শিরোনাম :
নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা: গণতন্ত্র টালমাটাল অবস্থায় টঙ্গীতে তুলার গোডাউনে বিশাল অগ্নুৎপাত ভোলায় জলসিঁড়ির জমজমাট ষষ্ঠ আসর অনুষ্ঠিত কসবায় সাংবাদিকদের মিলন মেলা ও বনভোজন: ঐক্যের আহ্বানে এক অনন্য দিন দ্বীপজেলা ভোলা নাগরিক ঐক্য ফোরামের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ভোলার উন্নয়ন ও নাগরিক অধিকারে ঐক্যবদ্ধ নতুন নেতৃত্বের অঙ্গীকার **চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী লায়ন মো. হারুনুর রশিদ বলেন— “তারেক রহমান জনগণের হৃদয়ের কথা জানেন”** আশুগঞ্জে ১২ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারী গ্রেফতার ট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিপুল পরিমাণ সিগারেট, নিষিদ্ধ আমাদানি ক্রিম, মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ জব্দ করা হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে আরেকটি ১/১১ হবে : রাশেদ খান জলঢাকায় বন্ধু মহলের উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

শিবগঞ্জে বাড়ি পেয়ে খুশী হলেও অশান্তিতে আশ্রয়ন বাসীরা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩
  • ১৭৫ বার পঠিত

মোহাঃ মাইনুল ইসলাম লাল্টু শিবগঞ্জ(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধি:

কিস্তিতে টাকা তুলে একটি ভ্যান কিনে ছোট পরিসরে ডাবের ব্যবসা করে অনাহারে- অর্ধহারে পথে পথে ঘুরার চিত্র মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ায়, মা জননী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্থানীয় প্রশাসন আমাকে তর্তীপুর আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর অধিনে একটি বাড়ি দিয়েছেন।

যার ঋণ আমি কোনদিন শোধ করতে পারবো ন।সরজমিনে গেলে কথাগুলো বললেন তর্ত্তীপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা স্বামী পরিত্যক্ত আলিয়া বেগম। তিনি আরো বলেন তবে এপর্যন্ত রাস্তা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে এবং ঘরেও অনেকটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তার বাড়ির সামনে জোহরা বেগম জানান পরের বাড়িতে ছিলাম।

মা শেখ হাসিনার দেয়া বাড়ি পেয়ে খুব ভাল আছি। শিবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার কাছে আমার আকুতি জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী একমাত্র ছেলের চিকিৎসা ও আমার কর্মস্থান চাই।সরজমিনে ঘুরে ও এলাকাবাসীর স্বাক্ষরিত সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিক আবেদন ও আশ্রয়ন প্রকল্ল ও গুচ্ছগ্রাম বাসীদের সাথে কথা বলে ও এলকা ঘুরে জানা ও দেখা গেছে যে সত্যিই তারা অনেকটা অসহায় জীবনযাপন করছেন। শিবগঞ্জ উপজেলার সাহাপাড়া, তর্ত্তীপুর,কানসাট বাগানবাড়ি, গৌড়,ঘোড়াপাখিয়া দাইপুখুরিয়া সহ আশ্রয়ন প্রকল্প ২ ও রানীহাট্টিতে অবস্থিত গুছ্গ্রামে পরিবারগুলো নানাবিদ সমস্যায় ভুগছে। উল্লেখ যোগ্য সমস্যা গুলো হলো রাস্তা,নিরাপত্তা, প্রাচীর না থাকা, মাদকতাসক্তদের উৎপাত রয়েছে। সন্ধ্যা নামলেই মাদকাসক্ত ও মাদকবিক্রতারা এ সমস্ত আশ্রয়ন প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রাম এলাকায় মাদক পান আড্ডা মারে,অনেকেই মাদক বিক্রী করে। তারা কোন কোন মেয়েকে দেখে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। রাস্তার অভাবে যাতায়াত করতে পারে না।যে রাস্তা আছে ততে বর্ষাকালে নামা যায় না। এ এলাকা গুলিতে নেই কোন মসজিদ,মন্দির, গোরস্থান,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,।অনেক দূরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় অনেকেই শিক্ষা হতে ঝরে পড়ছে।

কেউ মারা গেলে তাদের অনেক দূরে দাফন করতে হচ্ছে। অস্থায়ী ভিত্তিতে মসজিদ ও মন্দির তৈরী করলেও এখনো স্থায়ীভাবে কোন সহযোগিতা পাইনি বলে জানান তারা। মনাকষা ইউনিয়নের সাহাপাড়া ভবানীপুর আশ্রয়ন প্রকল্প – ২ এর বাসিন্দা একরাম আলি জানান এখানে বাস করা যায় না। জমি ওয়ালারা আমাদের সামনের দিকে ঘেরাও করে দিয়েছে।ফলে সামনের যাতায়াতের মত কোন জায়গা নেই। বাড়ি বদলিয়ে নেয়ার জন্য প্রায় তিন মাস আগে এম পি‘র সুপারিশ নিয়ে টি এন ও এর কাছে আবেদন করেও কোন লাভ হয়নি।এখানে আরে ৪৩টি পরিবারের একই অভিযোগ। তর্ত্তীপুর আশ্রয়ন প্রকল্প -২ এর দুলিয়ারা বেগম কবিতা বেগম,স্বামী পরিত্যক্ত রোকিয়া বেগম( তার সুবিধা ভোগীর কার্ড এখনো হয়নি) নুরেশা বেগম সহ এষানকার প্রায় ৪০/৫০জন নারী পুরুষ বলেন বাড়ি পেয়ে অনেক সুখে থাকলেও শান্তিতে থাকতে পারছি না। প্রায় প্রতি রাতেই মাদকাসক্তদের ও মাদকবিক্রেতাদের উৎপাত, রাস্তায় যাতায়াত করতে না পারা, নিরাপত্তার অভাব,স্থানীয় প্রভাবশালীদের মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে হচ্ছে। প্রতিবাদ করতে গেলেই প্রাণনাশ সহ নানা ধরনের হুমকীর সম্মুখীন হচ্ছি।

একই ধরনের অভিযোগ নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের রানীহাট্টি বাজারে পূর্বে কলেজের সামনে গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা, আদরী সরকার, টকিয়ারা বেগম,পার্বতী, ফজর আলি, কুলসুম বেগম,শ্রীমতি মায়ারানী সহ হিন্দুদের ২৬টি পরিবার সহ মোট ১৩০টি পরিবারের।এ এলকার ষষ্ঠী ঘোষ ও রাসেল জানান আমাদের বাড়ির তিন দিকে খনন করা পুকুরগুলো আমাদের জন্য হুমকী স্বরুপ হলে আমরা এখানো সমিতি করেও মাছ চাষ করতে পাই না। কানসাট বাগানবাড়ি আশ্রয়ন প্রকল্পের অবস্থা আরো খারাপ। এ এলাকার সাথী বেগম, আ ব্দুল মালেক, সহ প্রায় ২০/৩০জন জানান বর্ষা শুরু হবার পর থেকে আমার উঠান পানিতে ও কাদাতে ডুবে আছে। বাধ্যা হয়ে চলাচল করতে গিয়ে হাত পায়ে ঘা ,চুলকানী, টায়ফয়েড, জ¦র সর্দি কাশি সহ নানা অসুখে ভুগছি। এভাবে ঘোড়াপাখিয়া, দাইপুকুরিয়া, শাহাবাজপুরের গৌড় সহ উপজেলায় আশ্রয়ন প্রকল্পের ২ এর ১১৮৮ এবং গুচ্ছ গ্রামের ১৩০টি পরিবার জননেত্রী শেখ হাসিনার বাড়ি পেয়ে খুব খুশী হলে ও আছে অশান্তিতে। তাই তাদের দাবী নিরাপত্তা ব্যবস্থা, উঠানে সবজির বাগান তৈরীতে সহযোগিতা, কুটির শিল্পের সম্প্রসারনের মাধ্যমে কর্মস্থানের ব্যবস্থা করা হোক।

এব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা: সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুল জানান, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নই হলো আশ্রয়ন বাসীদের জন্য নিরাপত্তা, কর্মস্থান,রাস্তা নির্মান ও বাড়ির উঠানগুলোকে সবজি বাগানে ভরপুর করে দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফুটানো। তাই রাস্তা,নিরাপত্তা ও কর্মস্থানের জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। তা অল্প দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com