আবু ছৈয়দের দেয়া তথ্যানুযায়ী, পুলিশ ওই দিন রাতে উখিয়ার হলদিয়াপালং ও মরিচ্যাবাজারে অভিযান চালিয়ে শাহেব মিয়া ওরফে নয়ন (২৪) ও মো. আকরামকে (১৯) গ্রেফতার করে। পরে শনিবার রাতে লম্বাশিয়া আশ্রয়শিবির থেকে শফিউল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, শফিউল্লাহ মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল এবং বহু মামলার পলাতক আসামি। আটকের পর তার স্বীকারোক্তি অনুসারে তাকে সঙ্গে নিয়ে উখিয়ার পাতাবাড়ি এলাকা থেকে ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। শফিউল্লাহ প্রতি মাসে ৩০-৪০ লাখ পিস ইয়াবা মিয়ানমার থেকে সীমান্ত পার হয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাচার করে বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ইয়াবা পাচারের সঙ্গে জড়িত আশ্রয়শিবিরের কিছু প্রভাবশালী রোহিঙ্গা ছাড়াও উখিয়া এবং মিয়ানমারের একাধিক সিন্ডিকেট সদস্যের নাম প্রকাশ করেছেন শফিউল্লাহ। আশ্রয়শিবিরে ইয়াবার চালান নিয়ে আসার জন্য আরও বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী রোহিঙ্গা জড়িত আছেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত অনুসন্ধান চলছে।
ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘শফিউল্লাহ ইয়াবা, ক্রিস্টাল মেথসহ (আইস) আটটি মামলার পলাতক আসামি। রোববার শফিউল্লাহকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করবে পুলিশ।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দেয়া তথ্যমতে, গত জুনে মিয়ানমার থেকে পাচারের সময় বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর অন্তত ৬ কেজি আইস ও ২১ লাখের বেশি ইয়াবা উদ্ধার করে। এ ছাড়া চলতি ২০২২ সালের প্রথম চার (জানুয়ারি-এপ্রিল) মাসে মিয়ানমার থেকে পাচারের সময় আরও প্রায় ১ কোটি ইয়াবা এবং ৫০ কেজির বেশি আইস উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে বিজিবি একাই উদ্ধার করে ৪২ কেজি আইস। অন্যদিকে পুরো ২০২১ সালে বিভিন্ন বাহিনীর হাতে উদ্ধার হয়েছিল ২ কোটি ৫৯ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫০ ইয়াবা ও ২৩ কেজি ৮০২ গ্রাম আইস।
Leave a Reply