 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    
সাতক্ষীরার সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়নের রায়পুরে গরু ডাঃ জিয়াউর রহমান মিঠুর পরামর্শ ও ভুল চিকিৎসায় সর্বশান্ত অসহায় দিনমজুর চায়না খাতুন। তথ্য অনুসন্ধানে
জানা জায় ২৬,০৮,২১ তাং বৃহস্পতিবার সন্ধার আগে কলারোয়া উপজেলার কয়লা গ্রামের দিনমজুর অসহায় নারী চায়না বেগমের কাছ থেকে খরচের ভয়ভিতি দেখিয়ে একটা গরু কেনেন ডাঃ জিয়াউর রহমান মিঠু। ২ সন্তানের জনক চায়না খাতুন স্বামী পরিত্যক্তা। চায়না খাতুন দিনমজুরের  কাজ করেন। গ্রামে কাজ করে খুব কস্ট করে সংসার চালান চায়না খাতুন। দিনমজুরের কাজ করে ধার দেনা করে একটা গরু কেনেন চায়না খাতুন। সাবলম্বী হওয়ার আশায় গরু কিনে লালন পালন করে বেশি দামে বিক্রি করার আশা চায়না খাতুন এর।  কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। চায়না খাতুন এর গরুটি হটাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে স্হানীয় গরুর ডাঃ দিয়ে চিকিৎসা করতে গেলে গরু ডাঃ জিয়াউর রহমান মিঠু চায়নাকে বলেন দাদি গরু চিকিৎসা করতে গেলে দশ হাজার টাকা খরচ হবে।
এত  টাকা খরচ হবে শুনে চোখ কপালে ওঠে চায়নার। তখন চায়না খাতুন কে গরু ডাঃ জিয়াউর রহমান মিঠু বলেন দাদি গরু বিক্রি করে দাও, কোন উপায় না পেয়ে অসহায়  চায়না ডাঃ মিঠুর কথায় রাজি হয়। তখন কৌশলে ডাঃ জিয়াউর রহমান মিঠু কলারোয়ার এক ব্যাবসাহীকে ফোন দেই এবং তাদের সাথে যোগসাজড় করে দশ হাজার টাকা দিবে বলে গরু মালিক চায়না খাতুনকে জানান।  দুপুরের পরে কলারোয়ার ব্যবসাহী  গরু নিতে গেলে চায়না খাতুন তাদের বলেন ডাঃ জিয়াউর কাকে ফোন দিয়ে  গরু নিয়ে গেছেন। ডাঃ  জিয়াউর রহমান মিঠু গরুটি অসুস্থ অবস্থায় তার বাড়ি রায়পুর না নিয়ে  ঘরচালার প্রাইমারী স্কুলের পাশে নছিমন চালক এর বাড়িতে নিয়ে জবাই করে। এবং অসুস্থ ও রোগাক্রান্ত গরুর মাংস  ওই এলাকায় বিক্রি করে। পরে  এলাকায় মরা গরু জবাই হয়েছে জানাজানি হয়। সে সমই এলাকা সহ আশপাশের মানুষের ভিতর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। সে  সময় সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিষয়টি জানতে পেরে  ঘরচালায় তার পরিষদের ২ জন গ্রামপুলিশকে পাঠান। গ্রামপুলিশ ঘটনাস্হল ও  গরু বিক্রেতার কাছে  যেয়ে ঘটনার সত্যতা পান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক  অনেক এলাকাবাসী জানান এই ডাঃ অনেক খারাপ সে এর আগেও বিভিন্ন ঘটনা ঘটিয়েছে। তার নামে বিভিন্ন অভিযোগ থাকলেও কিভাবে সে গরু ডাক্তারি করে এমন প্রশ্ন অনেকের। নাম প্রকাশ না করার সত্তে কয়েকজন বলেন মরা গরু জবাই করা বিষয়টি এলাকায় সবার মুখে মুখে কিন্তু প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খুলতে চাই না। বিষয়টি জানাজানি হলে গরু ডাঃ জিয়াউর রহমান মিঠু ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এদিকে কয়লা গ্রামের সাধারণত মানুষের দাবী অপচিকিৎসক গরু ডাঃ জিয়াউর রহমান মিঠু যাতে অসহায় চায়না খাতুন এর গরুর নায্য মুল্য দিয়ে দেই। অন্য দিকে কয়লা ঘরচালা ও অত্র এলাকার সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, রোগক্রান্ত ও প্রায় মরা গরু জবাই করে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করে প্রতরণা করেছেন। সে কিভাবে ডাক্তারি করে তার কি কোন জবাবদিহিতা নাই জেলার প্রাণী সম্পদ অফিসার কি নেই। তারা কি এসব চোখে দেখতে পান না। এমতাবস্থায়
 গরু ডাঃ জিয়াউর রহমান মিঠু-র বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তীর ব্যবস্থা হয় সে জন্য জেলা প্রশাসক মহাদ্বয়ের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সুশীল সমাজ।
Leave a Reply