
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার (বগুড়া-জয়পুরহাট) রাস্তার আমতলী বাসস্ট্যান্ডের আগে শহরতলী বাজার হইতে ৩০০ গজ ভিতরে কলাবাগানের মধ্যে গাইবান্ধার মোঃ তারেক (৪০) নামের ১ ব্যাক্তি পুরাতন ব্যাটারী আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরী করছে।
এই কারখানার দুষিত ধোঁয়ায় এলাকাবাসীর জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে,শহরতলী এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১ ব্যাক্তি জানান প্রতিদিন রাত ০৯:০০ হইতে ভোর ০৪:০০ ঘটিকা পর্যন্ত এরা ব্যাটারীর প্লেট আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরী করে।
রাতে যখন ব্যাটারীর প্লেট আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরীর কাজ করা হয়, তখন কারখানার আশেপাশের দুই তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গন্ধ ছড়ায়।
এই এসিডের ধোঁয়া আশেপাশের গ্রামে বাড়ির ভিতরে ঢোকে ও বসবাসকারী লোকজনের চোখ মুখ প্রচুর জ্বালা করে নিশ্বাস নিতে অনেক কষ্ট হয়।
বিশেষ করে বৃদ্ধ ও ছোট শিশুরা এই কারখানার ধোঁয়ার কারণে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
কারখানাটি পাকা রাস্তা সংলগ্ন হওয়ার দিনের বেলায়ও এই কারখানার এসিডের গন্ধে কোমলমতি শিশুদের ও এলাকাবাসীর রাস্তা দিয়ে চলাচল করা কষ্টস্বার্ধ হয়েছে।
ও এই কারখানার আশপাশের জমির ঘাস কেটে এলাকাবাসী গবাদিপশুকেও খাওয়াতে পারছেনা পশুর মৃত্যুর ভয়ে।
কারখানার শ্রমিকদের গণমাধ্যম কর্মীরা জিগ্যেস করলে আপনারা এই কারখানায় কাজ করেন কিভাবে এরতো প্রচুর গন্ধ,আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কিছু বলেনা?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক জানান চুলা জ্বালিয়ে সিসা তৈরীর কাজ করার সময় আমাদেরও এই ধোঁয়ার কারণে অনেক কষ্ট হয় চোখ মুখ জ্বালা করে তবুও কাজ করি, কি আর করার।
আমরা যখন কাহালুতে কারখানা চালিয়েছিলাম, তখন এলাকাবাসীর অভিযোগে, কাহালুর এ্যাসিল্যান্ড একসাথে তিনটি কারখানা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়।
এরই সুত্র ধরে গণমাধ্যম কর্মীরা কাহালুর সাবানপুর কালীপাড়া, মালঞ্চা,পাচপীর,দুর্গাপুর, এলাকায় গেলে। এলাকাবাসী জানান।
এই সিসা কারখানার জন্য আমাদের এলাকার অনেক গরু ছাগল মারা যায় ও কারখানার আশেপাশের জমির ধান নষ্ট হয়ে যায়, যার কারণে উপজেলা প্রশাসনকে আমরা অবগত করি, তারা তাৎক্ষণিক কারখানাগুলোতে বন্ধ করে দিয়েছে।
শিবগঞ্জের শহরতলী বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় এলাকাবাসী এই কারখানাটি অতি দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বন্ধ করে দিতে।
শিবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
Leave a Reply