অসহায় গরীব অধ্যক্ষ জনাব নুরল ইসলাম খোদাদাদ, গরীবানা হালে গত ২ বছর ধরেই মাদ্রাসায় আসেন না
নওগাঁ জেলা প্রধান
নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার বড়থা ডিআই ফাজিল মাদ্রাসার অসহায় গরীব অধ্যক্ষ জনাব নুরল ইসলাম খোদাদাদ, অসহায়ত্বের কারনে গরীবানাভাবে গত প্রায় দুই বছর ধরেই মাদ্রাসায় না আসলেও ঘরে বসেই বিল বেতন পেয়ে যান।১৯ মে প্রকাশিত আমাদের কুষি্টয়া, সন্দীপ এক্সপ্রেস টিভি, দিন প্রতিদিন ও দৈনিক যুগ-যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত অধ্যক্ষের সূত্র, সহ-সভাপতি বাবলু, মোজাফ্ফর চৌধুরী ও মাদ্রাসার শিক্ষকগনের দাবী মোতাবেক অধক্ষ্যের পরিবর্তে সভাপতিকে মাদ্রাসায় সব সময় উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে। তারা আরো দাবী করেন যে, তারা বহুবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ঘুঁসের টাকা সংগ্রহ করে সভাপতির জন্য জমা করেন আর সভাপতি নিয়োগের দিন আসলে ঘুঁসের টাকাসহ মাদ্রাসার সব টাকা তারা সভাপতিকে দিয়ে দেন ও সভাপতি আবার হারিয়ে যায়। তাদের আরো দাবী সভাপতি মাদ্রাসার জমি সব আত্মসাৎ করেছেন বাস্তবে ঘটনা ভিন্ন: সভাপতি জনাব শহিদুল ইসলাম সভাপতি নিয়োগ হওয়ার আগেই উরোল্লোখিত ব্যক্তিবর্গ মাদ্রাসার সব ফান্ড শুন্য করে জমিজমা সব বন্ধক রেখে সব টাকা আত্মসাৎ করেছে, যার প্রমানসহকারে তাদের বিরুদ্ধে আগেই অনেক অভিযোগ ও অনেক নিউজ প্রকাশিত হয়েছে।একটিমাত্র নিয়োগকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রার্থীর থেকে বাবলু, মোজাফ্ফর, টিআর সদস্য রাজ্জাক, অধ্যক্ষ ও তার সিন্ডিকেট মিলে গত পাঁচ বছর ধরে প্রায় এক কোটি টাকা টাকা ঘুঁষ নিয়ে খেয়ে নিয়েছে, যে সকল প্রার্থী নিয়োগ পেয়েছে, তাদের জিম্মি করে নিয়োগের পরে আবার টাকা নিয়েছে, যা কি না জনাব সভাপতি তদন্ত করে বের করে ফেলায় অধ্যক্ষ পলাতক আছেন। মেফতাউল জান্নাহ নামক প্রার্থীর থেকে বিশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ও ভগবানপুর নিবাসী শাহিদ এর থেকে তের লক্ষ পঁয়ষট্টি হাজার টাকা তারা নিয়েছে, যে সকল দুর্নীতি সভাপতি জনাব শহিদুল ইসলাম ধরে ফেলে মহাপরিচালক, ভিসি, জেলা প্রশাসক, ইউএনও, জেলা শিক্ষা অফিস বরাবর ০৭/০৫/২০২৪ ইং তারিখে অভিযোগ দাখিল করায় অধ্যক্ষ অনেক বেশী গরীব হয়ে যান ও মাদ্রাসার গত আড়াই বছরের কোন অর্থনৈতিক হিসাব বা জমির হিসাব দাখিল করতে না পারায় সভাপতির দানের পাঁচ লক্ষ পঞ্চাঁশ হাজার টাকা মেরে দিয়ে ভূয়া মেডিকেল ছুটি নিয়ে জেল খাটার মাধ্যমে পলায়নপর থাকলেও জনাব অধ্যক্ষ গত ০৫/০৩/২০২৪ইং তারিখে বীরের বেশে মাদ্রাসায় গিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে ছুটি নামক রোজা ভঙ্গ করে আবার ঘুঁষের অর্থ সংগ্রহের জন্য গা ঢাকা দিয়ে সভাপতির উপর মাদ্রাসার দায়িত্ব অর্পন করে বনবাসে গেলেও উপরোক্ত চার পত্রিকার মাধ্যমে দুঃখের প্রকাশ ঘটালেন যে, কেন সভাপতি ক্লাশ নেন না, তারা শুধু বেতন নিবেন, আসবেন আর যাবেন। অধ্যক্ষের কিন্তু মাদ্রাসায় প্রতিদিন হাজিরা দেয়ার কথা, ও তার সিন্ডিকেট সদস্য শিক্ষকদের কিন্তু ক্লাশে উপস্থিত থাকার কথা।
Leave a Reply