শিরোনাম :
কসবা–আখাউড়া আসনে বিএনপির হাল ধরলেন মশিউর রহমান কুমিল্লায় ১০-বিজিবির অভিযানে বিদেশী পিস্তল, গুলি ১২ কেজি গাজা উদ্ধার আশুগঞ্জে বিপুল পরিমাণ বিদেশি সিগারেটসহ একজন গ্রেফতার খুশি চরফ্যাশন ও মনপুরা সাধারণ জনগণ গলাচিপায় নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, আত্মহত্যা না রহস্য? ভোলা জেলা ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত। বগুড়া-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ রাজশাহীর ছয়টি আসনের দুটিতে নতুন মুখ, চারটিতে প্রবীন রাজনীতিবিদ কথা-কবিতা-গান-সম্মাননায় সাউন্ডবাংলার অনবদ্য আয়োজন অনুষ্ঠিত আটঘরিয়ায় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় পারখিদিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রথম

বি আর টি এ’র ঢাকা জেলা ইকুরিয়ায় লাইসেন্স নবায়ন শাখার এডি নূর হোসেনের ঘুষ- বাণিজ্য তুঙ্গে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫
  • ৩২৭ বার পঠিত

খায়রুল ইসলাম:

ঢাকা গাবতলী বিআরটিসিতে টাকা দিলে কাজ না দিলে নয়। এডি নূর হোসেন লাইসেন্স শাখার মহারতি স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর ও অন্যতম দালাল, ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত এই এডি নূর হোসেন ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন, বর্তমানে ইকুরিয়া বিআরটিএ’র জেলা শাখায় কর্মরত ।

নূর হোসেন লাইসেন্সে শাখায় তৈরী করেছেন ঘুষের রাম রাজত্য। নূর হোসেন থাকলে টপ টু বটম ঘুষ বাণিজ্য করতে পারে। নূর হোসেনের দোসর আরো এক ঘুষখোর ইন্সপেক্টর আবু জামাল এই দুজনের সহযোগিতায় চলে গাবতলী বিআরটিএ ঘুষ- বাণিজ্য। এ যেন এক অভিনব ব্যাবসা, এডি নুর হোসেন ও ইন্সপেকটর আবু জামাল দুজনে মিলে গড়েছে ঘুস বাণিজ্যের কারখানা। আমাদের অনুসন্ধানী দল গত ২২ জুন গাবতলী বিআরটিসি’তে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ড্রাইভারদের রানার কার্ডে পাশ বা ফেল কিছুই না লিখে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। তারা বুঝতে পারেনা তাদের ভাগ্যে কি জুটেছে। ভুক্তিভোগি’র একজনের সাথে কথা বলে জানা যায় , তার রোল ৮৮, হেভি লাইসেন্স তিনি সব কিছু ঠিকঠাক করলেও তাকে ফেল করিয়ে দেয়া হয়েছে। কারণ তিনি ঘুষ দিতে অপারগতা জানান।

এভাবেই প্রতিদিন বহু ড্রাইভার কাঁদতে কাঁদতে চলে যায়। সূত্র জানায় রাতে এডি নূর হোসেন ও ইন্সপেক্টর আবু জামাল দুজনে বসে তাদের নিয়োগকৃত দালালরা যে রোল নং ডায়রিতে লিখে পাঠায় সেগুলি পাশ করিয়ে দেয়া হয়, বাকি সব ফেল। এভাবেই চলছে এখানকার লাইসেন্স প্রদানের প্রথা। এই যদি হয় বিআরটিএ ‘র অবস্থা তাহলে সাধারণ জনগণ কোথায় যাবে। দালালদের দৌরাত্মে অতিষ্ঠ গাবতলী বিআরটিএ পরীক্ষা কেন্দ্র। দালালদের মুলহোতা হল এডি নূর হোসেন প্রতিদিন মানুষকে ধোকা দিয়ে কাড়ি কাড়ি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে । এডি নূর হোসেনের রয়েছে ঢাকায় নামে বেনামে ফ্লাট ও জমি, ব্যাংকে রয়েছে কোটি কোটি টাকার এফডিআর, টাঙ্গাইলে ডুপ্লেক্স বাড়ি। এমনকি সে প্রতিদিন নাইট ক্লাবের ও সদস্য। এর আগে মাদারীপুরে বিআরটিএ থাকাকালীন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি নিক্সন চৌধুরী সাথে নূর হোসেন এর ছিল সর্বচ্চ সখ্যতা, ছাত্র আন্দোলনের সময় এডি নূর হোসেনের ভূমিকা ছিল ভয়াবহ। একনিষ্ঠ হওয়ার বদৌলতে নিক্সন চৌধুরীর বলতো এডি নূর হোসেন তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতো। এই ঘুসখোর আওয়ামী লীগের দোসর এডি নূর হোসেনের খুটির জোর কোথায় এর আগেও এই দুর্নীতিবাজ অফিসারের বিরুদ্ধে কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় নিউজ হয়েছিল, উপর মহলকে লক্ষাধিক টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে চাকরিতে বহাল আছেন। এই ঘুষখোর আওয়ামী লীগের দোসর এডি নূর হোসেনের খুটির জোর কোথায় ? এর আগেও এই দুর্নীতিবাজ অফিসারের বিরুদ্ধে কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় নিউজ হয়েছিল, কিন্তু বিশেষ ওই উপর মহল সবকিছু এড়িয়ে গেছেন। এই দুর্নীতিবাজ অফিসার এডি নূর হোসেনকে এই পবিত্র বিআরটিএ ঢাকা জেলা থেকে সরানো না হলে বিআরটিএ’র প্রতি মানুষের ঘৃণা ও ক্ষোভ বেড়েই চলবে। চেয়ারম্যান, সচিব ও প্রশাসনের কাছে ভুক্তভোগিদের জোর দাবি যেন এই অসাধু অফিসার এর সকল অবৈধ সম্পদের হিসাব বের করে আওয়ামী লীগ’এর এই দোসরকে এখান থেকে না সরালে বিআরটিএ দালাল মুক্ত হবে না। এবিষয়ে এডি নূর হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার কাজ আমি করি, এখানে কাউকে কইফিয়ত দেয়ার জন্য বসিনি, হ্যাঁ হালকা কিছু টাকা তারা খুশি হয়ে দেয় এটা তো দোষের কিছু নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com