সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের ইসলামগঞ্জ বাজারস্থ ইয়াকুব উল্ল্যা পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তিশা আচার্য্যর সন্ধানের দাবীতে সহপাঠি ও এলাকাবাসীর মানববন্ধনের খবরটি বেসরকারী স্যাটেলাইট টেলিভিশন মোহনা টিভি, বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর এই শিক্ষার্থীকে ব্রাক্ষ্রণবাড়িয়া সদর রেলওয়ে পুলিশ ফাড়িঁ উক্ত এলাকাবাসীর সহযোগিতায় উদ্ধার করে।
ব্রাক্ষ্রণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সূত্রে জানা যায়,আজ শনিবার ভোর ৫টায় ব্রাক্ষ্রণবাড়িয়া রেলক্রসিংয়ের পাশে মেয়েটিকে দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে তারা রেলওয়ে পুলিশ ফাড়িঁতে ফোন দিলে থানার এসআই মাসুদ রানার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটি রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ব্রাক্ষ্রণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । মেয়েটি কার সাথে কিভাবে সুনামগঞ্জ থেকে ব্রাক্ষ্রণবাড়িয়া গিয়েছেন পুরো ঘটনাটি এখনও জানা যায়নি। তবে পুলিশ জানিয়েছে এই শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের ফলে প্রচুর রক্তখনন হওয়ায় তার শারীরিক অবস্থাটা বেশী ভাল না থাকায় তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রাক্ষ্রণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাক্ষ্রণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাড়িঁর উদ্ধারকারী এস আই মো. মাসুদ রানা উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,নবম শ্রেণীর এই শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থাটা তেমন ভাল না থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেয়েটি সুস্থ হলে সে কার সাথে, কিভাবে সুনামগন্জ থেকে ব্রাক্ষ্রণবাড়িয়াতে এসেছে জানা যাবে। তিনি আরও জানান, কিশোরী এই শিক্ষার্থীকে কে বা কারা ধর্ষন করেছে তা এই মূহুর্তে জানা সম্ভব হয়নি, সে সুস্থ হওয়ার পর পুরো ঘটনাটি জানা যাবে।
উল্লেখ্য গত ৯ সেপ্টেম্বে বেলা ১১টায় ইয়াকুব উল্ল্যা পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সহপাঠি ও এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধন করা হয়। এই সংবাদটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্র মিডিয়ায় প্রচারিত সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাক্ষ্রণবাড়িয়া সদর রেলওয়ে পুলিশ ফাড়ির সদস্যরা ঐ নিখোঁজ শিক্ষার্থীকে রেলক্রসিংয়ের পাশ থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায়। শিক্ষার্থী তিশা আচার্য্য সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের দামপাড়া গ্রামের রতিশ আচার্য্যর মেয়ে। সে গত ২৮ আগষ্ট প্রতিদিনের মতো নিজ বাড়ি হতে স্কুলে এসে আর বাড়ি না ফেরায় তার পিতা রতিশ আচার্য্য গত ২৯ আগষ্ট সুনামগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। যার ডায়েরি নং-১৫৬১, তারিখ ২৯/০৮.২১ইং। এইদিকে নিখোঁজ তিশা উদ্ধারের খবর জানাজানি হওয়ার পর , সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের দ্রত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়েছেন সুনামগন্জ এলাকাবাসী ও তিশার সহপাঠীরা।
Leave a Reply