
পাঁচ বছর আগে ভিকটিমের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়া গ্রামের প্রবাসী…. এর সাথে। বিয়ের পর থেকে স্বামীর মা ও ভাই-বোনরা মিলে ভিকটিমকে যৌতুকের জন্য নানা নির্যাতন করতে থাকে। গত ০৭ আগস্ট ২০২১ রাতে ভিকটিমকে সাপে কাটে। সাপের বিষের যন্ত্রণায় ছটফট করলে সাপুড়ে এনে পুনরায় সাপ দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ভিকটিমকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা সমরিতা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাপুড়ে এনে পুনরায় সাপ দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করায় ভিকটিম বাকপ্রতিবন্ধী হয়ে যায়। ভিকটিমের শারিরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে গত ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং তারিখে ঢাকা থেকে ভিকটিমের বাবার বাড়ি নিয়ে যায়।
ইতোপূর্বে ভিকটিমকে নির্যাতন করায় ভিকটিমের শশুর বাড়ীর লোকজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করলে তারা দায়েরকৃত মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে এবং পূর্বের শত্রুতার জের ধরে গত ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং তারিখ অনুমান ১২৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম কে এসিড নিক্ষেপ করে। এতে ভিকটিমের হাত ও মুখমন্ডল ঝলসে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ফেনী জেলার ফুলগাজী থানায় মামলা দায়ের করে (যার মামলা নং-০৩, তারিখ- ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ধারা- ২০০২ সালের এসিড অপরাধ দমন আইন এর ৫(ক)/৫(খ)/৭)। মামলা দায়ের পরপরই র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অভিযান পরিচালনা করে দায়েরকৃত মামলার ০১ নং এজাহারনামীয় আসামী মোঃ তারেক (২৪), পিতা- মৃত হাবিবুল্লাহ, সাং- গোসাইপুর, থানা- ফুলগাজী, জেলা- ফেনীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে ফেনী জেলার ফুলগাজী থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
 
                                                
Leave a Reply