শিরোনাম :
আমতলীতে ছাগলকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: তিনজন আহত, একজন বরিশাল মেডিকেলে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ এক ব্যক্তি গ্রেফতার কুমিল্লায় বসতঘরের সামনে টিনের ভেড়া দিয়ে পথ বন্ধ ভোগান্তিতে জামাল হোসেন পাটোয়ারীর পরিবার চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে মনোনয়ন প্রাপ্ত মাহমুদ হাসান খান বাবুকে গড়াইটুপি ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ঝিনাইদহে মানবিক আরএমও’র বদলিতে শৈলকূপা বাসি উদ্বেগ — এলাকাবাসীর দাবি, “অবিলম্বে অর্ডার বাতিল করা হোক” ‎চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি নেতার প্রবাসীর স্ত্রীসহ বসবাসে গুঞ্জন ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি বগুড়া সদর-৬ আসনে তারেক রহমানের বিজয় নিশ্চিতের লক্ষ্যে তরুণদের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েই গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছে রংপুরের প্রার্থীরা নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে মনোনীত প্রার্থী ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া ও আজহারুল ইসলাম মান্নান,কার হাতে সন্ত্রাসমুক্ত,নিরাপদ জনপদ গড়া সম্ভব? যশোরের রুপদিয়া এলাকায় নাঈম নামে একজনকে ফার্মেসীতে ডেকে নিয়ে হত্যার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা

নিয়ামতপুরে খোলা বাজারের সারের  দাম দ্বিগুন; বিপাকে কৃষক!

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২০ জুলাই, ২০২২
  • ৩১৩ বার পঠিত

জাকির হোসেন স্টাফ রিপোর্টারঃ

শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের কৃষক রাসেল। তিনি এবার ১০ বিঘা জমিতে আমনের আবাদ করবেন। সে লক্ষ্যে তিনি তীব্র খরার মধ্যেও বিকল্প ব্যবস্থায় অতিরিক্ত খরচে জমিতে সেচ দিয়ে মাঠ প্রস্তুত করছেন। জমিতে রাসায়নিক সার দেয়ার জন্য তিনি বুধবার এসেছিলেন নিয়ামতপুর বাজারে সার কিনতে। কিন্তু সারের দাম শুনে তিনি রীতিমত হতাশ। সার ডিলারের সাথে অনেক বাক-বিতন্ডা করেও পাননি সরকারী নির্ধারিত মূল্যে সার। তিনি জানান, আমার ৫ বস্তা ইউরিয়া, ৩ বস্তা টিএসপি ও ২ বস্তা পটাশ সারের প্রয়োজন থাকলেও সার ডিলার দিচ্ছেন নামমাত্র।

প্রয়োজনীয় পরিমান সার না পেয়ে তিনি বাধ্য হয়ে ১০কেজি ইউরিয়া কিনেছেন প্রতি কেজি ১৮ টাকা দরে, ১০ কেজি পটাশ কিনেছেন ২৯টাকা দরে আর ১০ কেজি টিএসপি কিনেছেন ৩০ টাকা দরে। অথচ, প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের সরকারী মূল্য ১৬ টাকা, টিএসপি ২২ টাকা এবং পটাশ ১৫ টাকা করে কৃষকের নিকট থেকে নেয়ার কথা।

তিনি আরো জানান, কৃষিবান্ধব সরকার কৃষকদের সুবিধার্থে সারের মূল্য নির্ধারণ করলেও শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিস ও প্রশাসনের মনিটরিং এর অভাবে ডিলাররা কৃষকদের নিকট থেকে ইচ্ছেমত হারে সারের মূল্য আদায় করছেন। এমন অভিযোগ শুধু আমার না, আরো অনেকের। অপর কৃষক নিয়ামতপুরের সালেহীন জানান, তিনিও সরকারী নির্ধারিত মূল্যে সার পাননি। নায্য মূল্যে সার পাওয়ার জন্য বিভিন্ন বাজারে সার ডিলারের নিকট হন্নে হয়ে ঘুরলেও কোথাও কৃষি বিভাগের তৎপরতা লক্ষ্য কারা যায়নি। তাকেও উচ্চ মূল্যে সার কিনে জমিতে প্রয়োগ করতে হয়েছে।

সরেজমিনে বুধবার নিয়ামতপুর উপজেলার ছাতড়া, খড়িবাড়ি, গাংগোর, নিমদীঘি বাজার ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র। সার বিক্রেতারা সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চড়াও মূলে কৃষকদের নিকট সার বিক্রি করছেন। লাল কাপড়ে সরকারী নির্ধারিত মূল্যের তালিকা টাঙিয়ে সার বিক্রির নির্দেশনা থাকলেও কোথাও তা চোখে পড়েনি। ফলে সার বিক্রেতারা ইচ্ছেমত হারে সার বিক্রি করছেন।

নিয়ামতপুর বাজারের সার বিক্রেতা ফারুক হোসেন জানান, কৃষকদের নিকট খুচরা সার বিক্রি করে অনেক সময় ওজনে বেশী চলে যায়। পরবর্তীতে লস হয়। এ কারনেই লস পুষিয়ে নিতে কিছুটা বাড়তি মূল্য নেয়া হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে নিয়ামতপুর ফার্টিলাইজার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিমল চন্দ্র প্রামানিকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, সরকারী বরাদ্দের এমওপি সার এখনো নিয়ামতপুরে পৌঁছায়নি। হয়তো এ সুযোগেই বিক্রেতারা তাদের মনমত মূল্য আদায় করছেন কৃষকদের নিকট থেকে, যেটা উচিৎ না। এতে করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।

কৃষিকর্মকর্তা আমীর আব্দুল্লাহ মো. ওয়াহেদুজ্জামান জানান, তিনি কৃষকদের নিকট থেকে কয়েকটি ফোন পেয়েছেন এবং বিষয়টি কৃষকরা তাকে জানিয়েছেন। আজ বুধবার সংবাদ কর্মীদের ফোন পেয়ে তিনি সরেজমিনে বের হয়ে প্রতিটি ডিলারকে সতর্ক করেন এবং লাল কাপড়ে সরকারী নির্ধারিত সারের মূল্য সংযোজিত তালিকা টাঙিয়ে সার বিক্রি করার নির্দেশ দেন। এর ব্যতিক্রম ঘটলে এবং কৃষক অভিাযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com