেতন ও ওয়ার্ড কার্যালয়, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র। ২৮নং ওয়ার্ডে কাজলা সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়, ধরমপুর সমসের মোল্লা বেসরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র। ২৯নং ওয়ার্ডে ডাঁশমারী উচ্চ বিদ্যালয়, সিডিসি ক্লাসটার অফিস ও নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র। ৩০নং ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কার্যালয় ও রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার, ৩০নং ওয়ার্ড নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

বর্তমান সংকটের সমাধান নবীজির শিক্ষা সম্পাদকীয় আজ ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। দিনটি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য পবিত্র, অনন্য ও শিক্ষণীয়। এ দিনে জন্ম নেন বিশ্বমানবতার আলোকবর্তিকা হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং একই দিনে তিনি পৃথিবী ত্যাগ করেন। নবীজির আগমন ছিল মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরিবর্তনের সূচনা। তাঁর জীবন ও শিক্ষা আজও যুগে যুগে প্রাসঙ্গিক বিশেষ করে আমাদের বর্তমান সময়ে।বাংলাদেশ আজ গভীর অন্ধকারে নিঃশ্বাস ফেলছে। চারপাশে ছড়িয়ে আছে বিভাজন, হানাহানি, দুর্নীতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, আর নৈতিক অবক্ষয়। সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত জীবনের মৌলিক নিরাপত্তা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত। দোকানের তাক থেকে চাল, ডাল, তেল—প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেন নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। কৃষক ফসল বিক্রি করতে পারছেন না, শ্রমিক ঘাম ঝরিয়েও ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন না। তরুণ প্রজন্ম কাজের অভাবে হতাশ, শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসাত্মক সংকটের মুখোমুখি। এর সঙ্গে জুড়ে গেছে মাদক, অপরাধ ও সহিংসতার প্রলয়।এই সংকটে আমরা ভুলে যাই সেই আলোর পথে, যিনি মানবজাতিকে অন্ধকার থেকে মুক্ত করেছিলেন—রাসূলুল্লাহ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি এসেছিলেন এমন এক সমাজে, যেখানে গোত্রবিভাজন, মিথ্যা, নারীর অবমাননা, দারিদ্র্য, নিপীড়ন ও সহিংসতা ছিল নিত্যদিনের বাস্তবতা। তিনি আমাদের দেখিয়েছিলেন সত্য, ন্যায়, দয়া ও মানবতার পথ। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “মানুষের মধ্যে উত্তম সেই ব্যক্তি, যে অন্যের জন্য সবচেয়ে বেশি কল্যাণ বয়ে আনে।” আজকের বাংলাদেশে যদি আমরা তাঁর এই শিক্ষার অনুসরণ করি, তবে সমাজে স্বার্থপরতা, দুর্নীতি ও বৈষম্য দূর করা সম্ভব।সাংবাদিকরা যখন সত্য প্রকাশের জন্য নির্যাতনের মুখোমুখি হন, তখন নবীজির শিক্ষা আমাদের শেখায়—সত্যের পথে থাকা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সাহসী হওয়া। তিনি বলেছেন, “সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ হলো অন্যায় শাসকের সামনে সত্য কথা বলা।” সাংবাদিকরা দেশের ন্যায়বিচার রক্ষায় যে ভূমিকা রাখেন, তা নবীজির দৃষ্টিকোণ থেকে সত্যিই মহৎ।রাজনীতিতেও আমাদের শিক্ষা প্রয়োজন। ক্ষমতার জন্য লড়াই, প্রতিশোধ, হিংসা—এগুলো জাতিকে ক্ষয় করছে। অথচ নবীজি মক্কা বিজয়ের দিন শত্রুকেও ক্ষমা করেছিলেন। আজকের নেতারা যদি তাঁর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতেন, সংলাপ ও ক্ষমাশীলতার মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যেত।অর্থনীতি এবং শ্রমিক অধিকারেও নবীজির শিক্ষা অসাধারণ। তিনি বলেছেন, “শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগে তার মজুরি প্রদান করো।” শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা, কৃষকের ফসলের সঠিক দাম, প্রবাসীর রেমিট্যান্সের মর্যাদা—এসবই নবীজির শিক্ষার বাস্তবায়ন।নবীজির জীবন থেকে আমরা আরও শিখি মানবিক সহমর্মিতা। তিনি শত্রুকেও ক্ষমা করেছিলেন, দুর্বলকে রক্ষা করেছিলেন। অথচ আমাদের সমাজে হিংসা, ঘৃণা, বৈষম্য বেড়েছে। দরিদ্র ও অসহায়দের প্রতি সহানুভূতি বাড়ানো, ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা—এসবই নবীজির শিক্ষা অনুযায়ী। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়া মানেই শুধু ধর্মীয় আচার পালন নয়; বরং তা সামাজিক ন্যায়বিচার, রাষ্ট্র পরিচালনা, অর্থনৈতিক ভারসাম্য ও মানবতার প্রতি দায়বদ্ধতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান। বর্তমান বৈশ্বিক অস্থিরতার যুগে এ শিক্ষা গ্রহণই পারে আমাদেরকে শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতার পথে এগিয়ে নিতে। আজ, ঈদে মিলাদুন্নবী আমাদের মনে করিয়ে দেয়—এই দিনটি কেবল ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং আত্মসমালোচনার দিন। যদি আমরা তাঁর জীবন ও শিক্ষাকে না বুঝি, তবে দুর্নীতি, সহিংসতা ও বৈষম্যের অন্ধকার থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু যদি আমরা সত্যিই তাঁর শিক্ষা অনুসরণ করি—রাজনৈতিক নেতৃত্ব, অর্থনীতি, সাংবাদিকতা, সাধারণ মানুষের জীবন সবক্ষেত্রে—তাহলে বাংলাদেশ হতে পারে শান্তি, ন্যায় ও সমৃদ্ধির দেশ। ঈদে মিলাদুন্নবী আমাদের কেবল ঐতিহাসিক স্মরণ নয়, বরং আত্মসমালোচনা ও কর্মপ্রেরণার দিন। নবীজির (সা.) শিক্ষা বাস্তবায়ন করলেই— রাজনৈতিক সংকট কাটবে ন্যায়ভিত্তিক নেতৃত্বের মাধ্যমে, সামাজিক অবক্ষয় রোধ হবে নৈতিকতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে, অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস পাবে সুষম বণ্টন ও জাকাত ব্যবস্থার মাধ্যমে, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা পাবে সহনশীলতা ও মানবপ্রেমের মাধ্যমে। আজকের আহ্বান: রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন যে—সংকটমুক্ত জাতি গড়ার একমাত্র পথ তাঁর জীবন ও শিক্ষার অনুসরণ। আমাদের প্রত্যেকের উচিত— রাজনৈতিক নেতা হোক ক্ষমাশীল ও ন্যায়পরায়ণ, অর্থনীতির নিয়ম হোক ন্যায্য ও বৈষম্যমুক্ত, সাংবাদিক হোক সাহসী ও সত্যনিষ্ঠ, সাধারণ মানুষ হোক সততা, সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর শিক্ষা—এটাই হতে পারে আমাদের দেশের অন্ধকার থেকে মুক্তির একমাত্র আলো। আমরা বিশ্বাস করি, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর শিক্ষা আজকের পৃথিবীতে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন। যুদ্ধবিদ্ধস্ত বিশ্ব, বিভক্ত মুসলিম উম্মাহ, দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজ ও অস্থির তরুণ প্রজন্ম—সব সমস্যার সমাধান রয়েছে নবীজির দেখানো পথে। তাই আমাদের প্রতিজ্ঞা হওয়া উচিত, ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্র ও বিশ্ব রাজনীতি পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা বাস্তবায়ন করা। কেবল তখনই মানবতা সত্যিকারের মুক্তি পাবে।আজকের পৃথিবী যেন নানা সংকটে ঘেরা—যুদ্ধ, দুর্নীতি, বৈষম্য, রাজনৈতিক অস্থিরতা, পরিবেশ বিপর্যয়, নৈতিক অবক্ষয়—এসব আমাদের সমাজকে প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত করছে। মুসলিম বিশ্বও এ সংকট থেকে মুক্ত নয়। অথচ আমাদের সামনে রয়েছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত—রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন ও শিক্ষা। রাসূলুল্লাহ (সা.) এমন এক যুগে আগমন করেছিলেন, যখন আরব সমাজ ছিল অন্ধকারে নিমজ্জিত। গোত্রবাদ, অবিচার, নারী নিপীড়ন, মিথ্যা প্রতিযোগিতা আর সহিংসতায় জর্জরিত ছিল গোটা সমাজ। ঠিক সেখানেই তিনি ন্যায়, সাম্য, দয়া, ভ্রাতৃত্ব আর মানবতার আলো জ্বালিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে তার আচার-আচরণে উত্তম।” আজকের সমাজে এই বাণীই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। বর্তমান সংকটে আমরা দেখি—ক্ষমত

এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com