শিরোনাম :
৪০ বছর পর জামায়াত নেতার হাতধরে ১০ হাজার মানুষের ভোগান্তির অবসানের বার্তা। রাংগাবালীতে ঝুঁকিপূর্ণ টিনসেট আদালত, যে কোনো সময় ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঝিনাইদহে সদর উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল অনুষ্ঠিত, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে নতুন বার্তা দিল ডাকসু নির্বাচন আমিনুল হক: জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে শিক্ষা-স্বাস্থ্য সেবা বিনামূল্যে নিশ্চিত করা হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখা -ডিবি কতৃক ০৮ কেজি গাঁজা সহ ০২ জন মহিলা মাদক কারবারারী গ্রেফতার। শ্রীপুরে ওষুধের দোকান মালিককে হত্যার ৮ মাস পর প্রধান আসামি রুবেল সহ ৩ যুবক গ্রেপ্তার। শ্যামনগরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ চাঁদপুরে কচুয়ায় ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবি গোপালপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ধামইরহাটে পৌনে চার কোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ অধ্যক্ষ ইলিয়াসের বিরুদ্ধে

ধামইরহাট নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৬১ বার পঠিত

ধামইরহাটে পৌনে চার কোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ অধ্যক্ষ ইলিয়াসের বিরুদ্ধে

ধামইরহাট নওগাঁ প্রতিনিধিঃ

নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার জগদল আদিবাসী স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইলিয়াস আলমের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানে ২৩ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে নিয়োগ দিয়ে প্রায় পৌনে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোর বাহিরে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ০৬ জনকে নিয়োগ দিয়ে এমপিওভুক্ত করেছেন। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক মো. তফিকুল ইসলামসহ স্থানীয়রা ১০ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, দূর্ণীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন,অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, অধ্যক্ষ মো. ইলিয়াস আলম দীর্ঘ দিন ধরে কলেজের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. দেলদার হোসেন, ট্রেড ইন্সট্রাক্টর মো. ছাইদুল ইসলাম, অফিস সহকারী মো. আব্দুর রউফ তাদের পারস্পরিক সহযোগিতায় নিয়োগে অনিয়ম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো অনুসারে ৫ জন কর্মচারীর প্রাপ্যতা থাকলেও এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোর তোয়াক্কা না করে মাধ্যমিক ও কলেজ শাখাকে স্বতন্ত্র হিসেবে দেখিয়ে অতিরিক্ত আরও ৬ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি এক যুগের অধিক সময় ধরে ওই একজন ব্যাক্তিকেই সভাপতি হিসেবে রেখে মোট ২৩ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে নিয়োগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। প্রতিটি বিষয়ের জন্য ১ জন করে ল্যাব সহকারী প্রাপ্যতা থাকায় ৪ জনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। যার সবাই অধ্যক্ষের নিকট আত্মীয় এবং তাঁর গ্রামের। কিন্তু সু-কৌশলে স্কুলকে স্বতন্ত্র হিসেবে দেখিয়ে সরকার প্রদত্ত কম্পিউটার ল্যাব না থাকা সত্ত্বেও ওই পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ নীতিমালা বর্হিভূত এবং অবৈধ।
এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের মাঠের শোভাবর্ধনকারী মেহগনি, আম, কাঁঠালসহ অন্যান্য প্রায় ৭০টি গাছ অনুমোদন ও টেন্ডার ছাড়াই বিক্রয় করা হয়। যে সমস্ত গাছের গোড়ালির চিহ্ন এখনও দৃশ্যমান। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের পূর্ব দিকে প্রায় ৩কি.মি দুরে নিকেশ্বর মৌজায় প্রায় ১ একর ভিটামাটির উপরে ১২ শত বনজ গাছের বাগানও বিধি বর্হিভূতভাবে বিক্রয় করা হয়। এবং দুই কক্ষ বিশিষ্ট দ্বীতল বিল্ডিং ভাঙ্গার রড ও ইট টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রয় না করে বিধি-বহির্ভূতভাবে বিক্রয় করে অর্থ আত্মসাৎ করেন,অভিযোগে আরও বলা হয়, ওই প্রতিষ্ঠানে এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারশিকৃত প্রার্থী নিয়োগ নিতে এসে ব্যাপক হেনস্তার শিকার হন। প্রতিটি পদে নিয়োগের জন্য অধ্যক্ষকে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়। ওই প্রতিষ্ঠানের মনোবিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক ছারোয়ার হোসেনের কাছে থেকে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নিলেও তাকে এখন পর্যন্ত এমপিওভুক্ত করেননি। এ ঘটনায় তিনি উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করেন। যা বর্তমানে চলমান রয়েছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী প্রভাষক মো. ছারোয়ার হোসেন বলেন, আমি ১ম গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানে শুন্য পদ দেখে আবেদন করে মনোবিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পাই। যোগদান করার পর অধ্যক্ষ আমাকে জানান আমার নিয়োগকৃত বিষয়টির অনুমোদন প্রকৃয়াধীন। নিয়োগের সময় তিনি আমার কাছে থেকে ১লক্ষ টাকা নেন। পরে আবারও তিনি আমার কাছে থেকে ৪০ হাজার টাকা নেন। পরে তিনি আমার কাছে আরও টাকা দাবি করে বলে অন্যরা ৪ লক্ষ টাকা করে দিয়েছে। আমি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তিনি আমাকে জামায়াত/শিবিরের তকমা দেন। এরপরও আমার এমপিও না করায় আমি উচ্চ আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ মো. ইলিয়াস আলম বলেন, ‘আমি কাউকে নিয়োগ দিইনি। পূর্বের অধ্যক্ষ তাদের নিয়োগ দিয়েছেন। তার কাছে প্রমাণক হিসাবে এই ২৩ জন শিক্ষক-কর্মচারীর নিয়োগ ও যোগদানের কপি চাইলে তিনি তা দেননি। কিন্তু প্রতিবেদকের হাতে থাকা তথ্যাদিতে দেখা যায়, তিনি ওই প্রতিষ্ঠানে ২০১০ সালে নিয়োগ নিয়েছেন। এরপর থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত ২৩টি পদে কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ বোর্ডে গঠন করে নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ সব অভিযোগের প্রতিকারে জানতে চাইলে ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)আসমা খাতুন বলেন, ‘অভিযোগটি আমি এখনো হাতে পাইনি। হাতে পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com