নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে একজন এনজিও কর্মীকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে জেলা ডিবির এসআই রহিমের বিরুদ্ধে। শুধু ভুক্তভোগী নয় বিষয়টিতে এলাকার জনগনের মধ্যেও ক্ষোভ দেখা যায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গত (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও কোন ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নাই। রহস্য জনক ভাবে বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টায় রয়েছে প্রশাসন।
ভুক্তভোগী মুরাদ হোসেন জানান, আমি একজন এনজিও কর্মী রাজশাহী জেলার দূর্গাপুর থানাধীন নওপাড়া ইউনিয়নের পুরান তাহিরপুর গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে (৩১)।
এ ঘটনায় আমি পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি যে, গত (২৮ আগস্ট) বিকেল ৫ টার দিকে আমি এনজিও কর্মী হিসেবে দূর্গাপুর থানাধীন পুরান তাহিরপুর গ্রামের মোহনগঞ্জ বাজারের পাশে অবস্থিত “বিয়ান বাড়ি কফি হাউজ অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে কফি পানের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছিলাম এমন সময় হঠাৎ এসআই রহিমসহ সঙ্গীয় ছয় জন ব্যক্তি সিভিল পোশাকে আমাকে সেখান থেকে তুলে সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েনের পুকুর প্রজেক্টে নিয়ে যায়। পরে এসআই রহিমসহ তার সঙ্গীয় ছয় জন ব্যক্তি আমার কাছে ৫ লক্ষ টাকা দাবী করে টাকা না দেওয়া হলে তাকে মাদক মামলায় ফাঁসানো হবে বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকেন তারা।
ছেলেকে আটকের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে স্থানীয়দেন নিয়ে পৌছান আমার বাবা সাহেব আলী। অর্থ না দিলে ছেলের কপাল পুড়বে সেই ভয়ে ২ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা এসআই রহিমকে প্রদান করেন।
অর্থ পাওয়ার পরও আমার কাছে থাকা একটি বাটন ফোন ও একটি রিয়েলমি (অ্যান্ডরয়েড) মোবাইল ফোন এসআই রহিম জব্দ করণের অযুহাতে নিজের কাছে রাখবে বলে নিয়ে যান।
পরবর্তীতে ব্যবহৃত মোবাইল দুইটি ফেরত পেতে এসআই রহিমের যোগাযোগ করা হলে গত (৩০ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে নগরীর ভেড়িপাড়া মোড়ে মোবাইল দুইটি আমায় বুঝিয়ে দেন এসআই রহিম।
মুরাদ আরোও জানায়, আমি পরবর্তীতে এসপি অফিসে অভিযোগের বিষয়টির কি অবস্থায় আছে জানতে গেলে খাইরুল সাহেব প্রথমে বলে তদন্তে আছে। কিছুদিন পর যাওয়া হলে আবার বলেন অভিযোগের সত্যতা পাইনি।
কিন্তু ঘটনাস্থলে সবাইকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারি এই বিষয়ে কেউ তদন্তে আসছিল কি না এমন কোন কিছুই তারা জানেননা।
এছাড়াও সরেজমিনে এবং অভিযোগের সাক্ষীতে যারা ছিল তাদেরও কাউকেই ফোন করেনি বিষয় টা জানতে। তাহলে কি তারা ঘটনা স্থলে না এসেই অফিসে বসে তদন্ত করলো?
এই প্রশ্নে এসপি অফিসের কোনো কর্মকর্তা আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। আমি আর কিছু দিন অপেক্ষা করবো কোন বিচার না পেলে সংবাদ সম্মেলন করবো।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডিবির এসআই রহিম জানান, কোন সত্যতা নেই? আপনারা সাংবাদিকরা তদন্ত করেন ? আপনি আমাদের স্যারের সাথে কথা বলেন?
একপর্যায়ে বলে যে আমি দশ গ্রাম হিরোইনের মামলা দিয়েছি তার জন্য আমার নামে অভিযোগ করছে ?
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা ডিবির ওসি রুহুল আমিন এর ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনটা রিসিভ করেননি ।
Leave a Reply